ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ কেমন হবে জানুন
ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ কেমন হবে তাকি জানেন। বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল স্বাধীন রাষ্ট। ১৯৭১ সালে এ দেশটি স্বাধীন হয়। তারপর থেকে দেশটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়েছে। তখন দেশ তেমনটা আগাতে পারেনি। কিন্তু তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর দেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিনত হয়েছে।
তাতে করে মানূষ অনেক সুযোগ সু্বিধা পাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের ফলে আমাদের নানা সুযোগ সুবিধা হয়েছে। যা আমাদের জীবন মান উন্নত হয়েছে। যাযা সুযোগ সুবিধা আমরা পেয়েছি তা হলো : প্রযুক্তির মান উন্নয়ন এবং লাভ, শিক্ষা ব্যবস্থা, ইন্টারনেট সেবা, e- Governance ইত্যাদি। আসলে ডিজিটাল বাংলাদেশ কেমন যদি জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ
- ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ
- ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ
- প্রযুক্তির মান উন্নয়ন এবং লাভ
- ডিজিটাল বাংলাদেশের বিভিন্ন কার্যক্রম
- সমস্যা ও সমাধান
- ডিজিটাল বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ
- শেষকথা
ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ
ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা সমন্বিত দেশে রুপান্তর করাকে বুঝায়। ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশন ও টেকনোলজি গুরুত্ব দেশ বা সমাজ নিশ্চিত করে এটা করা সম্ভব হবে। সে সময় তথ্য ২৪ ঘন্টা চালু অবস্থায় থাকবে। ফোন বা কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে, অনেক কাজ কর্ম সফল ভাবে খুব সময় করা সম্ভব হবে বা হচ্ছে। দেশের মানুষ যথেষ্ট লাভবান হবে এই ডিজিটাল বাংলাদেশের ফলে।
ডিজিটাল বাংলাদেশের ফলে এ দেশের মানুষের মধ্যে ব্যাপক উন্নতি দেখা দিচ্ছে। বেকার, গরিব, এবং আরো অনেক বিষয়ে সমাধান পাচ্ছে এ দেশের মানুষ। ঘরে বসে থেকে মানুষ দেশ বিদেশের খবরা খবর এবং যোগাযোগ ও তথ্য আদান প্রদানে সক্ষম হচ্ছে। লেনদেন কাজে ব্যাংকিং কাজে দ্রুত সময় সমাধান পাচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের ফলে।পুরো বাংলাদেশ জুড়ে এবং সারাবিশ্বে কম্পিউটার নেটওয়ার্করে আওতায় আসার ফলে সব মাধ্যমে সফলতা হবে । আর তার মাধ্যমেই আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তরিত করতে সক্ষম হয়েছি।
আরো পড়ুনঃ চোখ ধাধানো আধুনিক রাজশাহী
ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ
বিশ্ব সম্পর্কে আরও ভালো
করে বলতে গেলে বিশ্বে তথ্য প্রযুক্তি দ্রুত বিস্তারের ফলে বাংলাদেশ বিশ্বে যোগাযোগ
স্থাপন করেছে । ডিজিটাল বাংলাদেশের্ একমাত্র লক্ষ হচ্ছে এ দেশের মানুষের চলাচল
ও জীবন উন্নয়ন করা । ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ হলো দেশের প্রতিটা মানুষের আধুনিক সেবা
প্রদান করা , যার ফলে বাংলাদেশের মানুষ সমস্ত সেবাগুলো পেতে পারে। এর মাধ্যমে সকল কার্যক্রমে
গতি কার্য়কারিতা করা সম্ভব হচ্ছে ।
তবে ডিজিটাল বাংলাদেশ শুধু একটি দেশ না এটা আরো
বিস্রৃত। সকল প্রকার প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই বাংলাদেশের পড়াশোনা, স্বাস্থ, বেকারত্ব,
গরিব দুর করার অঙ্গীকার হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ।
প্রযুক্তির মান উন্নয়ন এবং লাভ
প্রযুক্তির উন্নয়ন বা মাত্র শহরের মধ্যে স্থানীয় নয়, সেটি ছড়িয়ে পড়েছে গ্রাম এলাকা গুলোতেও। মোবাইল ব্যাংকিং সেবাতেও যেমন bkash, Nagad, Rocket এ সকল সাইটে জনগণের মধ্যে ব্যাংকিং সেবা পেয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল মাধ্যমে কৃষকেরা খুব সহজে তাদের ফসল বাজার যাত করতে পারছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে ডিজিটাল বাংলাদেশে পড়াশোনা করা ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনলাইন ক্লাস করতে পারছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশের মাধ্যমে সকল প্রকার
সেবা চালু আছে যা থেকে শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যাবসা বানিজ্যের মান বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের প্রতিটি জেলায়, ইউনিয়নে ই- তথ্য সেবা পতিষ্ঠানের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা চালূ হওয়ার মধ্য দিয়ে গ্রাম এলাকার মানুষদেরও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হচ্ছে। ২০২২ সালে পদ্মা সেতু নির্মান হওয়ার পর আরো একধাপ এগিয়ে গেলো ডিজিটাল বাংলাদেশ। এ ছাড়াও ব্যংকিং থেকে শুরু করে বিভিন্ন্ প্রকার অফিস আদালত ও ব্যবসায় ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরও ভোট প্রক্রিয়া, পাসপোর্ট ও জাতীয় আইডি কার্ড তৈরি করতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে । এতে করে অনেক কম সময়ে নিক্ষুত কাজ সম্পন্ন হচ্ছে । বাংলাদেশ ডিজিটাল করনে অনেক উপকৃত হচ্ছে সাধারন মানুষ । এতে দেশের মানুষের উন্নয়ন ও লাভ দুটোই করা সম্ভব হয় । এ ধারা অব্যহিত থাকলে বাংলাদেশকে মূল লক্ষমাত্রা লাভ করা সম্ভব হবে বলে মনে করা যায় ।
ডিজিটাল বাংলাদেশের বিভিন্ন কার্যক্রম
ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ যেগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে তার কিছূ কিছূ মাধ্যম উল্লেখ করা হলো: শিক্ষা ব্যবস্থা: শিক্ষা ব্যবস্থায় ডিজিটাল বাংলাদেশের গুরুত্ব রয়েছে। অনেক স্কুল কলেজে ডিজিটাল লাইব্রেরি নির্মাণ করা হয়েছে। ইন্টারনেট শিক্ষা মাধ্যমে `শিখন' এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ এর মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রীরা সহজে এবং কম সময়ে তাদের তথ্য খুজে পাচ্ছে।
- ইন্টারনেট সেবা : এ দেশের ইন্টারনেট সংযোগ বাড়াতে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ২০২১ সালের পর পর ৯০% মানুষ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পেয়েছে, বর্তমানে প্রায় শতভাগ নিশ্চিত হয়েছে।
- e- Governance: দেশের সেবা ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে e-Governance এর গুরুত্ব রয়েছে। বিভিন্ন সেবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে। যা মানুষের আর্থিক খরচ কম হচ্ছে।
- ইভিএম মেশিমে ভোট: ১৭ জুন ২০১০ সালে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে চট্টগ্রামে প্রথম ইভিএম মেশিনে ভোট প্রদান করা হয়। যেখানে কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই ভোট প্রদান করা হয় ।
- প্রাথমিক পাঠ্য বইয়ের ওয়েব: এটি ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসের ৪ তারিখে চালু করা হয়। প্রাথমিক পাঠ্য বইয়ের ওয়েব সাইট চালু করার মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রীরা যেখান সেখানে যেকোনো সময় বই পড়তে পারে । এর মাধ্যমে তারা উপকৃত হচ্ছে । এছাড়া যেকোনো প্রশ্নের উত্তর তারা সহজে পেয়ে যায়।
সমস্যা ও সমাধান
বিজ্ঞান ভিত্তিক সমাজ গড়ার প্রথম পদক্ষেপই হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে উন্নত সমৃদ্ধ দেশকে বোঝায়। ডিজিটাল বাংলাদেশে অনেক উন্নতি হয়েছে, এবং আরো কিছু উন্নয়ন থেকে গেছে বা চ্যালেঞ্জও রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ পুরোনে দেশের সরকার ও জনগনকে এক হয়ে কাজ করা প্রয়োজন । তবে যেসব সমস্যা রয়েছে তা সমাধান করা যাবে । ডিজিটাল বাংলাদেশে এখোনো কিছু কিছু এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া য্য়নি । তা খুব দ্রত শতভাগ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে হবে।
- ডিজিটাল বিভাজন : শহরে শতভাগ ইন্টারনেট সংযোগ পেলেও গ্রাম এলাকায় এখোনো কিছু কিছু জায়গায় পুরোপুরি ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যায় নি।
- প্রযুক্তিগত এক্সপার্ট : দেশের অনেক মানুষেরই তথ্য প্রযুক্তির ধারনা নেই। তাই সবাই সুযোগ সুবিধা থেকে বাধা পায়।
- সাইবার দেখভাল: ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নতির সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তা দরকার। যাতে আমাদের সকল সেবা তথ্য ঠিকে থাকতে সাহায্য করে।
ডিজিটাল বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ
ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রযুক্তির উন্নয়ন না, একটু প্রযুক্তি গত দেশে রুপান্তর করাই এর লক্ষ বা উদ্দেশ্য। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সব কার্যক্রমে ডিজিটাল বাংলাদেশে প্রযুক্তির ধারনা শতাংশ করতে হবে। দেশের নাগরিকদের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশের জ্ঞান বাড়াতে হবে। এটাকে বাস্তবে রুপ দেওয়ার জন্য দেশের জনগণ ও সরকারকে উদ্দোগি হতে হবে। তার জন্য প্রথমেই জানতে হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ কি।
এটি বাংলাদেশকে যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক পরিবর্তন এনেছে। তবে তথ্য প্রযুক্তির নানা মাধ্যম থেকে আমাদের অর্জন জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা থেকে এখোনো দূরে। তবুও বাংলাদেশ সাবমেরিন ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবলের সাথে কানেক্ট হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ পূরণে ইন্টারনেট কাঠামোর উন্নয়ন ও ইন্টারনেট রেট সাধারনের মধ্যে এনে দেশের সকল মানুষের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার শতভাগ করতে হবে।
আর তা না হলে এ দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে ইচ্ছা তা সপ্নই থেকে যাবে । তাই শতভাগ ইন্টারনেট সেবা প্রদান করেছে দেশের সরকার । এ থেকে আমরা ভবিষ্যতে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মান করতে সক্ষম হবো ।
শেষকথা
ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ অনেক সুযোগ সু্বিধা পাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের ফলে আমাদের নানা সুযোগ সুবিধা হয়েছে। যা আমাদের জীবন মান উন্নত হয়েছে। বর্তমান যুক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগ । এটা ছাড়া দেশের উন্নয়ন কোনো ভাবেই সম্ভব না । বাইরেরে দেশের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে এবং দেশের উন্নয়নের দিকে নিয়ে যেতে হলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিসিম ।
আর এ পদ্ধতি কেবল মাত্র ডিজিটাল বাংলাদেশেই সম্ভব । ডিজিটাল বাংলাদেশ ঠিকিয়ে রাখতে হলে তথ্য প্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই । হাজার ব্যস্ততা কাজের মধ্য দিয়েই ভালোবাসতে হবে দেশকে । আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে আরো অগ্রসর হতে হবে দেশকে । তাহলেই বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url