রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান সমূহ ও শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে জেনে নিন
ভূমিকা
রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান সমূহ রয়েছে। রাজশাহী শহর বিভাগীয় শহর। এটি দেশের উত্তর পশ্চিমে অবস্থিত। এই শহর একটি ঔতিয্য বাহি বিভাগীয় শহর। এখানে অনেক ঘুরে বেড়ানোর মতো দর্শনয়ীয় স্থান রয়েছে। রাজশাহীতে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, এবং দেশের ১ নম্বর কলেজ রাজশাহী কলেজ রয়েছে।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ রাজশাহী দর্শনীয় স্থান সমূহ
- রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান সমূহ
- রাজশাহীর কিছু তথ্য
- শিক্ষা, ঔতিহ্য ও ইতিহাসে সেরা রাজশাহী
- রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান সমূহ
- রাজশাহীর শিক্ষা ব্যবস্থা
- রাজশাহীর সৌন্দর্য
- রাজশাহী এসে থাকবেন কোথায়
- শেষ কথা
রাজশাহীর কিছু তথ্য
রাজশাহী বিভাগীয় জেলা শহর। যার যাত্রা শুরু হয় ১৭৭২ সালে। এই শহরের আগের নাম ছিল রামপুর বোয়ালীয়া । এবং বোয়ালীয়া নামে এখোনো এই রাজশাহী শহরে একটি থানা রয়েছে। এই জেলায় বহু রাজা জমিদার থাকায় এর নাম দেওয়া হয়েছে রাজশাহী। এই জেলায় ৯ টি উপজেলা রয়েছে। রাজশাহী রাজশাহী দর্শনীয় স্থান সমূহ রয়েছে। যেমন: বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, বরেন্দ্র গবেষনা জাদুঘর,
আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল বাংলাদেশ কেমন
পুঠিয়া রাজবাড়ী, ভাষ্কর্য সাবাস বাংলাদেশ, শাহ মখদুম মাজার, শাহ মখদুম বিমান বন্দর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি আরো রয়েছে। রাজশাহী জেলা আম ও রেশম সুতার জন্য সারাদেশে বেশ পরিচতি। এছাড়াও রয়েছে সিল্ক শাড়ি, খেজুরের গুড়, এবং আদি চমচমের জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও আরো বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া রয়েছে।
শিক্ষা, ঔতিহ্য ও ইতিহাসে সেরা রাজশাহী
রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান সমূহ
পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত বাংলাদেশের এক পুরাতন শহর রাজশাহী। রাজশাহী জেলা রাজশাহী বিভাগের সবচেয়ে বড়ো শহর। আদিম যুগের ইতিহাস সমৃদ্ধ রাজশাহী শহরে রয়েছে মসজিদ, মন্দির ও ঐতিহাসিক স্থাপনা। এই শহরে পর্যটকদের জন্যে রয়েছে নানা দর্শনীয় স্থান। আসুন যেনে নেওয়া যাক রাজশাহীর দর্শনীয় বেশ কিছু স্থান সমুহ কি কি। পুঠিয়া রাজবাড়ী, বাঘা মসজিদ, বরেদ্র গবেষণা জাদুঘর,
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, পদ্মা গার্ডেন, রাজশাহী চিড়িয়াখানা, সাফিনা পার্ক, শহিদ স্মৃতি সংগ্রহশালা, পদ্মার পাড়, জিয়া পার্ক, পুঠিয়া শিবমন্দির, রাজশাহী কলেজ, শাহ মখদুমের মাজার, হাওয়াখানা, কিসমত মারিয়া মসজিদ, হাজার দোয়ার জমিদার বাড়ি, বিদ্যার্ঘ ভাষ্কর্য, লালন শাহ পার্ক ও রাতের রাজশাহী শহর। এছাড়াও রাজশাহী বিভাগের মধ্যে রয়েছে আরো দর্শনীয় স্থান। যেমন নাটোর রাজবাড়ী,
উত্তরা গণভবন, গ্রিন ভ্যালি পার্ক, চলনবিল । এবং চাপাই ছোট সোনা মসজিদ আরো রয়েছে দিনাজপুরেরসপ্নপুরি পার্ক। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পুঠিয়া রাজবাড়ী। এখানে আরো খুটিনাটি বেশ কিছু প্রাচীন দর্শনীয় স্থান রয়েছে, যেখানে গেলে রাজপরিবারের সবকিছু নিজ চোখে দেখতে পাই। এটি রাজশাহী শহর থেকে প্রায় ত্রিশ কিলোমিটার। আরো রয়েছে পদ্মা গার্ডেন ও পদ্মার পাড়, এখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিরাজমান।
রাজশাহীর শিক্ষা ব্যবস্থা
রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান সমূহের পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থা দেশব্যাপি নাম করে আসছে। যার জন্য এই রাজশাহী শহরকে শিক্ষা নগরী বলা হয়ে থাকে। এই শহরে বেশ উচ্চ লেভেলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেমন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এটি ১৯৫৩ সালে স্থাপিত হয়। এর পরেই রয়েছে দেশের প্রাচীনতম এবং নাম করা কলেজ রাজশাহী কলেজ এটি ১৮৭৩ সাথে স্থাপিত হয়। এছাড়াও রয়েছে নিউ ডিগ্রি কলেজ,
সিটি কলেজ, মহিলা কলেজ, বঙ্গবন্ধু কলেজ ইত্যাদি আরও অনেক। আরও রয়েছে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং দুটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। আরও রয়েছে রাজশাহীর অন্যতম ক্যাডেট কলেজ। রাজশাহীর শিক্ষা ব্যবস্থা বিভিন্ন স্তরে সাজানো আছে, আসুন এবার সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- প্রাথমিক শিক্ষা: রাজশাহীতে অনেক প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এবং বিদ্যালয় গুলোতে যথারিতিতে ক্লাস পরিচালনা করা হয়। এবং শিক্ষার মান উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়াই লক্ষ।
- মাধ্যমিক শিক্ষা: এই শহরে উপযুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যেখান থেকেই ছাত্র ছাত্রীরা বিভিন্ন লক্ষে আগাতে পারে। এবং তিনটি বিভাগে বিভক্ত করে পাঠদান করানো হয়।
- উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা: রাজশাহীর উন্নত উন্নত কলেজে পড়াশোনা করে স্টুডেন্টরা পরবর্তী পর্যায়ে যেতে পারে। এবং এই পর্যায়ের শিক্ষা ব্যবস্থাকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়ে থাকে।
- উচ্চ শিক্ষা: রাজশাহীতে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য বেশ নাম করা প্রতিষ্ঠান যেমন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিদ্যমান।
এককথায় রাজশাহী একটা শিক্ষা নগরি হিসেবে দেশব্যাপী ও দেশের বাইরেও পরিচিত। দেশের সব জায়গার স্টুডেন্টরা ও দেশের বাইরের স্টুডেন্টও পড়াশোনা করে থাকে এই শহরে এসে।
রাজশাহীর সৌন্দর্য
রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান সমূহ যা নিজ চোখে দেখলে মন ভরে যায়। রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মানুষকে করে তোলে মনোমুগ্ধকর।
- পদ্মা নদী: রাজশাহী শহরের ঠিক দক্ষিণ পাশ দিয়েই রয়েছে দেশের প্রধান নদী পদ্মা নদী। রাজশাহী সাহেব বাজার থেকে একটু খানি দক্ষিণে গেলেই পদ্মা নদী। এবং নদীর তীর দিয়ে রয়েছে পদ্মা গার্ডেন। যেখানে গেলেই তার সৌন্দর্য দেখে মনে ভালো লাগা কাজ করে। নদীর ছোট ছোট ঢেউ এবং হালকা বাতাস মনকে করে তোর ফুরফুরে।
- রাজশাহী কলেজ: এটি সাহেব বাজারের পাশেই অবস্থিত। কলেজে ঢুকতেই চোখে পড়ে প্রশাসন ভবন খুব সুন্দর ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে এই কলেজকে। যার সৌন্দর্য সবার ভালো লাগে। এবং ভেতর রয়েছে বিশাল মাঠ এবং চারদিকে সারিবদ্ধ গাছে এক সুন্দর দৃশ্য ফুটিয়ে তোলে।
- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সুন্দর সাজে সজ্জিত করে তাকে সৌন্দর্যময় ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। সাবাশ বাংলাদেশ ভাস্কর্য, প্যারিস রোড, গোল চত্বর সব মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে করে তুলেছে মনোরম পরিবেশ ও সৌন্দর্যময়।
- রাতের রাজশাহী শহর: রাতের শহর এতোটা সুন্দর লাগে যা বলে শেষ হবার নয়। বিনোদপুর, সাহেব বাজার, বিমান চত্বর, আম চত্বর প্রতিটা রাস্তা যেনো আলোকসজ্জায় সেজেছে। এসব রাস্তা দিয়ে হাটলে কেউ পথে ফুরাতেই চাইনা। রাতের রাজশাহী শহরকে উপভোগ করার জন্য।
রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান ও শিক্ষা ব্যবস্থা সব কিছু দিয়ে রাজশাহী এক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ শহর।
রাজশাহী এসে থাকবেন কোথায়
আপনি নিশ্চয় ভাবেছন রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান সমূহ ও পড়াশোনার বিষয়ে এই শহরে আসলে থাকবেন কোথায়। তার সমাধান আছে। রাজশাহীতে থাকার জন্য অনেক মানো মানের হোটেল রয়েছে। হোটেল সেলিব্রেটি, রিভার ভিউ হোটেল, হোটেল রাজশাহী ইত্যাদি আরো অনেক হোটেল রয়েছে। সল্প বাজেটে সেরা হোটেল পেয়ে যাবেন অনেক। কারন এই শহরে অনেক ছাত্র ছাত্রী বাহির থেকে এসে পড়াশোনা করে তাই সেই অনুযায়ী বাজেট নাগালের মধ্যেই পাচ্ছেন।
পড়াশোনার বিষয়ে আসলে আপনি থাকতে পারেন ছাত্রাবাসে। এই শহরে অনেক ছাত্রাবাসো রয়েছে। যেহেতু এই শহরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে নামকরা সব প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাই এই সব হোটেল বা ছাত্রাবাসে আপনিও থাকতে পারেন।
আপনার সুন্দর বর্ণনা ও বিস্তারিত আলোচনা আমাকে রাজশাহি সম্পর্কে জানতে আগ্রহি করেছে। ধন্যবাদ