গুগল সার্চ কনসোল কি ও কিভাবে কাজ করে
গুগল সার্চ কনসোল কি এটা জানতে আপনি সঠিক আর্টিকেলে প্রবেশ করেছেন। যারা আপনারা ফ্রিল্যান্সার আছেন তাদের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে একটি মাধ্যম হচ্ছে গুগল সার্চ কনসোল। তাই এটা জানার জন্য বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে এই আর্টিকেলে। গুগল সার্চ কনসোল সম্পর্কে জানতে আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ আপনার জন্য।
গুগল সার্চ কনসোল সম্পর্কে বিস্তারিত, এবং এটি কিভাবে সেট করতে হয় এবং গুগল সার্চ কনসোল কোথায় কাজ করে। এবং সার্চ কনসোলের আরো গোপন ১০ টি প্রয়োজনীয় ট্রিকস আপনাদের সামনে শেয়ার করতে যাচ্ছি। তাহলে চলুন জেনে আশি গুগল সার্চ কনসোল এর কাজ টা কি।
পোস্ট সুচিপত্রঃ গুগল সার্চ কনসোল
- গুগল সার্চ কনসোল কি
- গুগল সার্চ কনসোলের ক্লিক ও ইমপ্রেশন
- গুগল সার্চ কনসোলের সিটিআর ও পজিশন
- সার্চ কনসোলে রোবট টেক্সট এর কাজ কি
- সাইট ম্যাপ কি ও এর কাজ
- গুগল ম্যানুয়্যাল ইনডেক্স এর কাজ কি
- গুগল ইনডেক্স ও নো ইনডেক্স
- রিকুয়েষ্ট রিমুভাল ইনডেক্স করার পদ্ধতি
- গুগল সার্চ কনসোলের পরবর্তী কাজ
- শেষকথা
গুগল সার্চ কনসোল কি
গুগল সার্চ কনসোল কি এটা নিশ্চয়ই অনেকেরই অজানা। ধরুন আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে।
সেখানে আপনি অনেকগুলো আর্টিকেল লিখে পোস্ট করেছেন, কিন্তু আপনার কোন পোস্ট লোকজনে
সার্চ করে খুঁজে পাচ্ছে না। আর সার্চ করে খুঁজে পাওয়ার মাধ্যমই হচ্ছে গুগল সার্চ
কনসোল। আপনার ওয়েবসাইটের কোন পোস্ট তো আর এমনি এমনি গুগলের শো করবেন না। তার
জন্য গুগল সার্চ কনসোলে পোস্টগুলো ইনডেক্স দিতে হবে।
তবেই আপনার পোস্টগুলো মানুষ সার্চ করে খুঁজে পাবে। আর সেখানে অ্যাড দেখানোর
মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। আর এর জন্য আপনার ওয়েবসাইটকে গুগল সার্চ কনসোলে
অ্যাড করতে হবে। ধরুন আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে, এবং সেখানে গুগলে সার্চ করে কতজন
আপনার ওয়েবসাইটকে দেখতে পাচ্ছে, সেটা ট্রাক করার মাধ্যমই হচ্ছে গুগল সার্চ
কনসোল। এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন গুগল সার্চ কনসোল কি।
আরো পড়ুনঃ এসইও শিখে কিভাবে আয় করবো
গুগল সার্চ কনসোল হচ্ছে সেই জায়গা, যেখান থেকে আমরা দেখতে পারি গুগল থেকে কতজন
আমাদের ওয়েবসাইটকে ভিউ করছে। এবং সার্চ কনসোল থেকে আমরা দেখতে পারি যে কতটা পেজ
ভিই হয়েছে, কোন পোস্টি ভিউ হয়েছে, কোথায় থেকে ভিউ হয়েছে, এসব সবকিছু ট্রাক
করায় গুগল সার্চ কনসোলের কাজ।
গুগল সার্চ কনসোলের ক্লিক ও ইমপ্রেশন
গুগল সার্চ কনসোল কি ও ক্লিক হচ্ছে সেই জিনিস যেটার মাধ্যমে আপনি দেখতে পাবেন, আপনার ওয়েবসাইটে কতজন সার্চ করে এসে ঢুকেছে। এটাকেই টোটাল ক্লিক বলা হয়। একটা ওয়েবসাইটের জন্য ক্লিক অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ক্লিকের সংখ্যা যত বেশি হবে আপনার ওয়েবসাইট তত মানুষ বেশি ভিউ করবে। এটি আপনার ওয়েবসাইটে সার্চ কনসোল অ্যাড করার ফলে সব দেখতে পাবেন।
এবং সার্চ কনসোলের ইমপ্রেশন এই জিনিসটা আসলে কি? ইমপ্রেশন হচ্ছে গুগলে সার্চ করে কতজন আপনার ওয়েবসাইটকে দেখতে পাচ্ছে তার সংখ্যায় হচ্ছে ইমপ্রেশন। মনে করেন এই ওয়েবসাইটে ১০০ জন ব্যক্তি সার্চ দিল অর্গানাইজ আইটি লিখে। তাহলে সেই ১০০ জন ব্যক্তি আমাদের ওয়েবসাইটকে দেখতে পাবে। আর সেটাই হচ্ছে ইমপ্রেশন। আর ইমপ্রেশনের ১০০ জনের মধ্যে কতজন আপনার ওয়েবসাইটে ঢুকেছে সেটাই হচ্ছে ক্লিক।
এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন গুগল সার্চ কনসোলের ইমপ্রেশন ও ক্লিক বিষয়টা কি। এবং এই ক্লিক ও ইমপ্রেশনের সংখ্যা যত বেশি হবে একটা ওয়েবসাইটকে রেঙ্ক করানোর জন্য তত ভালো হবে। এর ফলে আপনার ওয়েবসাইটে ভিউ হওয়ার সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে। এই দুটির ফলে দেখতে পাবেন আপনার ওয়েবসাইট কোন পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।
গুগল সার্চ কনসোলের সিটিআর ও পজিশন
গুগল সার্চ কনসোল কি এর মধ্যে আরো কি রয়েছে চলুন আরো বিস্তারিত জেনে নি।
ইমপ্রেসন ও ক্লিক এর পাশাপাশি আরো রয়েছে এভারেজ সিটিআর ও এভারেজ পজিশন। সিটিআর
এর পূর্ণরূপ হচ্ছে ক্লিক থ্রো রেট। ইমপ্রেশনে যতজন সার্চ করেছে তাদের মধ্য থেকে
কত পারসেন্ট মানুষ আপনার ওয়েবসাইটে ঢুকেছে সেটাই হচ্ছে এভারেজ সিটিআর। আরো সহজ
করে বলতে গেলে সিটিআর হচ্ছে গুগলে সার্চ করে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার
পার্সেন্টেজ।
আরো পড়ুনঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখব
আরো একটি রয়েছে পজিশন যেটাকে বলা হয় এভারেজ পজিশন। আপনার ওয়েবসাইট কে সার্চ
করে কত নাম্বারে দেখতে পাচ্ছে সেটাই হচ্ছে এভারেজ পজিশন। আমরা যখন গুগলে সার্চ
করে কিছু দেখতে চায়, তখন অনেকগুলো ওয়েবসাইট আমাদের সামনে আসে একের পর এক। আর এটার
পজিশন দেখাই হচ্ছে এভারেজ পজিশন। তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন গুগল সার্চ
কনসোলের এভারেজ সি টি আর ও এভারেজ পজিশন সম্পর্কে।
আপনার ওয়েবসাইটের জন্য এভারেজ সি টি আর যত হবে তত ভালো। এবং এভারেজ পজিশন যত কম
হবে তত ভালো। আপনার ওয়েবসাইটকে র্যাঙ্ক করানোর জন্য এগুলো বিষয়ে খুব
গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনি কাজ করার সময় যত ভাল কাজ করতে পারবেন, আপনার ওয়েবসাইটের
সার্চ কনসোল তত ভালো দেখাবে।
সার্চ কনসোলে রোবট টেক্সট এর কাজ কি
গুগল সার্চ কনসোল কি, এবং সার্চ কনসোলে রোবট টেক্সট কিভাবে কাজ করে কিভাবে রোবট
টেক্স করতে হয় বিষয়গুলা জানা খুব প্রয়োজন। রোবট টেক্সট সেট করতে প্রথমত আপনাকে
আপনার ওয়েবসাইটের সেটিং এ প্রবেশ করতে হবে। এবং সার্চ কনসোল অ্যাড করার আগে
অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে ভিজিবল টু সার্চ ইঞ্জিন অন আছে কিনা। এটি অফ থাকলে
অবশ্যই অন করে দিতে হবে, না হলে কোন কাজে আসবে না।
সেটিং এ গিয়ে কলারস অ্যান্ড ইনডেক্সিং এ গিয়ে কাস্টম রোবট টেক্সট অন করে দিতে
হবে। এবং কাস্টম টেক্সট এ আপনি এমন কিছু লিখবেন যাতে আপনার ওয়েবসাইট এর কোন পেজ,
কোন পোস্ট গুগল সার্চে দেখাবে কি দেখাবে না, কিভাবে দেখাবে কতগুলো দেখাবে এসব
বিষয়ে কাস্টম রোবট টেক্সট এগিয়ে লিখে সেভ দিতে হবে। এরপর আপনাকে কাস্টম রোবটস
হেডার ট্যাগ অপশনটি চালু করে দিতে হবে।
এবং আপনার প্রয়োজনীয় অপশন গুলো অফ অন করে দিতে হবে। আপনি কি কি দেখাতে চাচ্ছেন,
কি কি দেখাতে চাচ্ছেন না এগুলা বিষয়ে উল্লেখ করতে হবে। এরপর আপনার ওয়েবসাইটের
পেজের সাইট ম্যাপ, এবং পোষ্টের একটি সাইট ম্যাপ কাস্টম রোবট টেক্সটে লিখে সেভ
দিতে হবে। তাহলে আপনার পোস্ট এবং পেজ গুগল সার্চ কনসোলে ইনডেক্সিং হয়ে যাবে। আরে
এভাবেই রোবট টেক্সট কাজ করে থাকে।
সাইট ম্যাপ কি ও এর কাজ
গুগল সার্চ কনসোল কি এতক্ষণে নিশ্চয়ই আপনারা বুঝতে পেরেছেন। গুগল সার্চ কনসোলে
আপনার কোন ওয়েবসাইটের পেজ বা পোস্ট কে ইনডেক্স করার জন্য যে পদ্ধতি অবলম্বন করা
হয় সেটাই হচ্ছে সাইট ম্যাপ। সাইট ম্যাপ দিয়ে যদি আমরা আমাদের পোস্ট ও পেজ গুলা
গুগলকে দিয়ে দিতে পারি, তাহলে গুগল সেখান থেকে আমাদের পোস্ট বা পেজগুলো ট্রাক
করে ছড়িয়ে দিতে পারে। আর এটাই হচ্ছে সাইট ম্যাপ এর কাজ।
আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো
ওয়েবসাইটের সেটিং এ কাস্টম রোবট সেকশনে দুইটা সাইট ম্যাপ যুক্ত করতে হয়। একটা
হচ্ছে এর সাইট ম্যাপ, আরেকটি হচ্ছে পোস্ট সাইট ম্যাপ। এই দুইটা সাইট ম্যাপে
ওয়েবসাইটের ইউ আর এল এর সাথে বসালে, গুগল সার্চ কনসোল সেই ওয়েবসাইটের পেজ ও
পোস্টগুলো গুগলের আয়ত্তে নিয়ে তা মানুষের মধ্যে প্রচার করে। আর এটিই হলো সাইট
ম্যাপ এর কাজ। এটা শুধু গুগল ব্লগার এর ক্ষেত্রে কাজ করবে।
ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগারের ক্ষেত্রে এটা ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। এরপরে সার্চ কনসালে
গিয়ে সাইট ম্যাপ পেজ এর একটি ইউ আর এল বাসাতে হবে, এবং সাইট ম্যাপ পোস্ট এর একটি
ইউ আর এল বসাতে হবে। তাহলে গুগল সার্চ কনসোলে সাইট ম্যাপ কাজ করবে। তাহলে
নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন সাইট ম্যাপ কি। সহজ করে বলতে গেলে সাইট ম্যাপ হচ্ছে, একটা
ওয়েবসাইটের পোস্ট ও পেজের তালিকা।
গুগল ম্যানুয়্যাল ইনডেক্স এর কাজ কি
আপনার ওয়েবসাইটের পোস্টগুলো গুগল এ ম্যানুয়ালি ইনডেক্স করতে কিছু পদ্ধতি
অবলম্বন করতে হবে। এর জন্য প্রথমে আমরা চলে আসব গুগল সার্চ কনসোলে। নতুন অবস্থায়
যদি আপনার ওয়েবসাইট সেটাপ না থাকে, তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের ডোমেন নাম দিয়ে
সার্চ কনসোল যুক্ত করে নিন। এরপর সার্চ কনসোলের সেটিং অপশনে গিয়ে এইচ টি এম এল
ট্যাগ কপি করে আপনার ব্লগারেরথিম এইচ টি এম এলে বডি সেকশনে যুক্ত করে দিতে
হবে।
তাহলে আপনার সার্চ কনসোল অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে। এবার আপনার ওয়েবসাইটের
পোস্টগুলো ম্যানুয়ালি ইনডেক্স করতে সাইট ম্যাপ অপশনে গিয়ে, পোস্ট এবং পেজের
সাইট ম্যাপ দুইটির ইউ আর এল কোড বসাতে হবে। এরপরে আপনার কোন পোস্টটি কতজন দেখেছে
কতবার ক্লিক হয়েছে সব ট্র্যাক করে আপনি দেখতে পারবেন গুগল ম্যানুয়াল ইনডেক্স
করার জন্য। এভাবে ইনডেক্স করার পর যদি
আপনার কোন পোস্ট গুগল সার্চ কন্সলে না আসে, তাহলে একটা একটা করে পোস্ট গুগলে
ম্যানুয়াল ইনডেক্স করতে হবে। এক্ষেত্রে একটা পোষ্টের ইউ আর এল কোড কপি করে, গুগল
সার্চ কনসোলে গিয়ে ইউ আর এল ইন্সপেকশন অপশনে গিয়ে, সেই পোষ্টের ইউআরএল টা
বসিয়ে তারপর রিকুয়েস্ট ইনডেক্সিং এর মাধ্যমে, গুগলে পোস্ট ম্যানুয়ালি ইনডেক্স
করা হয়। তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন সার্চ কনসোল কি এবং কিভাবে এতে ম্যানুয়াল
ইন্ডেক্স করতে হয়।
গুগল ইনডেক্স ও নো ইনডেক্স
গুগলে কিভাবে পোস্ট ইনডেক্স দিতে হয় নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন। এবার আপনার
কোন ইনডেক্স করা পোস্ট যদি আপনি নো ইনডেক্স অর্থাৎ গুগল সার্চ কনসোল থেকে সরিয়ে
দিতে চান তাহলে নো ইনডেক্স পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। এক্ষেত্রে গুগল সার্চ কনসালে
প্রবেশ করে রিমুভাল নামক সেকশনে প্রবেশ করতে হবে। এখানে আসার পর নিউ রিকুয়েস্ট
এখানে এসে আপনি যে পোস্টে রিমুভ করতে চাচ্ছেন
এই পোষ্টের কপি লিংক করে ইউ আর এল কোর্ডটি বসিয়ে দিয়ে নেক্সট অপশানে ক্লিক করলে
সেই পোস্টটি ছয় মাসের জন্য রিমুভ হয়ে যাবে অর্থাৎ নো ইনডেক্স হয়ে যাবে।
কোর্ডটি বসানোর পর একটি কাজ আরো বুঝতে হবে। remove this URL only ও remove all
URLs with this prefix এরকম দুটি অপশন পাবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে remove this URL
only এটা সিলেক্ট করতে হবে। আর যদি remove all URLs with this prefix
সিলেক্ট করে ফেলেন তাহলে পুরো ওয়েবসাইটের সমস্ত পোস্টগুলা ছয় মাসের জন্য রিমুভ
হয়ে যাবে। তাই এখানে কাজ করতে খুব সাবধানে ধীরে স্বাস্থ্যে আস্তে আস্তে কাজ
করবেন। আর এভাবেই ইনডেক্স থেকে নো ইনডেক্স করা হয়। আপনি এতক্ষণে পুরো বিষয়টা
বুঝতে পেরেছেন। এখন নিশ্চয় নো ইনডেক্স করতে আপনার কোনো সমস্যা হবে না।
রিকুয়েষ্ট রিমুভাল ইনডেক্স করার পদ্ধতি
রিকুয়েস্ট রিমুভাল ইনডেক্স করার জন্য কি করতে হবে সেটা মনে হয় আপনারা জেনে
ফেলেছেন। নো ইনডেক্স করার পদ্ধতির মতই সেম ভাবে রিমুভাল ইন্ডেক্সট রিকুয়েস্ট করা
হয়। সাইট ম্যাপ থেকে আপনার পোষ্টের বা পেজের ইউ আর এল কোডটি গুগল সার্চ কনসোল
থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য যে আবেদন করা হয় সেটাই রিমুভাল ইনডেক্স রিকুয়েস্ট। এর
জন্য আপনি সেম ভাবে রিমুভাল অপশনে গিয়ে নিউ রিকোয়েস্ট এ
আপনার ইউআরএল টি বসিয়ে সাবমিট দিয়ে দিলেই আপনার সেই ইউ আর এল এর পোস্টটি বা
পেজটি গুগল সার্চ কনসোল থেকে সরে যাবে। আবার যদি আপনি সেখান থেকে ক্যানসেল মেরে
দেন, তাহলে সেই পেজ বা পোস্টটি রিমুভ না হয়ে আবার ফিরে আসবে। আবার যদি মনে করেন
আপনার কোন সাইট ম্যাপ ইনডেক্স করতে ভুল হয়েছে এক্ষেত্রে সেখান থেকে রিমুভ করে
দিতে পারেন। এজন্য আপনার সাইট মাপে গিয়ে
থ্রি ডট অপশনে গিয়ে রিমুভ সাইট ম্যাপ অপশনে ক্লিক করে দেন, তাহলে আপনার সেই সাইট
ম্যাপটি গুগল সার্চ কনসোল থেকে সরে যাবে। আবার যদি মনে করেন আপনার এই ওয়েবসাইট
সার্চ কন সালে রাখবেন না তাহলে, গুগল সার্চ কনসোল থেকে আপনার ওয়েবসাইটটি
পুরোপুরি রিমুভ করে ফেলতে পারেন। আবার একটা সার্চ কনসোল থেকে কয়েকটি ওয়েবসাইট
কে ইনডেক্স করানো যায়।
গুগল সার্চ কনসোলের পরবর্তী কাজ
সার্চ কনসোল কি সেটা নিশ্চয়ই এতক্ষনে পুরোপুরি বুঝতে পেরেছেন। আপনার ওয়েবসাইট
গুগল সার্চ অঞ্চলে অ্যাড করার পর বেশ কিছু কাজ থাকে। যেগুলো করার ফলে আপনার
ওয়েবসাইট আরো দ্রুত রেঙ্ক করতে পারে। সার্চ কনসোল অ্যাড করার পর আপনি আপনার
ওয়েবসাইটের সমস্ত তথ্য অ্যানালাইসিস করে দেখতে পারেন কোন পোস্ট বেশি ভিউ হচ্ছে।
এক্ষেত্রে আপনি সেই পোস্টগুলো
আরো ভালোভাবে মডিফাই করে ইনডেক্স করতে পারেন। এতে করে ওই পোস্টে ভিউয়ারসের
সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে। পরবর্তী পোস্টগুলো লেখার সময় আপনি সেই ভাবে লিখতে
পারবেন। এতে আপনার জন্য অনেক সুবিধা হবে। এরপরে পরবর্তী পোস্টগুলোর সব ইনডেক্স
করতে হবে। এরপর আপনার ওয়েবসাইটের কোন পোস্ট বেশি ভিউ হচ্ছে সেই অনুযায়ী ওই
ধরনের পোস্ট আরো মূল্যায়ন
করতে পারেন। এতে আপনার ওয়েবসাইট আরো ভালো ফলাফল পাবে। এরপরে নিয়মিত সার্চ
কনসালে গিয়ে আপনার ডেটা গুলো পর্যবেক্ষণ করুন। এবং প্রয়োজনীয় তথ্য পরিবর্তন
করতে হলে সেটা মডিফাই করে দিন। এগুলো করার ফলে আপনার ওয়েবসাইটের এসইও উন্নত হবে।
এবং google এর সমস্ত নীতিমালা মেনে পোস্ট পাবলিশ করুন। তাহলে আপনার ওয়েবসাইট
দ্রুত র্যাঙ্ক করবে।
শেষকথা
সার্চ কনসোল কি ও সার্চ কনসোল কিভাবে কাজ করে আশা করি বুঝতে পেরেছেন এই
আর্টিকেলটি পড়ে। এবং সার্চ কনসোল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এইভাবে
আপনার সার্চ কনসোলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন খুব সহজেই। তাই গুগলের সমস্ত
নিয়ম-কানুন মেনে সার্চ কনসোল রানিং করলে ভালো ফলাফল পাবেন। তাহলে একটা
ওয়েবসাইটকে র্যাঙ্ক করানো সম্ভব।
আমাদের এই আর্টিকেলটি পরে হয়তো উপকৃত হয়েছেন এবং আমাদের ওয়েবসাইটে থাকার জন্য
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা নিয়মিত আপনাদের প্রয়োজন অনুযায়ী আর্টিকেল লিখে
থাকি। সমস্ত তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। আমদের এই ওয়েবসাইটে
সমস্ত কিছু তথ্য খুঁজে পাবেন না। এতক্ষণ আমাদের ওয়েবসাইটে সময় দেওয়ার
জন্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url