তুলসী পাতার উপকারিতা ও গুনাগুন

তুলসী পাতার উপকারিতা নিয়ে জানতে আপনার জন্য আজ এই আর্টিকেলটি যথেষ্ট। তুলসি পাতা হোলি বেসিল নামেও পরিচিত। তুলসী পাতার রয়েছে নানা ঔষধি গুনাগুন। তুলসী পাতা সাধারনত বিভিন্ন ধর্মীও কাজে, চিকিৎসায়, খাবার জন্যও ব্যবহার হয়ে থাকে।

তুলসী-পাতার-উপকারিতা-ও-গুনাগুনএই আর্টিকেলে আমরা তুলসী পাতার কার্যকর ও কি কি গুন রয়েছে তা জানবো। এছাড়াও তুলসী পাতার মাধ্যমে কি কি পাঁচটি রোগ ভালো করে সেটা নিয়ে বিস্তারিত জানবো। আপনি তুলসী পাতার গুনাগুন ও উপকার সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আজ আপনার জন্য। 

পেজ সূচিপত্রঃ

তুলসী পাতার উপকারিতা ও বৈশিষ্ট্য

তুলসী পাতার বৈশিষ্ট্য বেশ রয়েছে। তুলসী কে বলা হয় সকল রোগের ঔষধ। সর্দি, কাশি, গলা ব্যথায় যথেষ্ট কার্যকরী এই তুলসীপাতা। শুধু তাই নয় তুলসীতে রয়েছে অ্যাজমা, ফুসফুসের মতো অসাধারণ রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়ায়। তুলসীতে ইমিউনি মডিটরি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান রয়েছে। যার ফলে এটি শরিরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত তুলসীপাতা খেলে মানুষের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালি হয় ও রোগ প্রতিরোধ করে। 

এছাড়াও তুলসীপাতাতে আছে রেডিও প্রটেকটিভ উপাদান যা টিউমার ধ্বংস করতে সাহায্য করে। আরো আছে পাইটোকেমিক্যাল যেমন রোজ মারিনিক এসিড,মাইরেটিনাল লিউচিউলিন ও অ্যাপিজেনি এসব উপাদান ক্যান্সারের মতো রোগের ঔষধ হিসেবে কাজ করতে পারে। আয়ুর্বেদিক মতে তুলসীপাতা বিভিন্ন রোগ দুর করতে কাজ করে।তুলসীপাতা ব্যবহার করতে কোনো বিধিনিষেধ নেই। আপনার ইচ্ছে মতো আপনি যখন তখন তুলসি পাতা চিবিয়ে খেতে পারবেন।

বনৌষধির ভেতর তুলসীপাতা সর্ব উত্তম স্বীকার করা যায়। তাই মেটেরিয়া মেডিকাতে তুলসীপাতাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাখা হয়েছে। একমাস যাবত যদি এই তুলসীপাতা খান তাহলে সারাবছর আপনি থাকতে পারেন রোগ মুক্ত। এছাড়াও তুলসীপাতার রস দিয়ে দেহ মালিশ করলে হাড় শক্ত হয় এবং দেহকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। তুলসীপাতা চিবিয়ে খেলে দাঁতের পোকা বা মাড়ি ব্যথা দুর করে। দাঁতের জন্য তুলসীপাতা খুবি উপকারি।

মধু ও তুলসী পাতার উপকারিতা

তুলসী পাতার পাশাপাশি জানবো মধু ও তুলসীপাতা একসঙ্গে খেলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায়। তার জন্য কিভাবে মধু দিয়ে তুলসীপাতা খাওয়া যায় তা জেনে নিই। একটি কাপের মধ্যে চার পাচটি তুলসীপাতা নিয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে। তারপর এক চামচ খাঁটি মধু নিয়ে নিন। এভাবে সকাল খালি পেঠে খেলে আরো বেশি উপকার পাওয়া যাবে। তুলসীপাতা ও মধুর মধ্যে রয়েছে যথেষ্ট পুষ্টি ও ভিটামিন। তুলসীপাতা ও মধুর উপকার কি তা জেনে নিই। 

মধুর উপকারিতা: মধু হলো এক ধরনের শক্তির উৎস। মধু শরিরে খুব দ্রুত শক্তি উৎপন্ন করতে পারে। মধুতে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক গুন যা দেহকে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। মধুর ত্বকের জন্য বেশ কার্যকরী। ত্বকের কালো দাগ মুক্ত ও উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে মধু। মধু ঠান্ডা লাগা ও কাশি কমাতেও  সাহায্য করে। যার ফলে শ্বাসকষ্টের উপকারী হয়। মধুতে আরও রয়েছে হজম শক্তি।

তুলসী পাতার উপকারিতা: তুলশিতে থাকা ইনফ্লেমেটরি গুন যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। তুলসীপাতাতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে। তুলসী পাতা  খাওয়ার ফলে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ও মানসিক বেশ উপকারী। এছাড়া তুলসী পাতার চা খেলে কাশি কমাতে সাহায্য করে। তুলসী পাতা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে যা হার্টের জন্য খুবই উপকারী। আর তাই তুলসী পাতা ও মধু একসঙ্গে খেলে যথেষ্ট উপকারী পাবা যাবে। 

খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা

তুলসী পাতার উপকারিতা পেতে হলে সকালে খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়া ভালো। তুলসীপাতা খাওয়ার জন্য অনেকের অনেক রকম ধারণা রয়েছে। কিন্তু আমরা জানি না সকালে খালি পেটে তুলসী পাতা খেলে কি ঘটে। তুলসীতে এন্টি ব্যাকটেরিয়া ও এন্টিফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে। এই উপাদানের রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এবং ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই যারা ডাইবেটিক্সএ আক্রান্ত তাদের জন্য তুলসী পাতা খুব ভালো।

তার জন্য সকালে খালি পেটে তুলসী পাতা খাবেন। চার পাঁচটা তুলসী পাতা থ্যাতলা করে খেতে পারেন। আবার চিবিয়েও এটা খাওয়া যায়। চিবিয়ে খাবার পরপরই একটু পানি পান করে নিন। যারা দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমা রোগে ভুগছেন, এবং বুকের জমা কফ সর্দি কাশি এমন সমস্যায় ভুগছেন, তারা অবশ্যই সকালে খালি পেটে তুলসী পাতা খাবেন। এর সাথে এক চামচ মধু নিতে পারেন। দেখবেন কিছুদিন পরেই এইসব সমস্যা থেকে মুক্ত পাচ্ছেন। 

কিডনি রোগেও তুলসী পাতা কাজ করে থাকে। যাদের এর আগে কিডনি পাথর হয়েছে বা এর থেকে বাঁচতে সকালে খালি পেটে তুলসীপাতা খান। এভাবে সকালে খালি পেটে যদি তুলসীপাতা খান তাহলে দেহের কোথাও কোনো টক্সিন জমতে দিবে না। তুলসী পাতা ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবেও কাজ করে। এমনকি তুলসী লিভার ভালো করতে পারে, লিভারের সব রকম রোগ মুক্ত করে থাকে তুলসী পাতা। তাই সকালে খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়া খুবই উপকারী। 

তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম

তুলসী পাতার উপকারিতা পেতে আমরা প্রায় সবাই তুলসী পাতা খাচ্ছি। কিন্তু তুলসী পাতা খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানি না। আজকে আমরা জানবো তুলসী পাতা খাওয়ার সঠিক নিয়ম। তুলসী পাতা চিবিয়ে খাওয়ার চেয়ে পানি দিয়ে গিলে খাওয়া ভালো। বিশেষজ্ঞদের মতে তুলসী পাতাতে আয়রন ও পারদের মাত্রা খুব বেশি। তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে তুলসী পাতার মিনারেলে দাঁতের ক্ষয় করে। এবং দাঁতে হলুদ ছোপ ফেলে দেয়।
তুলসী-পাতা-খাওয়ার-নিয়ম
এছাড়া তুলসী পাতা কিছুটা এসিডিকো আবার মুখমন্ডল আমাদের ক্ষারিও জাতীয়। তাই তুলসী পাতা চিবলে সেটি দাঁতকে নষ্ট করে দিতে পারে। তুলসী পাতার এসেনশিয়াল অয়েল ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। সকাল বেলা খালি পেটে দুই তিনটা তুলসী পাতা খাওয়া খুবই ভালো। তুলসী পাতা খাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় চায়ের মাধ্যমে খাবার। তুলসী চা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এবং সমস্ত সংক্রমণ রোগ মুক্ত করে, এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে। 

তুলসী পাতা চা ছাড়া মধু দিয়েও খাওয়া যায়। এছাড়া লেবুর রস ও গরম পানি দিয়ে তুলসী পাতা খাওয়া যায়। এভাবে প্রতিদিন খেলে যথেষ্ট ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব। আর তুলসী পাতা সকালে খালি পেটে খাওয়া সবচেয়ে উত্তম। কারণ এই সময় বেশি পুষ্টি গুনাগুন শরীরে নেই। সবশেষে বলা যায় তুলসী পাতার চিবিয়ে খাওয়ার চেয়ে পানি দিয়ে গিলে খাওয়াই ভালো। তাই তুলসী পাতার পুষ্টি গুনাগুন গুলো পেতে নিয়ম অনুযায়ী তুলসী পাতা খান। 

তুলসী পাতার ক্ষতিকর দিক

তুলসী পাতার উপকারীতার পাশাপাশি কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। তুলসীর উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা বিভিন্নভাবে জেনেছেন। কিন্তু এসব উদ্ভিদ পদার্থের সীমাহীন ব্যবহার ক্ষতির কারণ হতে পারে। তুলসীর মূল উপাদান হলো ইউজিনল। আর উপাদান দেহে অতিরিক্ত হয়ে গেলে দেহের জন্য ক্ষতি করে। গর্ভবতী মহিলা এবং গর্ভস্থ তরুণের জন্য নিরাপদ নয়। এই সময় তুলসী পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। 

তুমি কি সাবানে রক্তের ঘনত্ব করা যায়।ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ আয়ুর্বেদ ২০০০ সালে জানিয়েছেন তুলসী অতিরিক্ত ব্যবহারে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। আমার ডায়াবেটিক ক্ষেত্রে তুলসীতে সুগারের মাত্রা বেশি কমিয়ে দিতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তুলসী খেতে পারেন। যেকোনো অপারেশনের আগে বা পরে তুলসী না খাওয়াই ভালো। কারণ আপনারা জানেন তুলসী রক্তের ঘনত্ব কমিয়ে দেয়।

 তুলসী গাছের প্রধান উপাদান ইউজিনল হল হেপাটোটক্সিক।এটি অধিক মাত্রায় লিভারে ক্ষতি করতে পারে। যার কারণে শ্বাসকষ্ট সমস্যা হতে পারে। তুলসী পাতার ব্যবহার ক্ষতিকারক না হলেও এই গাছের নির্যাস দিয়ে তৈরি বেশি ব্যবহার করলে ক্ষতিকারক যা মানুষের ক্যান্সারের কারণ। অন্য কোন উদ্ভিদ জাতীয় ঔষধি পদার্থ করে থাকলে তুলসী পাতা ব্যবহারের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এই ক্ষতিকর দিকগুলো মেনে তুলসী পাতা খেতে পারেন।

তুলসী পাতার রসের উপকারিতা 

তুলসী পাতার পাশাপাশি তুলসী পাতার রসের অনেক উপকারিতা আছে। যেমন:
  • সর্দি কাশি: তুলসী পাতার রস গরম পানি দিয়ে খেলে সর্দি-কাশি  ভালো করতে পারে। কয়েকটি তুলসী পাতা ভালোভাবে ব্লেন্ড করে রস করে নিন। তারপর খাওয়ার উপযুক্ত করুন। সর্দি কাশি হলে দুই তিনবার এক চামচ তুলসী পাতার রস পান করতে পারেন। এটি অবশ্যই গরম পানির সাথে মিশিয়ে ফেল করবেন। এতে ভালো ফলাফল পাবেন। আবার তুলসী পাতার রসের চাও খেতে পারেন।
  • ডায়াবেটিকস: তুলসী পাতার ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে ভালো কাজ করে। তুলসী পাতার রসে থাকা উপাদান গুলো রক্তের শর্করার মাত্রা ও ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণ রাখে। তাই ডায়াবেটিকসের জন্য তুলসী পাতার রস খুবই উপকারী। এর জন্য প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চামচ তুলসী পাতার রস পান করতে পারেন। এটি কোন সেবার বিকল্প না বরং সব রোগের বিকল্প সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: তুলসী পাতার রস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খুবই ভালো কাজ করে। তুলসী পাতার রসে আছে আন্টি অক্সিডেন্ট অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান। যা মানব দেহে শক্তি উৎপন্ন করে। এটি নিয়মিত এক চামচ করে খেলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা সাহায্য করবে। তবে খুব বেশি খাওয়াটা ঠিক না। পরিমাণ মতো সকালে খালি পেটে এক চামচ তুলসী পাতার রস পান করুন। 

তুলসী পাতার ব্যবহার 

তুলসী পাতার ব্যবহার নানা জায়গায় হয়। তুলসী পাতা স্বাস্থ্য ও ধর্মীয় প্রথায় বেশি ব্যবহার হয়। স্বাস্থ্যের উপকারিতায় তুলসী পাতা ব্যবহার করা হয় যেমন, তুলসী পাতায় এন্টিঅক্সিডেন্ট  আছে যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আমার মানসিক চাপ, ঠান্ডা লাগা, কাশি, ফুসফুসের মত সমস্যা দূর করে তুলসী পাতার ব্যবহারে। 
ত্বকের-যত্নে-তুলসী-পাতার-ব্যবহার
আবার রান্নার কাজেও তুলসী পাতা ব্যবহার করা হয়। যেমন সুপ তৈরি করতে, বিভিন্ন ধরনের স্যালাডে হার যুক্ত করে থাকে তুলসী পাতা। তুলসি পাতাতে আরও রয়েছে ঔষুধি গুন। তুলসী পাতার রসে গলা ব্যথা ওদের বিভিন্ন সংক্রমণ রোগ দূর করে দেয়। এবং ধর্মীয় প্রথায় তুলসী পাতার ব্যবহার রয়েছে। হিন্দু ধর্মে তুলসী পাতার বেশ মর্যাদা রয়েছে। হিন্দুদের নানা পূজায় ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তুলসী পাতা ব্যবহার করা হয়। 

এবং তুলসী পাতার গাছ বাগানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে।এতে মশা পোকামাকড় দূরে রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ঔষধি গুনাগুন তুলসী পাতার অনেক।তাই তুলছি পাতা ঔষধি ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহার করা হয়। এর অনেক গুনাগুন রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকার। তাই এটি প্রায় সবাই ব্যবহার করে থাকে। আমার ত্বকের যত্নেও তুলসী পাতার ব্যবহার রয়েছে। ত্বকের যত্নে তুলসী ব্যবহারে ব্রণ ও  মুখের সংক্রমণ দূর করে। 

ত্বকের যত্নে তুলসী পাতার ব্যবহার

চোখের যত্ন তুলসী পাতা একটি কার্যকরী উপাদান। এন্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ফাঙ্গাল তুলসী পাতার এসব উপাদান ত্বককে ভালো রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের জন্য তুলসী পাতা ব্যবহারের কিছু নিয়ম রয়েছে। যেমন তুলসী পাতা ও মধু ব্যবহার করে পেস্ট তৈরি করা। তুলসী পাতা ও মধুর পেস্টি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেললে ত্বকের দাগ ব্রণ কমতে সাহায্য করবে। ত্বকের যন্তে আবার তুলসী পাতার সঙ্গে দুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। 

তুলসী পাতা বেটে নেয়ার পরে দুধের সাথে মিশিয়ে মুখে ২০ মিনিট পরে দিয়ে নিন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে। এছাড়াও তুলসীপাতার সাথে লেবুর রস দিয়ে ফেসপ্যাক বানানো যেতে পারে। আবার তুলসী পাতার সাথে চন্দন গুড়া মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করা যাবে। এগুলো সবই ত্বককে করে তুলবে উজ্জ্বলতা ও স্বাস্থ্যবান। তবে ত্বকের জন্য এসব ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি। 

অনেকেরই এসব ব্যবহারে এলার্জি হতে পারে। তাই আপনার জেনে নেওয়া দরকার যে আপনার শরীরে কোন উপাদানে এলার্জি রয়েছে। তাই ব্যবহারের আগে এলার্জি চেস্ট করা দরকার। এক্ষেত্রে ত্বকে কোন সমস্যা হলে ব্যবহার করা বাদ দিয়ে দিন। কিছু নিয়ম মাফিক মেনে ব্যবহার করলে আপনার ত্বক হয়ে উঠতে পারে আরো উজ্জ্বলতা ও সুন্দর। তাই ত্বকের যত্নেও তুলসী পাতার কার্যকারিতা রয়েছে। 

তুলসী পাতার অপকারিতা

তুলসী পাতার বৈশিষ্ট্য বেশ রয়েছে। তুলসী পাতার কার্যকারিতার কথা আমরা সবাই জানি। তুলসী পাতা খাবার ফলে নানান রকম জটিল জটিল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আবার তুলসী পাতা দিয়ে রূপচর্চা করা হয়। আবার তুলসী পাতাতে যেমন উপকার রয়েছে তেমনি কিছু অপকারিতাও রয়েছে। তুলসী পাতা কিছু কিছু মানুষ খেলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই এ ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে।

তুলসী পাতা তার রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় দেয়। আর কেউ যদি ডায়াবেটিকসের জন্য ওষুধ খেয়ে থাকে তাহলে রক্তে শর্করার মাত্রা আশঙ্কাজনক ভাবে কমে যেতে পারে, আর এতে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। কেউ যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে তুলসীপাতা খাবেনা না, এটি গর্ভবতী ও ভ্রুনের জন্য ক্ষতিকর। অনেক সময় গর্ভপাতের কারনও হতে পারে।

আমি ভেষজক গাছে কিছু উপাদান আছে যা জরায়ু সংকোচনের ভয়াবহ কারন হতে পারে। আবার বেশি খাওয়াই ডাইরিয়া হতে পারে। অনেকের তুলসী পাতায় এলার্জি থাকতে পারে। ত্বকের যত্নের জন্য এটি ব্যবহারে সাবধান থাকতে হবে। তা নাহলে আপানার এলার্জির কারনে চুলকাতে পারে। আর তাই তুলসী পাতা ব্যবহার করাতে এসব সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। 

শেষকথা

তুলসী পাতার উপকারিতা সম্পর্কে বলতে হলে তা শেষ করা যাবে না। তুলসী পাতাতে রয়েছে ব্যাপক ঔষধি গুনাগুন। তাই এটি সুগন্ধি এবং ঔষধি গাছ নামেও পরিচিত। তুলসী পাতার বেশ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়। যা আপনারা কনটেন্ট এ জেনেছেন। স্বাস্থ্যকে ভালো রাখার পাশাপাশি ত্বককেউ ভালো রাখে তুলসী পাতা। তাই তুলসী পাতা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

আশা করি আর্টিকেলটি পরে আপনি উপকৃত হয়েছেন। সমস্ত বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন বলে আশা করি। আপনার প্রয়োজনীয় আরো তথ্য পেতে আমাদের উৎসাহিত করুন।এবং আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url