ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায় ও করনীয়

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায় পেতে আমরা অনেকেই অনেক দৌড় ঝাপ করে থাকি। ডায়াবেটিস একটি মারাত্বক রোগ হিসেবে দাড়িয়েছে। আজকের এই আর্টিকেলটি নিয়ে এসেছি কিভাবে আপনারা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন আপনি নিজে থেকেই। আপনি তা জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। 

ডায়াবেটিস-নিয়ন্ত্রনের-উপায়-ও-করনীয়

ডায়াবেটিস বর্তমান সময়ে একটি মরন ব্যাধি হিসেবে দায়িয়েছে। তাই ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা পেতে অনেক ডাক্তার লাগছে, অনেক টাকা পয়সা খরচ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি আপনি নিজ থেকেই কিভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন তার পাঁচটি উপায়। 

পেজ সূচিপত্রঃ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায়

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায়

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সঠিক উপায় গুলো মানতে হলে আপনাকে চারটি মাধ্যম অনুসরণ করতে হবে। প্রথমত হচ্ছে ডায়েট, একজন ডায়াবেটিস রোগীর ওজন ও উচ্চতা বিবেচনা করে যে পরিমাণ খাদ্য খাওয়া উচিত এবং যে পরিমাণ সুষম খাদ্য খাওয়া উচিত সেটাই হলো ডায়েট। দ্বিতীয়ত যেই বিষয়টি সেটি হচ্ছে ডিসিপ্লিন। বিভিন্নভাবে ডিসিপ্লিন এর কথা বলা হয়। যেমন, সঠিক সময়ে ঘুমানো এবং সঠিক সময় ঘুম থেকে উঠা। 

এবং প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে হাটা সপ্তাহে পাঁচ দিন ইত্যাদি। ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ৭ দিনে ১৫০ মিনিট হাটা প্রয়োজন। তৃতীয় যে বিষয়টি হচ্ছে সেটি হল ঘুম। নিয়মিত সঠিক পরিমাণে অর্থাৎ ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৬ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। ৬ ঘন্টা না ঘুমালে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা কষ্ট হয়ে যাবে। এর জন্য প্রতিদিন ছয় ঘন্টা ঘুমালে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ছাড়া সম্ভব। তা না হলে ওষুধ ইনসুলিন দিয়ে খুব একটা কাজ হয় না। 

কম ঘুমানোর ফলে হৃদরোগ, ব্রেন স্ট্রোকের মতো সমস্যা হতে পারে। তাই সঠিক পরিমাণ ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৬ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। চতুর্থ যে মাধ্যমেটি হলো সেটি হচ্ছে, ঔষধ সেবন। এর আগের তিনটি মাধ্যম যা আপনার ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণ করার মুল চিকিৎসা। এর পরেও যদি আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ না হয়, তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। সেটা হতে পারে ট্যাবলেট ওষুধ বা ইনজেকশন। 

ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায়

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায় হলো প্রাকৃতিক খাবার গ্রহন অন্যতম। ডায়াবেটিস কমানোর জন্য নানা প্রাকৃতিক উপায় আছে। যেমন:

  • সুষম খাদ্য: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সবুজ শাকসবজি ফল শস্য এবং প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। এটি প্রাকৃতিক উপায়ে ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণ করে। এবং সুষম খাদ্যের পাশাপাশি এটাও খেয়াল রাখতে হবে, সেই সুষম খাদ্যের মাঝে কোন চিনি জাতীয় খাবার খাওয়া যাবেনা। সুষম খাদ্য খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় দেই। ফলে ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে আসে। তাই সুষম খাবার খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। 
  • নিয়মিত ব্যায়াম: এক সপ্তাহে একজন ডায়াবেটিস রোগীকে ১৫০ মিনিট হাঁটা প্রয়োজন। এতে করে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন সকালে উঠে আপনি আধাঘন্টা বা ৫০ মিনিট করে হাঁটতে পারেন। এছাড়া সাইকেল চালানো বা জিমে গিয়েও ব্যায়াম করতে পারেন। এতে শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায় এর মধ্যে ব্যায়াম একটি বিষয়। 
  • পানি পান ও ঘুম: দেহের হাইড্রেশন ধরে রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়া খুবই জরুরী। আর হাইড্রেশন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এবং পানি খাওয়ার পাশাপাশি প্রাকৃতিক উপায়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে ঘুমেরও প্রয়োজন। প্রতিদিন ২৪ ঘন্টার মধ্যে ছয় ঘন্টা ঘুমানো খুবই প্রয়োজন। আর এসব মেনে চললে প্রাকৃতিক উপায়ে অবশ্যই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। 

ডায়াবেটিস এর লক্ষণ কি কি

ডায়াবেটিস রোগটি বর্তমান সময়ে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। অনেকেই বুঝতে পারেন না যে ডায়াবেটিস তার শরীরে আছে কিনা। ডায়াবেটিসেরও অনেক লক্ষণ রয়েছে যেগুলো বুঝতে পারলে মনে করবেন ডায়াবেটিস হয়েছে। ডায়াবেটিস হলে হঠাৎ করে ওজন কমে যায়। হঠাৎ করেই শরীরের মধ্যে ভাগ যদি বড় হয়ে যায় তাহলে বুঝবেন ডায়াবেটিসের পূর্বাভাস। এছাড়াও যাদের বাবা-মায়ের ডায়াবেটিস রয়েছে এ থেকে তারও ডায়াবেটিস হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

যাদের হাই প্রেসার আছে, রক্তের ছবি বার কোলেস্টেরল রয়েছে তাদেরও ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। যাদের ওজন অতিরিক্ত বেশি তাদের ক্ষেত্রেও ডাইবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যারা শুয়ে বসে থেকে কাটাই এবং ক্যালরি যুক্ত খাবার খেয়ে থাকে তাদের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস হওয়ার লক্ষণ রয়েছে। এছাড়াও পিপাসা লাগা, গলা শুকিয়ে যাওয়া, বারবার প্রসাব হওয়া, চোখে আবঝাপ দেখা, মাথা ঝিমঝিম করা, 

অতিরিক্ত দুর্বলতা, হাত ও পায়ে জ্বালাপোড়া করা ইত্যাদি এই লক্ষণ গুলো দেখা দিলে বুঝে নিবেন আপনার ডায়াবেটিস হয়েছে। এক্ষেত্রে খুব দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ডাইবেটিকস পরীক্ষা করতে পারেন। তারপরে সুষ্ঠু চিকিৎসা নিয়ে তান নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন। তাই আপনার ডায়াবেটিস না হয়, তার জন্য আগে থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করে চলুন। এতে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।

ডায়াবেটিস হলে করণীয় কি

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায় সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমে আমাদের জানা দরকার ডায়াবেটিস হলে করণীয় কি। ডায়াবেটিস রোগীকে অত্যন্ত জ্ঞান সম্পন্ন হতে হয় ডায়াবেটিস কে কন্ট্রোলে রাখার জন্য। ডায়াবেটিস কেন হয়, কিভাবে হয়, ডায়াবেটিস হলে কিভাবে সুগার নিয়ন্ত্রণ রাখবো, সুগারের টার্গেট কত থাকবে, আমাদের উচ্চ রক্তচাপ কতটুকু নিয়ন্ত্রণে থাকা দরকার, কোলেস্ট্রল কতটুকু নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। 

আমাদের ওজন কতটুকু রাখতে হবে, সুগার মিটার দিয়ে কিভাবে পরীক্ষা করা হয়, এবং কিভাবে ইনসুলিন নিতে হয়, ডায়াবেটিস রোগী যদি অসুস্থ হয় সে কিভাবে মোকাবেলা করবে এ সমস্ত বিষয়ের উপর জ্ঞান থাকা দরকার। এছাড়াও রমজান মাসে ওষুধের দোষ কিভাবে তিনি খাবেন এসব বিষয়ে তার নিজের একটি জ্ঞান সম্পন্ন হওয়া জরুরী। অর্থাৎ একজন ডায়াবেটিস রোগীকে তার প্রতিটি ধাপে ধাপে নিয়মমাফিক চলাফেরা করতে হয়। 

এছাড়াও তিনি কোন কোন খাবার গুলো বেশি খাবেন, কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন সে বিষয়ে জানতে হবে। এবং নিয়মিত শরীরচর্চা অর্থাৎ ব্যায়াম করতে হবে। যাতে তার ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। এবং নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তাকে সুন্দর একটি জীবন যাপন করতে হবে। তবেই ডায়াবেটিস মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে। ডাইবেটিকস হলে উক্ত নিয়মগুলো লক্ষ্য দেখতে চলাফেরা করলে ডায়াবেটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। 

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায় সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথমেই আমরা যেটি বেশি প্রাধান্য দেই সেটি হচ্ছে ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা। এ সেকশনে আপনারা জানবেন ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা নিয়ে। কোন কোন খাবার খেতে হবে এবং কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। ডায়াবেটিকস রোগী প্রায় সব ধরনের খাবারই খেতে পারে। সাধারণ মানুষকে আমরা যেমন, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট এই ধরনের খাবার কে যেভাবে খেতে পারি।
ডায়াবেটিস-রোগীর-খাদ্য-তালিকা

ডায়াবেটিস রোগীরাও ঠিক একইভাবে এই খাবারগুলো  খেতে পারে। সেক্ষেত্রে সরল শর্করা জাতীয় খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। যেমন, চিনি, গুড়, মধু, মিশ্রি এত প্রকার মিষ্টি জাতীয় খাবার আছে এগুকে এড়িয়ে চলতে হবে। এছাড়া প্রত্যেক দিন প্রোটিন জাতীয় খাবার গুলো খেতে হবে। ফ্যাট সোর্স থেকেও খাবার খাওয়া খুবই প্রয়োজন। ডায়াবেটিকস রোগী তিনটি বিষয় মাথায় রাখলেই, খাদ্য ব্যবস্থাপনা সম্ভব। 

একটা হচ্ছে কি খাচ্ছেন, কখন খাচ্ছেন, এবং কি পরিমানে খাচ্ছেন । এছাড়াও পরিমিত পরিমাণ পানি, শাকসবজি ডায়াবেটিস রোগীকে খেতে হবে। এছাড়া ডায়াবেটিস রোগীকে তিন ঘন্টা পর পর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। পুরো দিনের খাবার একবারে না খেয়ে সেটি যদি পাঁচ থেকে ছয় বারে খাই সেটি সবচেয়ে ভালো। তাই ডায়াবেটিস রোগী যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাহলে আপনি সুস্থ জীবন যাপন করতে পারবেন। 

ডায়াবেটিস এর স্বাভাবিক মাত্রা কত

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায় জানতে হলে আমাদের এটাও জানতে হবে যে, ডায়াবেটিসের স্বাভাবিক মাত্রা কত হলে ভাল হয়। ডায়াবেটিসের মাত্রা স্বাভাবিক হচ্ছে বেড়ে গেলে সেটিকে ডায়াবেটিস বলা হয়। ডায়াবেটিস পরীক্ষা করার সময় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম ভাবে পরীক্ষা করা হয়। এর জন্য অন্য কোন রোগ পরীক্ষা করতে গেলেও অনেকেরই ডায়াবেটিস ধরা পড়ে। এর জন্য ডায়াবেটিসের স্বাভাবিক মাত্রা জানা দরকার।

ফাস্টিং ব্লাড সুগার যেটি ৮ ঘন্টা খালি পেটে থাকার পর পরীক্ষা করা হয় অর্থাৎ সকালে খালি পেটে যেটি পরীক্ষা করা হয়। সেটির স্বাভাবিক মাত্রা হল ৬ থেকে ৬.৬ পর্যন্ত। এবং নাস্তা করার ২ ঘণ্টা পর যেই ব্লাড সুগারটি পরীক্ষা করা হয়, সেটির স্বাভাবিক মাত্রা হল ৭.৮। আরেকটি পরীক্ষা রয়েছে যেটি সব সময় করা হয়, এটার স্বাভাবিক মাত্রাও ৭.৮ পর্যন্ত হলে ভালো হয়। এবং কেউ যদি নতুন ডায়াবেটিস পরীক্ষা করে।

এক্ষেত্রে তার যদি স্বাভাবিক মাত্রা ৭.৮ থেকে ১১ পর্যন্ত হয়, সেটির উপর ভিত্তি করে কোন চিকিৎসা করা যাবে না। তাকে পুনরায় আবার ব্লাড সুগার পরীক্ষা করে জানতে হবে তার ডায়াবেটিস আছে কিনা। এবং ডায়বেটিসের আরেকটি পরীক্ষা আছে সেটি হল HbA1c এটি স্বাভাবিক মাত্রা হচ্ছে ৬.৫। এবং এক এক জায়গার পরীক্ষার জন্য একটু কম বেশি হতে পারে। আর এগুলোই হচ্ছে ডায়াবেটিস এর স্বাভাবিক মাত্রা ।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যায়াম

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায় জানতে আমরা যখন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে যাই, তখন তারা ব্যায়াম করার পরামর্শ দিয়ে থাকে। কিন্তু ব্যায়াম বলতে আমরা কি বুঝছি, কিভাবে শরীর ফিট থাকবে কিভাবে সুগারকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, এবং শরীর চর্চা করাই হচ্ছে ব্যায়াম। দুই ধরনের ব্যায়াম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খুবই উপকারী। জোরে জোরে হাটা, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা এগুলো ব্যায়াম করলে ডায়াবেটিস কমে আসে বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ডায়াবেটিস-নিয়ন্ত্রনের-জন্য-ব্যায়াম

এটি ডাক্তাররা সবচেয়ে বেশি বলে থাকে এবং রোগীরাও এটি বেশি করে থাকে। এর বাইরেও একটি ব্যায়াম আছে যেটি করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসে। এটি কিন্তু সবাই জানে না বা করে না। যেসব ব্যায়াম করলে বডি বিল্ড হবে, বা মাংসপেশি তৈরি হবে এসব ব্যায়াম করলেও কিন্তু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। কিন্তু এটি সবাই করে না, যদি আপনি করেন তাহলে আপনার কিন্তু ডায়াবেটিস দীর্ঘদিন ধরে খুব ভালো নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

ধরুন আপনি আধা ঘন্টা খুব হেঁটে আসলেন তাহলে সাথে সাথেই সুগার কমে যাবে। কিন্তু আপনি যদি বডি বিল বা বা মাংসপেশী ব্যায়াম গুলো করেন তাহলে আপনার দীর্ঘদিন যাবত ডায়াবেটিস কমে আসবে। মাংসপেশি যত হবে তত ইনসুলিন এর কাজ ভালো হবে। আর তাই এই ব্যায়াম টি করা প্রয়োজন। আর তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ব্যায়াম করাটা খুবি জরুরি।

ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ

প্রথমত ডায়াবেটিস ৫ এর নিচে থাকা সবচেয়ে ভালো। যখন ৪.৬ থেকে ৪.৯ পর্যন্ত থাকলে এটি প্রথমত স্বাভাবিকের মধ্যেই পড়ে। তবে কারো যদি ডায়াবেটিস থেকে থাকে আমরা চেষ্টা করব তার মাত্রা যেন ৫ থেকে ৭ এর মধ্যে থাকে। এবং এটি অবশ্যই খালি পেটে হতে হবে। আবার খাওয়ার পরেও যদি ১০ এর নিচে থাকে তাহলে এটা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে। যে কোন অবস্থাতেই ৭ এর নিচে থাকলে সবচেয়ে ভালো। 

এর চেয়ে বেশি হয়ে গেলে ডায়াবেটিস কন্ট্রোলের বাইরে চলে যায়। ফলে আস্তে আস্তে শরীর শুকিয়ে যেতে পারে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। মন মানসিকভাবে ভারসাম্য হারাতে পারেন। তাই খেয়াল রাখতে হবে ডায়াবেটিস যেন হাতের মধ্যেই থাকে, তা না হলে আস্তে আস্তে আপনার বিপদ দেখা দিতে পারে। আর তাই সব সময় সতর্ক থাকা জরুরি। 

ডায়াবেটি সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে যেমন, টাইফ ১, টাইপ ২।  ডায়াবেটিস রোগের বিপদের সময় রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অত্যাধিক বেড়ে যায় ফলে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং শরীর শুকিয়ে যেতে থাকে। আর সেই সাথে সাথে ডায়াবেটিস এর মাত্রা বেড়ে যাই। তাই আমাদের সঠিক মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজন। তা না হলে বিপদ টাকা দিতে পারে। আমাদের অবশ্যেই তা খেয়াল রাখতে হবে। 

ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে কাদের

একজন ডায়াবেটিকস রোগী যখন ডাক্তারের কাছে যাই চিকিৎসা নিতে, তখন ডাক্তার তাকে বলে দেয়, ডায়াবেটিস হচ্ছে সারা জীবনের রোগ, যেটি একেবারে ভালো হয় না এবং নিয়ন্ত্রণ করতে হবে তার জন্য, ব্যায়াম করতে হবে, ওষুধ খেতে হবে, নিয়মিত খাবার খাইতে হবে ইত্যাদি পরামর্শ গুলো দিয়ে থাকে। এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এবং সঠিক মাত্রায় ডায়াবেটিস রাখতে হবে।

তা না হলে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে ডাক্তাররা বলে থাকেন। যাদের ইনসুলিন তৈরি করার টিস্যু ধ্বংস হয়ে যায়, ফলে ডায়াবেটিস রোগ হয় তাদের আর কোনদিন ডায়াবেটিস ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এর জন্য কন্ট্রোলে রাখতে হয় এবং নিয়মিত ঔষধ খেতে হয়। আবার বংশগত দিক থেকে যদি ডায়াবেটিস হয় তাহলেও সম্পূর্ণ নিরাময় করা সম্ভব না। 

কিছু কিছু ডায়াবেটিস হয় ওজন বাড়ার কারণে। নিয়মিত খাবার খান্না, নিয়মিত ব্যায়াম করেন না এর জন্যই ওজন বেড়ে তার ডায়াবেটিস হতে পারে। এই রোগের ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ নিরাময় করার সুযোগ আছে। তিনি যদি তার ওজন কমিয়ে ফেলতে পারে তারা উচ্চতা অনুযায়ী, আবার আগের মত ফিট নিয়ে আসতে পারে তাহলে একেবারে ডায়াবেটিস নিরাময় করা সম্ভব। সকল ডায়াবেটিস রোগীকে অত্ত্যান্ত সতর্ক থাকতে হবে। 

শেষকথা

ডায়াবেটিস একটি মারাত্মক রোগ তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায় জানলে খুব সহজেই তার মোকাবেলা করা সম্ভব বা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যা এই আর্টিকেল থেকে আপনারা বিস্তারিত জেনেছেন। নিয়মিত খাবার, ব্যায়াম ওষুধ খেলে খুব সহজেই তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। তাই আমাদের হতে হবে খুব সচেতন। এবং জানতে হবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য কি কি উপায় রয়েছে তাহলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

আশা করি এই আর্টিকেল থেকে কিভাবে ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণ করা হয় তা জানতে পেরেছেন। মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে হলে অবশ্যই তাকে সুস্থ থাকতে হবে। আর সুস্থ থাকার জন্যই স্বাস্থ্য বিষয়ক টিপস আমরা আপনাদের দিয়ে থাকি। আশা করি এই আর্টিকেল থেকে আপনি উপকৃত হয়েছেন, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url