গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখব
গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখব এই বিষয়টি আজকের আর্টিকেলে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। গ্রাফিক্স ডিজাইন কি, এর চাহিদা কেমন, গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে কি কি কাজ করতে হয়, গ্রাফিক্স শিখে কোথায় কাজ করবে, এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে হলে কি কি সফটওয়্যার লাগে যা জানা উচিত।
এই সকল বিষয়ে আলোচনা তুলে ধরব এই আর্টিকেল। এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করব কিভাবে সেটাও আপনি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন। তাই গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে হলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে শিখব গ্রাফিক্স ডিজাইন।
পেজ সূচিপত্রঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখব
- গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখব
- গ্রাফিক্স ডিজাইন কি
- গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকার
- গ্রাফিক্স ডিজাইন বেসিক ধারনা
- গ্রাফিক্স ডিজাইন এর ভবিষ্যৎ
- গ্রাফিক্স ডিজাইনে কি কি শিখতে হয়
- গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে কত টাকা লাগে
- গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে কোথায় কাজ করবো
- গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে কি কি লাগে
- গ্রাফিক্সের মূলকথা
গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখব
গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখব, এটি নতুন ফ্রিল্যান্সারদের মাথায় প্রশ্ন আসে।
গ্রাফিক ডিজাইন ছাড়া কোন কাজ হবে এমন কোন মাধ্যম নেই। বা এমন কোন ক্ষেত্র নেই
বললেই চলে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি পরিমাণ ইনকাম করে থাকে গ্রাফিক্স ডিজাইনার
ফ্রিল্যান্সাররা। গ্রাফিক্স ডিজাইন হল কোন কিছুর ডিজাইন করে দেওয়া। এটি নানা
ধরনের ডিজাইন হতে পারে। যেমন লোগো ডিসাইন, বিজনেস কার্ড, টি শার্ট ডিজাইন,
ক্যালেন্ডার ডিজাইন ইত্যাদি আরো অনেক।
এখন প্রশ্ন আসতে ডিজাইন কি? গ্রাফিক্স ডিজাইন হচ্ছে ইমেজ সেভ ও কালারের কম্বিনেশন
করে কোন মেসেজ প্রদান করা। গ্রাফিক্সের কয়েকটি মাধ্যম রয়েছে যা আপনারা জানলেন,
তার থেকে প্রথম অবস্থায় যেকোনো একটি মাধ্যম ভালোভাবে শিখতে হবে। এবং এক্সপার্ট
হলেই আপনার ডিমান্ড বেশি হবে। প্রশ্ন আসতে পারে কোথায় গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখব?
আপনি আপনার কোন ভালো মানের আইটিতে বা অনলাইনের মাধ্যমে ইউটিউব দেখে ।
আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো
নানা ধরনের ওয়েবসাইট থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারেন। দরকার শুধু আপনার
ইচ্ছাশক্তি ও মনোবল। গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য কিছু অ্যাপ্লিকেশন এর প্রয়োজন
হবে বা এর ধারণা থাকতে হবে। যেমন এডোবি ফটোশপ, এডোবি ইলাস্ট্রেটর। আপনি এই
অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা শিখে নিন। তারপর আপনার পছন্দ অনুযায়ী ক্যাটাগরিতে কাজ
করা শুরু করুন। এভাবেই গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারবেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন কি
গ্রাফিক্যাল ইলিমেন্টস ইউজ করে যখন কোন ইনফরমেশন আমরা প্রেজেন্ট করি তাকেই
গ্রাফিক্স ডিজাইন বলে। একটা ইলিমেন্টস এর ভেতরে কোনো পিকচার থাকতে পারে, কোনো টেক্সট থাকতে পারে আবার কালারও
থাকতে পারে। এসব ইলিমেন্টস ব্যবহার করে যা তৈরি করি, সেটাই গ্রাফিক্স ডিজাইন। এছাড়া গ্রাফিক্স ডিজাইন হচ্ছে ইমেজ সেভ ও কালারের কম্বিনেশন করে কোন মেসেজ
প্রদান করা।
কোন নতুন কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বা কোন অফিসের বা কোন জিনিসে ডিজাইন করাটাই
হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন। সেটা হতে পারে t-shirt ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, কার্ড
ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন ইত্যাদি। গ্রাফিক্স ডিজাইন হচ্ছে কোন তথ্যকে ফুটে তোলানো
বা উপস্থাপন করার জন্য ডিজাইন করা হয় সেটাই গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ। গ্রাফিক্স
ডিজাইন হচ্ছে চিন্তা ধারণা দিয়ে, টেক্সট বা কোন ফটো দিয়ে যে চিত্র উপস্থাপন করা
হয় সেটাই গ্রাফিক্স ডিজাইন।
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
আবার বলা যায় গ্রাফিক ডিজাইন হল এমন একটি মাধ্যম যেখানে নিজের ধারণা, শিল্প,
দক্ষতা কাজে লাগিয়ে কোন শব্দ কোন পিকচার এবং নানা ধরনের মিশ্রণে একটি ছবি তৈরি
করা। এক কথায় বলতে গেলে ট্রাফিক ডিজাইনের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের চাক্ষুষ
ধারনা তৈরি বা ডিজাইন করতে পারি যা সম্পন্ন নিজের জ্ঞানের মাধ্যমে। আপনার স্কিল,
আপনার কাজের দক্ষতা, আপনার জ্ঞান ধারণার উপর নির্ভর করে গ্রাফিক্স ডিজাইন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকার
গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখব তা জানতে আমাদের জানা দরকার গ্রাফিক্স ডিজাইন
কয় ধরনের ও কি কি। আকৃতি, শেফ বা ফর্মের উপর ভিত্তি করে গ্রাফিক্স ডিজাইন মূলত
তিনটি ভাগে ভাগ করে থাকি। এর একটি হলো বেসিক ডিজাইন। বেসিক ডিজাইন শোনার সাথে
সাথেই হয়তো আপনারা কিছু ধারণা পাবেন। বেসিক ডিজাইন আবার দুইভাগে ভাগ করা যায়।
যেমন সিমেট্রিক ডিজাইন,ও এসিমেট্রিক ডিজাইন।
গ্রাফিক্স ডিজাইনের ধরনের মধ্যে আরো একটি ডিজাইন হলো অর্গানিক ডিজাইন। অর্গানিক
ডিজাইনের মূলত ফুল লতাপাতা ডিজাইন ব্যবহার করা হয়। অর্গানিক ডিজাইন কেউ আবার দুই
ভাগে ভাগ করা যায় সিমেট্রিক ও এসিমেট্রিক। আরো একটি ডিজাইন হচ্ছে ফোক ডিজাইন।
বেসিক ডিজাইন ও অর্গানিক ডিজাইন সারা বিশ্বে সবার জন্য তৈরি করা হয়। কিন্তু ফোক
ডিজাইন প্রত্যেকটা কালচার ও সংস্কৃতির জন্য আলাদা আলাদা করা হয়।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো কিভাবে
ফোক হোম ডিজাইন একেক দেশে একেক রকম হয়ে থাকে। প্রত্যেকটি ফোক ডিজাইন এক একটি
সংস্কৃতি বা কালচার সুটিয়া তোলে। এসব ডিজাইন লক্ষ্য করে কাজ করলে গ্রাফিক্স
ডিজাইন খুব দ্রুত শিখতে পারবেন। এসব শিখে অনেক গ্রাফিক্সের কাজ করতে পারবেন। যেমন
লোগো ডিজাইন, টি শার্ট ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন ইত্যাদি। এসব কাজ শিখে বিভিন্ন দেশের
সাথে বিভিন্ন কালচারের সাথে ডিজাইন দিয়ে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন বেসিক ধারনা
কেউ যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন ভালোভাবে শিখতে চান তাহলে অবশ্যই তাকে বেসিক ধারণা নিতে
হবে। যেই জিনিসের উপর যত বেশি সময় দিব বেসিক ধারনা পাবো সে জিনিসটা তো ভালো করে
কাজ করা সম্ভব। মানুষ আগে ভাবতো গ্রাফিক্স ডিজাইন মানে একটা ছবিকে ফর্সা করা
কেটেকুটে ঠিক করা কিন্তু এরকমটা না। গ্রাফিক্সের সেক্টর টা অনেক বড় প্রায়
প্রতিটা ক্ষেত্রেই গ্রাফিক্স দরকার হয়। আর আপনি যত ভালো করে
আপনার দক্ষতা দিয়ে আপনার স্কিল দিয়ে কাজ করবেন ততই ভালো হবে। গ্রাফিক্স
ডিজাইনের বেসিক ধারণা পেতে আপনাকে ইলাস্ট্রেটর ও এডোবি ফটোশপের কাজ শিখতে হবে।
গ্রাফিক্স দুই ধরনের হয়ে থাকে যেমন ভেক্টর গ্রাফিক্স ও রাস্টার গ্রাফিক্স।
ভেক্টর গ্রাফিক্সের কোন সাইজ থাকে না, আর এটি যতই বড় হোক ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা
নেই। আর এই ভেক্টর গ্রাফিক্সের কাজ ইলাস্টেটর দিয়ে করা হয়। আর ছোট ছোট
লোগো
ফেসবুক ব্যানার ওয়েবসাইটের লোগো এসব রাস্টার গ্রাফিক্স এর কাজ। আরে এ কাজগুলো
এডোবি ফটোশপ দিয়ে করা হয়। এর জন্য এডোবি ফটোশপ ইন্সটল করে নিবেন তারপরে ইউটিউব
বা নিকটবর্তী কোনো আইটিতে বেসিক ধারণা গুলো নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন। গ্রাফিক্স
ডিজাইন শিখতে আপনার অত্যন্ত ইচ্ছাশক্তি থাকতেই হবে। এবং বেসিক ধারণা পেলেই আপনার
জন্য গ্রাফিক্সের কাজগুলো আরো সহজ হয়ে যাবে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর ভবিষ্যৎ
ট্রাফিক্স ডিজাইন একটি পরিবর্তনশীল মাধ্যম। বিগত দিনগুলো থেকে আজ পর্যন্ত অনেক
পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। আপনি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ শুরু করেছেন গ্রাফিক্স
ডিজাইন কিন্তু ভাবছেন এর ভবিষ্যৎ কি। এর অনেক প্রতিযোগিতা রয়েছে সে কারণে হয়তো
অনেকেই ভাবতে পারে এর কোন ভবিষ্যৎ নেই। আপনার ইচ্ছা শক্তি থাকলে গ্রাফিক্স
ডিজাইনে অনেক ভালো ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা সম্ভব। গ্রাফিক্স ডিজাইনের ফলে দূরবর্তী কাজ
বৃদ্ধি।
বিশ্বের বিভিন্ন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের কাজগুলো করে দেয় দেশীয়
ফ্রিল্যান্সাররা। এক্ষেত্রে দূরবর্তী কাজ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং টাকা আয় করার
মাধ্যমও বাড়ছে। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর প্রতিবছর গড় ইনকাম প্রায়, ৫০ লাখ
টাকারও বেশি। এবং আপনি যত বেশি কাজ করবেন তত বেশি আয় করতে পারেন। মোবাইল ফোন
ব্যবহারে বৃদ্ধি হয়ে উঠেছে, ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রেও লাভজনক। দিন দিন যত
ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা বাড়বে,
সেই সাথে ফ্রিল্যান্সাররা তত বেশি ইনকাম করতে পারবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বেড়েই
চলেছে দিনের পর দিন। এক্ষেত্রে মানুষের চিন্তাভাবনার তৈরি এসব কাজ সেসব হয়ে উঠবে
আলাদা এবং সেখান থেকেই গ্রাফিক্সের এক এক ধরনের কাজ তৈরি করা যাবে। তাই গ্রাফিক্স
ডিজাইনারের ভবিষ্যৎ খুবই ভালো। বর্তমান সময়ে কোন ক্ষেত্রেই গ্রাফিক্স ছাড়া কাজ
সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। আর তাই গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা চিন্তা মুক্ত থাকতে পারেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইনে কি কি শিখতে হয়
গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখব তার জন্য কিছু অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যেমন
Adobe photoshop ও
Ai এসব অ্যাপ্লিকেশনে
কাজ শিখতে হবে। ডিজাইনের ধারনা জানতে হবে। একটা লোগো কেমন হতে পারে, একটা টি
শার্ট এর ডিজাইন কেমন হতে পারে, এসব বিষয়ে ধারনা থাকা প্রয়োজন। এরপর অ্যাডোবি
ফটোশপ ও ইলাস্টেটর দিয়ে কাজের প্যাকটিস করুন। যত প্যাকটিস করবেন তত দক্ষতা, তত
স্কিল ভালো করার জন্য সাহায্য করবে।
তারপর শিখতে হবে টাইপোগ্রাফি যেমন বিভিন্ন ধরনের ফন্ট, ফন্টের সেটিং, টেক্সট এর
সেটিং এসব বিষয়ে শিখতে হবে। আরো শিখতে হবে কালার কম্বিনিশন , কালার কোড, রঙের
সমন্বয় ইত্যাদি শিখতে হবে, যাকে বলা হয় কালার থিওরি। এছাড়াও গ্রাফিক্স কনসেপ্ট এর
ধারনা শিখতে হবে। যেমন সোস্যাল মিডিয়া গ্রাফিক্স, পোস্টার, ব্র্যান্ডিং, লোগো
ডিজাইন ইত্যিাদি এসব কাজের উপর ধারনা পেতে হবে। আরো অনেক শিখার বিষয় রয়েছে।
যেমন আপনার গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর কতটুকু ধারনা বা অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং মৌলিক
ধারনা কেমন তার মাধ্যমেই আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনে কাজ করতে পারবেন। এরপর আপনি যে
কাজটি পাবেন তা আপনি কেমন ভাবে পরিচালনা করতে পারছেন তার দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
এবং কাজ দিনের পর দিন নতুন চিন্তা ধারা থেকে উন্নতির দিকে ফিডব্যাক করা
শিখতে হবে। এতে আপনার কাজের চাহিদা আরো বাড়বে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে কত টাকা লাগে
গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে হলে আমাদের কত টাকা খরচ হতে পারে তা আমাদের প্রায়
সবারি অজানা। কেউ যদি একদম শুরু থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে চায়, প্রথমেই তার দরকার হবে একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ।
৬০,০০০ হাজার টাকার মধ্যে একটি কম্পিউটার বা ৮০,০০০ হাজার টাকার মধ্যে একটি
ল্যাপটপ কিনতে পারেন । এগুলো দিয়ে অ্যাডোবি ফটোশপ ও ইলাস্টেটরের বেসিক কাজগুলো করা যাবে।
তারপরে যেটি দরকার হবে সেটি হল ইন্টারনেট সংযোগ। এতে মাসিক প্রায় দুই থেকে
তিন হাজার টাকা খরচ করতে হবে। ব্যান্ডউইথ ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে তা কম লাগবে।
এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটি সেটি হল কোর্স। আপনার কোর্সের উপর ডিপেন্ড করবে
আপনি কোর্স বাবদ কত টাকা খরচ করবেন। কোর্স ফি সাধারণত ৫০০ টাকা থেকে বিশ হাজার
টাকা পর্যন্ত হতে পারে। যেখানে বিশ্ববিধ্যালয় ডিগ্রি প্রোগ্রামের খরচ বেশি
হয়।
আরো কিছু খরচ রয়েছে যেমন সফটওয়্যার খরচ। এডোবি ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর
সফটওয়্যারগুলোকে মাসব্যাপী বা বছরব্যাপী সাবস্ক্রিপশন করতে ২০০০ থেকে ৫০০০
টাকা খরচ হতে পারে। আরো রয়েছে গ্রাফিক্স ডিজাইনের বই সমূহ লে কিনতে খরচ হয়ে
থাকে। সব দিক দিয়ে আপনি যদি সম্পূর্ণরূপে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে চান তবে ৫০
হাজার থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে কোথায় কাজ করবো
গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখব এবং কোথায় কিভাবে গ্রাফিক্সের কাজ করব এসব
প্রশ্ন সবারই থেকে যায়। ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট যেমন ফাইবার, আপওয়ার্ক,
ফ্রিল্যান্সার এসব সেক্টরে গ্রাফিক্সের কাজ করতে পারবেন। এসব সেক্টরে কাজ করলে
আপনি বিভিন্ন প্রজেক্ট থেকে কাজ করার সুযোগ পাবেন। আবার ট্রাক্স ডিজাইন শিখে
কোন স্টুডিও বা এজেন্সিতে কাজ করতে পারবেন। এছাড়া পত্রিকা বিজ্ঞাপন এসব
তৈরিতে
গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে পারবেন। কোনো ব্র্যান্ডের আইডেন্টি বা
লোগো তৈরি করে ইনকাম করতে পারবেন। পরবর্তীতে আপনিও গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখিয়ে বা
কোর্স পরিচালনা করে ইনকাম করতে পারেন। আবার অন্য কোন মাধ্যম যেমন ফ্যাশন ভিডিও
গেমস ইত্যাদিতে অনেক গ্রাফিক্সের প্রয়োজন হয়। সেখানে গ্রাফিক্স ডিজাইনার
হিসেবে কাজ করা যাবে। আপনার ইচ্ছা শক্তি ও দক্ষতা স্কিলের উপর ভিত্তি
করে
গ্রাফিক্স ডিজাইনের যে কোন ক্ষেত্রে কাজ শুরু করতে পারবেন। তবে এর জন্য থাকতে
হবে আপনার প্রচুর ইচ্ছা শক্তি ও ধৈর্য। তাহলেই এই কাজগুলো করে আপনি সফল হতে
পারবেন। এবং ফ্রিল্যান্সার সেক্টর গুলোতে খু্ব সহজেই কাজ করার প্রসেস করে নিতে
পারবেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে কাজ করার মাধ্যমের অভাব থাকবেনা বলে আমি
মনে করি। কারন সবকিছু গ্রাফিক্স ডিজাইনে হচ্ছে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে কি কি লাগে
এই অংশে আমরা জানবো গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে কি কি প্রয়োজন হয়। প্রথমত
গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে গ্রাফিক্সের সফটওয়্যার গুলো প্রয়োজন হবে।
গ্রাফিক্সের কাজ করতে হলে যেগুলো সফটওয়্যার এর প্রয়োজন হয় বা শিখতে হয়
সেগুলো সম্পর্কে জেনে নিন। গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করতে যে সফটওয়্যার
প্রয়োজন হয় তার একটি হল Ai। এই
সফটওয়্যার দ্বারা মূলত প্রিন্টিং ও ভেক্টর সেকশন এর কাজগুলো করা
হয়।
সেকেন্ড সফটওয়্যার যেটি হল সেটি এডোবি ফটোশপ। এই সফটওয়্যারে ফটো সংক্রান্ত কাজগুলো করা হয়। এ দুইটাই সফটওয়্যার
দ্বারা গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করা হয়। ধরুন কোন একজন তার একটি নতুন
কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত করছে। এক্ষেত্রে তার একটা কোম্পানির ব্র্যান্ড লোগো
প্রয়োজন হবে। আবার বিজনেস কার্ডেরও দরকার হবে। এবং কোম্পানির আরো কিছু
প্রোফাইল পিকচার প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সেই কোম্পানির একটা ওয়েবসাইট
লাগে।
এবং পেইজের ব্যানার, প্রোফাইল পিক লোগো এসবের দরকার হয়। আর এই সব কাজগুলো
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে করা হয়। গ্রাফিক্সের এত কাজ যে বলেই শেষ করা
যাবে না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন ডিজাইন করতে কি কি প্রয়োজন হয়। উল্লেখিত
সফটওয়্যার দুটি দাঁড়া এই কাজগুলো সম্পন্ন করা যায়। আর অবশ্যই এটি
কম্পিউটার বা ল্যাপটপে করতে হবে। তার জন্য আপনার প্রয়োজন ল্যাপটপ বা
কম্পিউটার ও নেট সংযোগ।
গ্রাফিক্সের মূলকথা
গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখব তার শূন্য থেকে প্রতিটা ধাপ আপনাদের সামনে
তুলে ধরেছি। আশা করি প্রতিটা বিষয় আপনারা বুঝতে পেরেছেন। গ্রাফিক্স এমন
একটি কাজ যেটি শিখতে একটু কষ্ট হবে, আবার আপনার ভালও লাগবে। যদি এমনটা
ভাবেন শিখতে হবে তাই শিখছি তাহলে আপনি কখনোই গ্রাফিক্স ডিজাইন সফল হতে
পারবেন না। ধাপগুলো অনুসরণ করে গ্রাফিক্স করা শুরু করুন আশা করি সফল
হবেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে পুরো বেসিক ধারণা আপনাদের দিতে পেরেছি আশা করি।
এই আর্টিকেল থেকে নিশ্চয়ই আপনারা বুঝতে পেরেছেন, গ্রাফিক্স কিভাবে শিখবেন।
এবং প্রতিটি ধাপ অনুসারে নিয়ম মেনে গ্রাফিক্স কাজ শুরু করতে পারেন। আর
হ্যাঁ আপনার অবশ্যই অবশ্যই ইচ্ছাশক্তি ও ধৈর্য থাকতে হবে। তবে গ্রাফিক্স
ডিজাইন সফল হবেন, ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url