রসুন খাওয়ার উপকারিতা ও গুনাগুন

রসুন খাওয়ার উপকারিতা কি, রসুনকে ইংরেজিতে বলা হয় Garlic হলো সবার প্রিয় সাস্থসম্মত, এটি রান্নর কাজেও ব্যবহত হয়। রসুন সুস্বাদু করে তোলে খাবারকে। এবং রসুনে রয়েছে স্বাস্থকর কিছু গুন। রসুন তরকারিতেও খাওয়া যায় আবার এমনিতেও খাওয়া যায়।
রসুন-খাওয়ার-উপকারিতা
রসুনের অনেক সাস্থ্য উপকারি গুন আছে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে রসুন খাওয়া যাবেও না। এটি অনেক তরকারিতে ব্যবহৃত হয়। এটি শুকনা অবস্থায় আবার বেটেও খাবারে ব্যবহার হয়। রসুনে অনেক গুনাগুন আছে যা আমরা এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবো। তাই আজকের এই পোষ্টটি আপনার জন্য।

পোষ্ট সূচিপত্রঃ রসুন খাওয়ার উপকারিতা

রসুন খাওয়ার উপকারিতা

রসুন খাওয়ার উপকারিতা অনেক। রসুন খুবি সাস্থ্যকর ও শক্তিশালী উপাদান। রসুন খাওয়ায় অনেক উপকার রয়েছে। রসুন সাধারনত খাবারের মসলা হিসেবে ব্যবহত হয়। আবার দেখা গেছে অনেক প্রাচীন থেকে মিশর, চীন, গ্রিক দেশের মানুষেরা ঔষধ হিসেবেও ব্যবহার করে এসেছে। রসুনে রয়েছে থায়ামিন, অ্যান্টাথনিক এসিড, এবং ছেলেনিয়া। এসব পুষ্টি গুনাগুন থাকাতে রসুন আমাদের দেহে নানা উপকারে কাজ করে থাকে।

যেমন রসুনে আছে রক্তচাপ কমানোর কিছু উপাদান যেমন নাইট্রিক এসিড, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। রসুনে আছে রক্তে থাকা কলেস্টর কমানোর কিছু উপাদান। রসুন আমাদের খাবারকে সুস্বাদু করে তোলে। রসুনে রয়েছে আরো প্রয়োজনীও উপাদান যা কান্সার প্রতিরোধ করতে পারে। রসুনে রয়েছে অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিমেটেরিয়াল কিছু উপাদান যা দেহে সকল ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াকে দুরে সরিয়ে দেয়।

রসুন দেহের ওয়েট কমাতেও পারে। রসুন পুরুষের যৌনো ক্ষমতাও বাড়ায়। এছাড়াও বুকে ব্যথা করাটা কমে যায়। রসুনে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। রসুনে রয়েছে দেহের প্রয়োজনীয় নানা উপাদান, আর তাই রসুন আমাদের খাওয়া প্রয়োজন। সেই দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে। তাই আপনার শরিরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রতিদিন দুই কোয়া করে রসুন খেতে পারেন। 

সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা

রসুন খাওয়ার বেশ উপকার রয়েছে। সকালে খালি পেটে রসুন খেলে কি উপকার হয় জানেন। বিষেশজ্ঞদের মতে আপনি যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন খেতে পারেন তাহলে আপনি অনেক অসুখ বিসুখ থেকে দুরে থাকতে পারেন। তাই আমরা রসুনকে প্রাকৃতিক অ্যান্টবায়েটিক বলে থাকি। অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরা এই উপকারি রসুন আমাদের মানব দেহকে সুস্থ রাখার জন্য বেশ কার্যকরি।

আপনি যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে রসুন খান তাহলে আপনার দেহকে ডিট অক্সিফাই করতে সাহায্য করবে। তই সকালে ঘুম থেকে উঠে আমাদের রসুন খাওয়া প্রয়োজন। এই সময়ে অর্থাৎ সকালে খালি পেটে রসুন খেলে উপকার বেশি পাওয়া যায়। অনেকেই আছে সারাবছর কোনো না কোনো অসুখ লেগে থাকে। যাদের এমন সমস্যা আছে তাদের প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন খেলে ভালো ফলাফল পাবেন। 

রক্ত পরিস্কার করার ক্ষেত্রেও রসুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরা এই রসুন আমাদের রক্তকে পরিস্কার রাখে। রক্তে শর্করার পরিমান নিয়ন্ত্রন রাখে রসুন। তাই সকাল বেলা খালি পেটে রসুন খাওয়ার অভ্যাস করুন। মানব দেহে থাকা বিষাক্ত উপাদন বের করে দেয় রসুন। হৃদরোগের জন্য কার্যকরি রসুন। তাই সকালে খালি পেটে রসুন খেলে এই সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়া প্রয়োজন। 

সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়ার নিয়ম

রসুন খাওয়ার উপকারিতা পাওয়ার জন্য আমাদের জানা দরকার রসুন খাওয়ার নিয়মটা। যেহেতু সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়াটা ভালো তাই সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়ার নিয়ম আমাদের প্রায় সবার অজানা। সকালে খালি পেটে রসুন খেলে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি সকালে খালি পেটে রসুন খেলে এর উপকার বেশি আসতে পারে। সঠিক পরিমানে রসুন খেতে হবে এক বা দুই কোয়া রসুন যথেষ্ট এর বেশি খাওয়া উচিত নয়। 

তার জন্য আমরা একটা রসুনেক ভালোভােব পরিস্কার করে নিবো। এরপর একটা বা দুইটা কোয়া চিবিয়ে অথবা কেটে কুচি করে খাওয়া যায়। রসুন খাওয়ার পর এক গ্লাস পানি খান, এতে রসুনের ঝাঁঝ কমে যাবে ও হজমে সাহায্য করবে। আবার মধু দিয়েও রসুন খাওয়া যায়। অনেকেরই এটা বেশ পছন্দ হবে। কারন মধু স্বাস্থ্যের জন্য ভালো ও রসুনকে স্বাদ যুক্ত করবে এতে করে আপনার খেতে অরুচিকর বোধ কেটে যাবে। 

এটি সকালে খালি পেটে খাওয়া সবচেয়ে ভালো। এতে রসুনের উপকার বেশি পাওয়ার যায়। যাদের আবার রসুনে সমস্যা হয়, যেমন গ্যাস, এলার্জি তাদের জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। রসুনে অনেক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রসুন রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। রসুন ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণ করে। সবগুলো মেনে সকালে খালি পেটে রসুন খেলে এই সকল উপকারিতা পাওয়া সম্ভব হবে। তাই আমাদের প্রয়োজন উক্ত নিয়ম মেনে রসুন খাওয়া। 

রাতে কাঁচা রসুন খাওয়ার কার্যকারিতা

শরির সুস্থ রাখতে রসুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধু এটাতেই শেষ না বড়ো বড়ো জটিল সমস্যা সারিয়ে তোলে রসুন।রসুনের কোয়া ছাড়িয়ে নিয়ে সাথে সাথে না খেয়ে, রসুনের এনজাইম বেরিয়ে যাওয়ার পর খেলে উপকার বেশি পাওয়া যায়। রাতে খাওয়ায় রসুনের কার্যকারি আরো বৃদ্ধি হয়। এটি শরিরের সাথে ভালো ভাবে মিশে।
রাতে-কাঁচা-রসুন-খাওয়ার-কার্যকারিতা
রাতে রসুন খাওয়ার ফলে অনেক জটিল সমস্যা থেকে মুক্ত পাওয়া যায় যেমন, রক্ত জমাট বাধতে দেইনা, ঠান্ডা লাগা থেকে মুক্ত করে, স্টমাককে ঠান্ডা রাখে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, ফাঙ্গাল ইনফেকশন থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ইত্যাদি আরো অনেক অসুখ বিসুখ সারিয়ে তোলে রসুন। 

রাতে রসুন খেলে এসব অসুখের পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে রসুন। এছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে খুব ভালো ভাবে। এছাড়াও আরো জটিল জটিল রোগ সারাতে রাতে রসুন খাওয়া প্রয়োজন। এটি খুবই কার্যকর একটি উপাদান। তাই আমাদের অবহেলা না করে প্রতিদিন এক কোয়া করে হলেও ওষুধ খাওয়া উচিত। 

প্রতিদিন রসুন খেলে কি হয়

প্রতিদিন রসুন খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রোজ এক কোয়া রসুন যদি কেউ খায় তাহলে তার সাতটি রোগ দূর হয়ে যাবে। সুস্থ থাকতে প্রতিদিন খাবেন এক কোয়া রসুন। আপনি যে কোন সময় এক কোয়া রসুন খেতে পারেন। তবে রসুনটি কাঁচা হলে ভালো। তবে হাই প্রেসার থাকলে একটা থেকে দুইটা বেশি খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

রসুনের এন্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদানে রক্তকে পাতলা ও শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া রসুন প্রতিদিন খেলে হৃদরোগের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কাঁচা রসুন প্রতিদিন খেলে রক্তচাপ কমায় এক্ষেত্রে প্রতিদিন চার কোয়া করে রসুন খেতে হবে। তাহলে ঔষধের মতোই কাজ করবে রসুনে। 

এছাড়াও আরো অনেক জটিল জটিল রোগ সারাতে পারে প্রতিদিন কাঁচা রসুন খাওয়ার ফলে। তাই প্রতিদিন ২ থেকে তিনটি কোয়া ভালো করে পরিষ্কার করে খেয়ে নিব যেকোনো সময়ে। তাহলে এর উপকার আপনি ৭ দিনেই পেয়ে যেতে পারেন। তাই প্রতিদিন সবাই চেষ্টা করবেন দুই থেকে তিন কুয়া রসুন খাওয়ার। 

রসুনে কি কি উপাদান থাকে

রসুন খাওয়ার যে উপকারিতা জানতে আমাদের জানা উচিত রসুনে কি কি উদাপান থাকে। রসুন সাধারণত রান্না বান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে এটি ঔষধি গুনাগুনের জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে। যা মানব দেহের প্রয়োজনীয় ভিটামিন পুরন করে দেয়। রসুনে অনেক পুষ্টিকর গুনাগুন বা পুষ্টিকর উপকরণ রয়েছে। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবি উপকারি। রসুনের অ্যালিসিন প্রধান উপাদান, যাতে রয়েছে,

অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে। রসুনে রয়েছে ভিটামিন বি6 ও ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই রয়েছে । ক্যালসিয়াম, মেথন, সেলেনিয়াম নামক নানা প্রকার মিনারেলস রয়েছে। এছাড়াও রসুনে রয়েছে খাদ্য আশ। আরো রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান এর মাধ্যমে শরিরকে মুক্ত রেডিকেল রক্ষা করে এবং দেহের কোষের ক্ষতি মুক্ত করে। তার জন্য রসুন নিয়মিত খাওয়া প্রয়োজন এতে হৃদরোগ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, 

এবং শরিরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রসুনে আরো কিছু উপাদান রয়েছে যেমন ম্যাগনেসিয়াম, আইরন, কপার, পটাশিয়াম, ফসফরাস উপাদান গুলো রয়েছে। এছাড়াও ভিটামিন বি1, ভিটামিন বি2 ভিটামিন বি5, সালফার কম্পাউন্ড ইত্যাদি। রসুন খেলে শরিরের নানান প্রকার ভিটামিনের অভাব পূরন হবে। বিষেশজ্ঞদের মতে রসুন রান্না করে খাওয়ার চেয়ে কাচা রসুন খাওয়া বেশি উপকারি। কারন রান্নায় রসুনের পুষ্টি গুনাগুন নষ্ট হয়ে যায়। 

রসুন খাওয়ার অপকারিতা

রসুন খাওয়ার উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমন রসুন খাওয়ার কিছু অপকারিতাও রয়েছে। সেটা না জেনে হয়তো সবাই রসুন খেয়ে যাচ্ছি। রসুন কাদের জন্য খাওয়া অপকার তা এবার জেনে নেওয়া যাক। রান্নার কাজে অপরিহার্য উপাদান রসুন। এতে রয়েছে অনেক গুনাগুন। এতো গুন থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত রসুন খেলে তার জন্য ক্ষতি হতে পারে। রসুন খেলে শরিরের রক্তচাপ বেড়ে যায় তাই যাদের মাথা ঘোরা বা রক্তচাপের সমস্যা হয় তারা রসুন কম খান। 

শরিরের রক্ত কম থাকলেও রসুন না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে এখনকার ডাক্তাররা। রসুন খাওয়ার ফলে লিভারে সমস্যা হতে পারে। রসুনে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট নামক উপাদান যা লিভারে টক্সিন জমতে সাহায্য করে। তাই অতিরিক্ত রসুন না খাওয়াই ভালো। পরিমিত পরিমাণ রসুন খান যাতে এ সমস্যা না হয়। আবার যাদের গ্যাস্টিকের সমস্যা রয়েছে তাদেরো রসুন খাওয়া কমিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। তা নাহলে বুক ব্যথা ও গ্যাস্টিক বেড়ে যেতে পারে। 

এছাড়াও তাদের খাওয়া দাওয়ার ক্ষেত্রে হতে পারে বিধিনিষেধ। এবং যাদের ডায়রিয়া বা বমি হচ্ছে তাদের রসুন খাওয়া উচিত নয়। রসুনে রয়েছে গরম ভাব তাই এটি পেটে গেলে ডায়রিয়া বা বমি বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া শরির হয়ে উঠবে অস্থিরতা। তবে সব নিয়ম মাপিক করে খেলে এসব সমস্যা হবে না। তাই রসুন খাওয়ার জন্য এই সব বিষয় মাথায় রাখাটা জরুরি। না হলে সমস্যা হতে পারে যা আপনার জন্য মোটেও ভালো না। 

কাঁচা রসুন খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

রসুনের রয়েছে উপকারিতা এবং রসুন কাদের জন্য খাওয়া একেবারেই উচিত নয় তা জেনে নেওয়া খুবি প্রয়োজন। আমরা অনেকেই উপকারের দিকটা দেখে সবাই রসুন খেয়ে থাকি। কিন্তু কাদের জন্য রসুন খাওয়াটা একেবারেই ঠিক হবেনা এটা অজানা। তাহলে জেনে নিই রসুন কাদের জন্য নিষিদ্ধ। যেমন খালি পেটে রসুন খেলে ডায়রিয়া হতে পারে। এবং গর্ভবতী নারীর জন্য রসুন খাওয়া বিপদজনক হতে পারে। 
কাঁচা-রসুন-খাওয়ার-পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
এছাড়াও অতিরিক্ত রসুন খেলে নানা ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যক্রিতীর ক্ষতি হতে পারে। যক্রিতী রক্তকে পরিস্কার করে, চর্বি জমতে দেয় না। অতিরিক্ত রসুন খাওয়ার ফলে অ্যালিসিন নামক উপাদান যক্রিতীর বিষক্রিয়া তৈরি করতে পারে। ডায়রিয়া হতে পারে। যাদের গ্যাস্টিক রয়েছে তাদের রসুন না খাওয়াই ভালো। কারন রসুনে থাকা সালফার পেটে গ্যাস উৎপন্ন করে। এতে বুক জ্বালা ও ডায়রিয়া হতে পারে। 

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যান্সার ইনস্টিটিউট এর গবেষণা অনুযায়ী দেখা যায় কাচা রসুন খাওয়ায় বমি বুক জ্বালা পোড়া হতে পারে। যাদের এ সমস্যা আছে তারা রসুন খাবেন না। রসুন বেশি খেলে রক্তচাপ কমে যাবে এতে দেখা যাবে রক্তের চাপ কম হওয়ার কারনে মাথা ঘুরবে। রসুন খাওয়ার জন্য দৃষ্টি শক্তি কমে যেতে পারে। গর্ভবতী নারীর জন্য রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। কারন এতে লেভার পিন বা প্রভাব বেদনা বেড়ে যেতে পারে। শিশুকে দুধ খাওয়াচ্ছেন এমন নারীদেরও রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। 

রসুন খেলে কি যৌন শক্তি বাড়ে

রসুন খাওয়ার যে উপকার, এর  আরো একটি বিষেশ উপকার হলো রসুনে যৌন শক্তি বাড়িয়ে তোলে। রসুন যৌন শক্তি বাড়াতে বেশ কার্যকর। রসুনে কিছু উপাদান আছে যা যৌন শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। দেখা যাচ্ছে অনেকেরই যৌন আকাঙ্খা কমে যায় এটার জন্য রসুন খাওয়া যায়। এ ব্যাপারে এখনকার বিষেশজ্ঞদের মতে কাচা রসুন না খেয়ে ঘি দিয়ে ভেজে বা শুকিয়ে রসুন খাওয়া য়াবে। অথবা রসুন টক দই বা 

আমলকি দিয়েও খেতে পারেন। এতে রসুন আরো ভালো ভাবে কাজ করে। যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে রসুন খুবি গুরুত্বপূর্ণ  ভূমিকা পালন করে থাকে। রসুনে অনেক গুনাগুন রয়েছে। এলিসিন নামক এক ধরনের পদার্থ রয়েছে যেটা আমাদের শরিরকে অনেক বেশি স্ট্রং করতে সাহায্য করে। দুই থেকে তিন কোয়া রসুন ও এক গ্লাস পানি কুসুম গরম পানি হলে আরো ভালো এবং অর্ধেক লেবুর রস নিতে হবে। এবং সেই রসুন কোয়া

কুচি কুচি করে পানি ও লেবুর মধ্যে মিশিয়ে নিবেন। প্রতিদিন সকালে এভাবে খেতে হবে। কমপক্ষে এক মাস খেলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন যৌন শক্তি বাড়াতে কতটা কার্যকরি এই রসুন। তাই রসুন যৌন শক্তি বাড়ানোর এক চমৎকার খাবার। শুধু যৌন শক্তি বাড়ানোই না শরিরের অনেক সমস্যাকে দুর করতে পারে রসুন। তাই আপনি এই ফলাফল পেতে নিয়মিত পরিমান মতো রসুন খেতে পারেন।

শেষকথা

প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে রসুনের ব্যবহার। রসুনে রয়েছে অনেক প্রাকৃতিক উপাদন। রসুন জ্বর, সর্দি, কাশিতে কাজ করে থাকে। তার জন্য রসুনকে বলা হয় গরিবের অ্যান্টবায়েটিক। রসুন শুধু রান্নার  কাজেই ব্যবহার হয়না এর রয়েছে অনেক ঔষধি গুনাগুন। যা আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা ছাড়াও শরিরের আরো অনেক রোগ থেকে দুরে থাকা যায়। তার জন্য পরিমান মাপিক রসুন খাওয়া প্রয়োজন। 

আশা করছি কনটেন্টটি আপনার ভালো লেগেছে। আপনি আপনার সঠিক তথ্য গুলো পেয়েছেন। রসুন খেলে কি উপকার পেতে পারেন, কি কি অপকারিতা রয়েছে আশা করি তা তুলে ধরতে পেরেছি । আপনাদের আরো সকল প্রয়োজনীয় তথ্য তুলে ধরানোর জন্য আমাদের উৎসাহিত করুন। যাতে করে আমরা আরো মূল্যবান কনটেন্ট লিখতে পারি । ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url