কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা
কাঁচা হলুদ যা আমাদের জীবনের প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা কাঁচা হলুদ ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু সবাই হয়তো জানিনা কাঁচা হলুদের কি কি গুনাগুন রয়েছে বা উপকা রয়েছে। আবার কিছু ক্ষেত্রে কাঁচা হলুদের থাকি।
কাঁচা হলুদ নানান প্রয়োজনে ব্যবহার করে থাকি। আর তাই কাঁচা হলুদের সঠিক ব্যবহার আমাদের সকলেরই জানা খুব জরুরি। কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা জানতে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা
কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা
কয়েকশত বছর আগ থেকে হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে। রান্না বান্নার কাজে আমাদের হলুদ ব্যবহার করা হয় এটা আমাদের সকলেরই জানা। কিন্তু হলুদের মধ্যে বেশ কিছু ঔষধি গুনাগুন রয়েছে, তার জন্য হলুদের ব্যবহার আরো দিন দিন বেড়েই চলেছে। হলুদের মধ্যে নানার রকম পদার্থ রয়েছে, তার মধ্যে একটা হলো কারকিউ মাইন। কাঁচা হলুদে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম সহ আরো নানার রকম ভিটামিন থাকে।
হলুদে এক ধরনের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট প্রোপারটিস থাকে, সেই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট প্রোপারটিস মানব দেহে প্রচুর উপকার করে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে যে মানব দেহের কোষে যে জীবানু হয় তা ধ্বংস করতে সাহায্য করে এ কাঁচা হলুদ। মানব দেহে অনেক সমস্যা বা রোগ হয়, যেমন হার্টের সমস্যা, হায়াবেটিকস, হৃদরোগ ইত্যাদি। এসব রোগ থেকে মুক্ত করতে পারে কাঁচা হলুদ। কাঁচা হলুদের অপকারিতাও রয়েছে।
অনেক সময় আমাদের শরিরে ক্ষত হয়ে যায়, যার থেকে অনেক রক্তপাত হয় তাদের জন্য কাঁচা হলুদ খাওয়া ঠিক নয়। আবার যারা ডায়াবেটিকস েএর ঔষধ খেয়ে থাকি তাদের জন্য হলুদ খাওয়া উচিত নয়। এছাড়াও যাদের কিডনি সমস্যা আবার যারা গর্ভধারনে আছেন তারা কাঁচা হলুদকে এড়িয়ে চলুন। কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ধারনা পেতে নিচে আরো বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো
কাঁচা হলুদ খেলে কি কি উপকার হয়
কাঁচা হলুদ আমরা সবাই ব্যবহার করি। আমরা যদি কাঁচা হলুদ বেটে তার রস খাই সেটা উপকারি। আবার যদি গুড়া হলুদ টা খাই তাহলে জিবানু মুক্ত হতে পারে । কিন্তু এতে হলুদের পরিপুর্ণ গুনটা নাও পেতে পারি, তাই কাঁচা হলুদটা যদি পরিস্কার করে খাই তাহলে পুষ্টি গুনাগুন বেশি থাকে। আবার কাঁচা হলুদের সাথে যদি অল্প পরিমান গোল মরিচের গুড়া মিশিয়ে খাওয়া যায় তাহলে কাঁচা হলুদের পুষ্টি গুনাগুন টা আরো বেড়ে যায়।
কাঁচা হলুদ অনেক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। কাঁচা হলুদে অনেক ভিটামিন রয়েছে যা মানব দেহে রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। কাঁচা হলুদ অনেক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে যেমন: হার্ট এর সমস্যা, ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রন, হজম হওয়া, অতিরিক্ত রক্ত চাপ, রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি করে, বয়স জনীত সমস্যা ইত্যাদি এসব রোগে হলুদ কাজ করে । এছাড়াও আরো অনেক অজানা রোগের নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে কাঁচা হলুদ।
এছাড়াও কাঁচা হলুদ খেলে ওজন নিয়ন্ত্রন করে। হলুদে কার্কিউমিন নামক উপাদান রয়েছে এটি শরিরের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে এতে শরিরের ওজন কমিয়ে সাস্থকে করে তোলে ফিট। এছাড়া কার্কিউমিন নামক উপাদানটি লিভারে বিষেশ ভাবে কাজ করে। কোনো প্রকার লিভার জাতীয় রোগ দেহে প্রবেশ করতে পারে না। ত্বকের সৈন্দর্য বাড়ায়, এর জন্য প্রতিদিন এক কাপ দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে খেলে তা বেশি কার্যকরি হবে।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো কিভাবে
কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয়
কাঁচা হলুদ খেলে ত্বকের সৈন্দর্য বাড়িয়ে তুলতে পারে। কারন কাঁচা হলুদে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট নামক গুনাবলি রয়েছে যেটার কারনে ত্বককে উজ্জল করে তোলে। এটি মুখের কালো দাগ, ব্রন, দুর করে। কাঁচা হলুদ খেলে রক্ত চলাচল বাড়ায় যার কারনে ত্বকের কাজ করে কাঁচা হলুদ। কাঁচা হলুদ খাওয়ার ফলে পুরো শরির স্মুথ হয়ে যাবে এবং আরো বেশি ব্রাইট হবে। এছাড়াও বেলি ফ্যাট কমায় কাঁচা হলুদ।
ত্বক ফর্সায় হলুদ খাওয়ার নিয়ম: প্রথমত গরম পানিতে লেবুর রস, এক চামচ হলুদ গুড়ো, এবং এক চামচ মধু। এরপর ভালো ভাবে মিশিয়ে রোজ সকালে নাস্তা করার আগে খালি পেটে খেলে ত্বক হয়ে যাবে আরো ফর্সা। এভাবেই সাত দিনেই ত্বকের কাজ করা শুরু করে দিবে। এছাড়াও অতিরিক্ত পেট কমে যাবে এবং দেহকে করে তুলবে ফিট। এছাড়াও কাঁচা হলুদ দুধের সরের সাথে মুখে লাগালেও ত্বক ফর্সা হয়ে উঠবে।
প্রতিদিন সকালে কাঁচা হলুদ ব্যবহার করলে ত্বকের অনকে কাজ করে। আপনি হয়ে যেতে পারেন অনেক ফর্সা। আপনার আর আপনার ত্বক নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। সাত দিনের মধ্যে পেয়ে যাবেন এর ফলাফল। তাই ফর্সা হওয়াতেও কাঁচা হলুদের উপকারিতা বিদ্যমান। কারন কাঁচা হলুদে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট নামক গুনাবলি রয়েছে যেটার কারনে ত্বককে উজ্জল করে তোলে।
সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেলে কি উপকার হয়
সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খাওয়ার বেশ কিছু উপকার রয়েছে। তা অনেকেরই অজানা তাই এখন আমরা সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেলে কি উপকার হয় তা জেনে নিই। প্রাচীন কাল থেকেই হলুদ ব্যবহার হচ্ছে। রান্না ক্ষেত্রে রূপচর্চায় আরো অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার হয় কাঁচা হলুদ। এবং হলুদের রয়েছে অনেক ঔষধি গুণাবলি। যা অনেক রোগ নিয়ন্ত্রণ করে, তার জন্য সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খাওয়া প্রয়োজন।
- ওজন কমায়: কাঁচা হলুদ খাওয়ার ফলে মোটা ব্যাক্তি তার শরিরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এবং মেদ ভুঁড়ি কমাতে সাহায্য করে কাচা হলুদ। তার জন্য প্রতিদিন সকালে এক টুকরা কাঁচা হলুদ খাওয়া প্রয়োজন।রক্ত পরিস্কারে হলুদ: অভিজ্ঞেদের মতে কাঁচা হলুদ খেলে রক্ত পরিস্কার করতে পারে হলুদের কার্যকরী উপাদান গুলো তাই সকাল হলুদ খাওয়া প্রয়োজন।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা: কাঁচা হলুদের সাথে দুধের সর মিশিয়ে রোজ সকালে মুখে মাখলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলবে। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে মুখের কালো দাগ, ব্রন কমিয়ে নেয়।ক্যান্সারে হলুদের উপকার: কাঁচা হলুদের মধ্যে কার্কিউিমন উপাদান ক্যান্সার রোগ নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে।
- সর্দি কাশিতে হলুদ: সর্দি কাশি হলে হলুদের এক বিশেষ কাজ রয়েছে। এক টুকরো কাচা হলুদ বা এক গ্লাস দুধের সাথে গোল মরিচের গুড়ো সল্প পরিমান হলুদের সাথে মিশিয়ে সকালে পান করুন এতে সর্দি কাশিতে অনেক আরাম পেতে পারেন।শরির ব্যথায় হলুদ: হাত পায়ে ব্যথা হলে দুধের সাথে এক টুকরো কাঁচা হলুদ খেতে পারেন। এছাড়াও হলুদ বেটে ব্যথা হওয়া জায়গায় লাগিয়ে দিতে পারেন, এতে ব্যথা কমে যাবে।
কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম
কাঁচা হলুদ কিভাবে খাওয়া প্রয়োজন কিভাবে খেতে হবে তা আমাদের জানা দরকার। তা না হলে খতি হতে পারে। আমার মতে দুধ দিয়ে হলুদ খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া সম্ভব। এতে কাঁচা হলুদের কার্কিউমিনের পরিমান বজায় থাকে। এবার কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম জেনে নিই।
- মাপ: এক দিনে কি মাত্রায় কাঁচা হলুদ খাওয়া ভালো তা হলো ১ থেকে ২ চামচ বা দুই বেলায় ২৫০ mg হলুদ খাওয়া যাবে। এর বেশি খাওয়া ঠিক নয়।
- তৈরি: কাঁচা হলুদেক টুকরা করে বা বেটে খাওয়া যাবে। আবার দুধ বা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে কাঁচা হলুদ খাওয়া যাবে।
- সংযোগ: কাঁচা হলুদকে কোনো খাবারের সাথে খাওয়া যায়।যেমন তরকারি।
- পানিয় খাবার: গরম পানিতে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে খাওয়া যাবে। বা গরুর দুধের সাথেও খাওয়া যায়।
- সকালের নিয়ম: সকালে কাঁচা হলুদ খেলে এটি হজমে খুব ভালো করে কাজ করে। তাই এটি খুব উপকারী।
- সাস্থ্য: কাঁচা হলুদ মানব দেহের রোগ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি ক্যান্সার, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।
- সাবধানতা: হঠাৎ করে কেউ কাঁচা হলুদ খেলে তার গা গুলাতে পারে। তাই ফাস্ট এ সল্প পরিমান হলুদ খান। আবার অতিরিক্ত হলুদ খাবেন না এতে খতিও হতে পারে।
কাঁচা হলুদ ও মধু খাওয়ার উপকারিতা
কাঁচা হলুদ ও মধু একসঙ্গে খেলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন এর কার্যকরী কি। অনেকেই বলে থাকি কাঁচা হলুদ নেই তাহলে কি গুড়ো হলুদ খাওয়া যাবে? বা শুকনো বা প্যাকেট জাতীয় খাওয়া যাবে? এবার জানবো মধু ও কাঁচা হলুদ খেলে কি উপকারিতা পাওয়া যায়। সর্দি কাশির ক্ষেত্রে কাঁচা হলুদ ও মধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এক চামচ মধু ও এক চামচ কাঁচা হলুদের গুড়া মিশিয়ে খেলে সর্দি কাশি নিমিষেই চলে যাবে।
এভাবে তিন মাস রোজ সকালে খেলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন এর কার্যকারীতা। হলুদ ও কাঁচা হলুদের সোনার সাথে তুলনা করলেও ভুল হবেনা। মানব দেহের যেকোনো রোগকে ভালো করার ক্ষমতা রাখে এই কাঁচা হলুদ ও মধু। শরিরের ভেতরে কোনো রকম সংক্রমণ রোগকে নিরাময় করতে সক্ষম হয়। এবার প্রশ্ন হতে পারে এর জন্য কি পরিমান হলুদ খাওয়া প্রয়োজন?
টিক এক টুকরা কাঁচা হলুদেই যথেষ্ট এবং তার সাথে একটু মধু। চলুন যেনে নিই কাঁচা হলুদ ও মধু কি কি কাজ করে। হার্ড ও হাড়ের ক্ষয়, সর্দি কাশি, নানা প্রকার সংক্রমণ রোগ ভালো করে কাঁচা হলুদ ও মধু। তাই আমাদের কাঁচা হলুদ ও মধু খাওয়া প্রয়োজন। আবার অনেক মেয়ের পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যথা হয়, এর জন্য কাঁচা হলুদ ও মধু খাওয়া প্রয়োজন এতে ব্যথা দুর হয়ে যাবে।
কাঁচা হলুদ খেলে কি ক্ষতি হয়
কাঁচা হলুদ খেলে যেমন উপকার হয় তেমন কিছু অপকারিতাও রয়েছে। কাঁচা হলুদ খেলে আপনার কি কি ক্ষতি হবে চলুন তার যেনে নিই। কাচা হলুদের অনেক উপকারী গুন থাকা সত্ত্বেও কিছু ক্ষতি রয়েছে। সেগুলো থেকে আমাদের আগেই জেনে নেওয়া উচিত।
- গর্ভবতী ও স্তনদুধ দানকারী মায়ের হলুদের ক্ষতি: অভিজ্ঞদের মতে যারা গর্ভবতী ও দুধ দানকারী মা তাদের জন্য হলুদ নিরাপদ নয় বলে জানা যায়। তাই গর্ভবতী ও যারা বাচ্চাকে দুধ খাওয়ায় তাদের রান্নার কাজে ছাড়া হলুদ খাওয়া যাবে না।
- গলব্লাডার সমস্যা: যাদের এই সমস্যা আছে কাঁচা হলুদ খাওয়ার ফলে এই সমস্যা আরো বেড়ে যায়।
- কিডনির সমস্যা: যাদের কিডনি সমস্যা তাদের কাঁচা হলুদ খাওয়া থেকে বিরত থাকাটাই ভালো। হলুদে বেশি পরিমানে অক্সালেড থাকে যা ক্যালসিয়ামের সাথে মিশে কিডনির সমস্যা করে।
- ব্লিডিং সমস্যা: যাদের রক্তপাত হচ্ছে বা যাদের অপারেশন করাবেন তারা কাঁচা হলুদ থেকে দুরে থাকাই ভালো। এতে কাঁচা হলুদের ক্ষতিকর পদার্থের জন্য রক্তের গতি কম হয়ে যেতে পারে।
- ব্লাড সুগার: যাদের রক্তে চিনির পরিমান কম থাকে, তাদেরও কাঁচা হলুদ খাওয়া যাবে না। কাঁচা হলুদ রক্তে চিনির পরিমান আরো কমিয়ে দেয়।
- পুরুষের জন্য: যারা বাচ্চা নিতে চাচ্ছেন তাদের কাঁচা হলুদ না খাওয়াই ভালো। হলুদে বীর্যে শুক্রাণুর পরিমান কমিয়ে দিতে পারে। এতে বাচ্চা নেওয়াই সমস্যা হতে পারে।
তাই কাঁচা হলুদের ক্ষতিকর দিকগুলো মেনে হলুদ খাওয়াটা দরকার।
কাঁচা হলুদের ব্যবহার
কাঁচা হলুদের ব্যবহার প্রাচীণ কাল থেকেই হয়ে আসছে। কাচা হলুদ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। এটি মানব দেহের জন্য খুবি উপকারি। এই কাঁচা হলুদ আমরা সবসময় ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আরো কি কি কাজে কাঁচা হলুদ ব্যবহার করা হয় তা আমাদের অনেকেরই অজানা। এবার আমরা কাঁচা হলুদ কি কি কাজে ব্যবহার করা যায় ও তার পদ্ধতি সম্পর্কে জানবো।
কাঁচা হলুদ খাওয়া হয়:
- তরকারির সাথে: আমরা রান্নার কাজে কাঁচা হলুদ ব্যবহার করে থাকি। এতে তরকারিতে হলুদ ভাব আসে যা উপযুক্ত করে তোলে খাওয়ার জন্য।
- মধুর সঙ্গে খাওয়া: আমরা বিভিন্ন উপকারের জন্য মধুর সঙ্গে কাঁচা হলুদ খেয়ে থাকি। এতে হলুদের পুষ্টি গুনাগুন বাড়িয়ে তোলে।
- ত্বকে ব্যবহার: কাঁচা হলুদ বেটে তকে লাগিয়ে দিলে, এটি কালো দাগ ব্রন দুর করে।
- দইয়ের সাথে হলুদ: কাঁচা হলুদ আর দই ত্বকে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয়।
চা কফি বানাতে হলুদ:
- হলুদের চা: কাঁচা হলুদের চা তৈরি করে খাওয়া যায়। এটি মানব দেহের জন্য খুব উপকার করে।
- হলুদ ও দুধ: দুধ ও হলুদ একসাথে মিশিয়ে খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
চিকিৎসায় হলুদ:
- সর্দি কাশি: কাঁচা হলুদ ও মধু সকালে মিশিয়ে খেলে সর্দি কাশি দুর করে।
- ডায়াবেটিস: কাঁচা হলুদ খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। যা খুব প্রয়োজনীয়।
কাঁচা হলুদের ফেসপ্যাক
কাঁচা হলুদের উপকারিতা বলতে গেলে শেষই হবে না। কাঁচা হলুদ দিয়ে আরো বেশ কিছু উপকার হয় তা হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন না। কাঁচা হলুদ ত্বকের জন্য বেশ উপকারি। কাঁচা হলুদের ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে লাগালে মুখের উজ্জলতা বাড়িয়ে তোলে। এবং মুখে থাকা কালো ছোপ ছোপ দাগ তা নিমিশেই দুর করার ক্ষমতা রাখে কাঁচা হলুদ।
কাঁচা হলুদের ফেসপ্যাক ত্বকের জন্য বেশ উপকারি। এর জন্য কাঁচা হলুদের সাথে কিছু না কিছু ভিটামিন যুক্ত বা ত্বকের জন্য উপকারী কিছু মিশিয়ে দিতে হয়। আবার ফেসপ্যাক ব্যবহারের জন্য কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যেমন যাদের এলার্জি রয়েছে তাদের এটি ব্যবহার না করাই ভালো এতে ত্বকের চুলকানি বেড়ে যেতে পারে। কিভাবে ফেসপ্যাক বানাবেন তা জেনে নি।
কাঁচা হলুদ ও দই দিয়ে ফেসপ্যাক বানানো যায়। এর জন্য এক চামচ কাঁচা হলুদ বাটা ও দুই চামচ দই মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর মুখে লাগিয়ে দিলে ২০ মিনিট পর তা ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা ময়েশ্চারাইজ করে। আবার মধু ও কাঁচা হলুদ দিয়ে ফেসপ্যাক বানানো যায়। এর জন্য এক চামচ কাঁচা হলুদ ও এক চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগানো যায়। এতে মুখের ব্রন ও কালো দাগ দুর করে।
শেষকথা
কাঁচা হলুদের উপকারিতা বেশ রয়েছে। কাঁচা হলুদের অপকারিতার চাইতে উপকার বেশি। প্রাচীন কাল থেকেই হলুদ বেশ প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। রান্না বান্না থেকে শুরু করে এর গুরুত্ব অনেক। এছাড়াও শরিরের নানার রোগ মুক্ত করে তোলে কাঁচা হলুদ। ত্বকের উজ্জ্বলা বাড়ায় কাঁচা হলুদ। কাঁচা হলুদ আবার সবার জন্য না যা আপনারা উপরের অংশে বিস্তারিত জেনেছেন। তাই এটি ব্যবহারে সতর্ক হওয়া ভালো
মধু ও কাঁচা হলুদ এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উপকারি। হতে পারে সেটা ত্বকের জন্য আবার নানা রোগ প্রতিরোধ করার জন্য উপকারী। বাস্তব জীবনে হলুদ ব্যবহার করে প্রাকটিকালি প্রমান নিন। হলুদ সম্পর্কে জানা অজানা তথ্য তুলে ধরতে পেরেছি আশা করছি। আপনারা এ থেকে উপকৃত হবেন আশা করি। আরো তথ্য তুলে ধরার জন্য আমাদের উৎসাহিত করবেন। ধন্যবাদ।।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url