ই পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম গুলো জেনে নিন
ই পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম অনেকেই জানেন না। তাই আপনাদের কথা চিন্তা করে কি
পাসপোর্ট করার জন্য কিভাবে আবেদন করতে হয় তার বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরেছি
আজকের এই আর্টিকেলে। যারা এ পাসপোর্ট করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি
সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।
আজকের এই আর্টিকেলে কিভাবে নিজে থেকেই আপনি ঘরে বসে কি পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন
করতে পারবেন তার বিস্তারিত নিয়ম কানুন উল্লেখ করা আছে। এবং কি কি কাগজ
প্রয়োজন এই আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
পেজ সূচিপত্রঃ ই পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম
- ই পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম
- পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণের নিয়ম
- অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন ফরম
- ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম
- বাংলাদেশে কত প্রকার পাসপোর্ট আছে
- দশ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
- ই-পাসপোর্ট কত দিনে পাওয়া যায়
- শেষকথা
ই পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম
ই পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম অনেকেই জানেন না। ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে
হলে আপনাকে কিছু বা পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। এর জন্য প্রথমে আপনাকে অনলাইনে
ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনার জন্ম নিবন্ধন
বা NID card প্রয়োজন হবে। এরপরে আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো
ঠিকঠাক করে নিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায়
এরপরে আপনি যখন ই পাসপোর্ট করার জন্য পেমেন্ট করবেন সেটি অবশ্যই অনলাইনে করতে
হবে। এবং পেমেন্ট দেওয়ার সময় আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে আপনার এই পাসপোর্ট
এর মেয়াদ কত বছর হবে। এবং পরবর্তীতে পাসপোর্ট পাওয়ার সময় আপনার
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। এবং আপনাকে কিছু জিজ্ঞাসা
বাদ করা হতে পারে।
পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণের নিয়ম
পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণের নিয়ম জানতে আপনাকে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।
এর জন্য প্রথমে আপনাকে পাসপোর্ট তৈরি ওয়েবসাইট থেকে একটি আবেদন ফরম ডাউনলোড
করতে হবে। এবারে সেই ফরম পূরণ করে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে হবে। আপনি
চাইলে সেই ফর্মটি পাসপোর্ট অফিসে গিয়েও নিতে পারেন। ফরম পূরণ করা হয়ে গেলে
অনলাইনে পাসপোর্ট এর ফি জমা দিতে হবে। এবং সেই ফর্মটিতে আপনার যাবতীয় তথ্য
লিখে দিতে হবে।
অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন ফরম
ই পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম জানার পরেও অনেকেই আবেদন করতে পারি না। কিন্তু
আজকের পর থেকে এই সমস্যাটি আপনার আর হবে না। আপনি নিজে থেকেই আপনার ই পাসপোর্ট
এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে হলে প্রথমে আপনাকে
পাসপোর্ট অফিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপরে নতুন
রেজিস্ট্রেশনের জন্য ক্লিক করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করা হয়ে গেলে আপনাকে আপনার
ফরম পূরণ করতে হবে।
আরেকটি প্রয়োজনীয় পোষ্টঃ কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা ও করনীয়
আপনার নাম থেকে শুরু করে আপনি কি করেন কোথায় থাকেন সমস্ত বিষয় উল্লেখ করতে
হবে এই ফরমে। এরপর সমস্ত কিছু সঠিকভাবে পূরণ হয়েছে কিনা তা চেক করে নিবেন।
তারপরে আপনি আপনার ফরমটি সাবমিট করে জমা দিয়ে দিবেন। এরপরে পাসপোর্ট অফিস
আপনার পাসপোর্ট নিজ দায়িত্বে তৈরি করে আপনাকে জানিয়ে দিবে। তখন আপনি চাইলে
পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে পাসপোর্ট নিয়ে আসতে পারে।
ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম
ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরেছি আপনাদের
সামনে। আপনি যদি এই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করে থাকেন তাহলে আপনি নিজেই বুঝতে
পারবেন আপনার ই পাসপোর্ট এর কার্যক্রম কতদূর কমপ্লিট হয়েছে। এছাড়াও আপনার
পাসপোর্টটি কতদিন পর আপনি হাতে পেতে পারেন এবং আপনার ই পাসপোর্টটি ভেরিফাই
হয়েছে কিনা তার বিস্তারিত আপনি নিজেই ঘরে বসেই জানতে পারবেন।
তার জন্য আপনাকে প্রথমেই আপনার ফোন বা কম্পিউটার থেকে যে কোন একটি ব্রাউজার
ওপেন করে নিবেন। এরপরে সার্চ বারে গিয়ে লিখবেন ই পাসপোর্ট ডট বিডি তাহলে এই
পাসপোর্ট এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটিতে আপনাকে নিয়ে যাবে। এরপরেই পাসপোর্ট
সেকশনে গিয়ে আপনার স্লিপে থাকা নাম্বারটি এবং জন্ম তারিখ দিয়ে চেক করলেই
আপনার ই পাসপোর্ট এর বিস্তারিত তথ্য দিয়ে দিবে।
বাংলাদেশে কত প্রকার পাসপোর্ট আছে
ই পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমাদের জানতে হবে বাংলাদেশে
কত ধরনের পাসপোর্ট ব্যবহার করা হয়। এবং তাদের জন্য কোন পাসওয়ার্ড বাংলাদেশে
রয়েছে সেটি অনেকের অজানা তাই এই বিষয়টিও আপনাদের সামনে পরিষ্কার করে তুলে
ধরেছি। এটি জানার ফলে পাসপোর্ট সম্পর্কে সকল অজানা তথ্য আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে
পারবেন এবং জানতে পারবেন। বাংলাদেশে সাধারণত তিন ধরনের পাসপোর্ট রয়েছে। অর্থাৎ
ন্যাশনাল পাসপোর্ট, ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট, সার্ভিস পাসপোর্ট ইত্যাদি।
প্রয়োজনীয় পোষ্টঃ ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কে তথ্য জানি
ন্যাশনাল পাসপোর্ট শুধু বাংলাদেশীদের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য দিয়ে থাকে।
যারা ঘুরতে যান এবং যেকোনো ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার জন্য ব্যবহার করে থাকে
ন্যাশনাল পাসপোর্ট। এবং ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট বাংলাদেশের কোন সরকারি
কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়। দেশের বাইরে সরকারি কাজে কোথাও গেলে তাকে
ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট দেওয়া হয়। এবং সার্ভিস পাসপোর্ট সরকারি কর্মচারীদের
দেওয়া হয়। যারা সরকারি কাজে বিদেশে যান, সেই ব্যক্তিদের দেওয়া হয়।
দশ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
বর্তমানে বাংলাদেশ এবং প্রবাসে ই পাসপোর্ট বানাতে কত টাকা ফ্রি দিতে হয় এটি
অনেকেরই অজানা। এজন্য পাসপোর্ট এর আবেদন করার জন্য অনেকেই না জেনে অনেক টাকা
নিয়ে যায়। তাই আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি পাসপোর্ট এর জন্য কত টাকা খরচ হয়।
যারা এই পাসপোর্ট ১০ বছরের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার বানাবেন তাদের খরচ হবে রেগুলার
ডেলিভারিতে ৫,৭৫০ টাকা। এক্সপ্রেস ডেলিভারিতে ৮,০৫০ টাকা। এবং সুপার এক্সপ্রেস
ডেলিভারিতে ১০,৩৫০ টাকা খরচ হয়।
এবং ১০ বছরের জন্য যারা ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট তৈরি করবেন তাদের খরচ হবে, রেগুলার
ডেলিভারিতে ৮,০৫০ টাকা। এক্সপ্রেস ডেলিভারিতে ১০,৩৫০ টাকা। এবং সুপার এক্সপ্রেস
ডেলিভারিতে ১৩,৮০০ টাকা খরচ হয়। এই টাকাটাই মূলত সরকারি ফি হিসেবে দিতে হয়।
এর বাইরে আপনার থেকে কোন টাকা নেওয়া হবে না। তাই এর বাইরে যদি তার থেকে কেউ
টাকা নাই আপনি আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন।
ই-পাসপোর্ট কত দিনে পাওয়া যায়
ই পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে এতক্ষন আপনারা জানলেন। আপনি আপনার ই
পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করে দিলেন ঠিক আছে, কিন্তু এখন কি জানেন আপনার সেই ই
পাসপোর্টটি কতদিন পর আপনি হাতে পেতে পারেন। সাধারণত পাসপোর্ট তিনটি ক্যাটাগরিতে
হাতে পাওয়া সম্ভব। একটি আছে রেগুলার ডেলিভারি, আরেকটি রয়েছে এক্সপ্রেস
ডেলিভারি এবং আরেকটি সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি । এই তিন রকম ক্যাটাগরিতে
সাধারণত পাসপোর্ট করা হয়ে থাকে।
আর এই একেক ধরনের পাসপোর্ট করতে একেক রকম সময় লাগে। রেগুলার ডেলিভারি যেই
পাসপোর্টটি দিয়ে থাকে সেটি সাধারণত ২১ দিনের মধ্যে পাওয়া যায়। এবং এক্সপ্রেস
ডেলিভারি যেই পাসপোর্টটি রয়েছে সেটি ১০ দিনের মধ্যে হাতে পাওয়া যায়। এবং
সর্বশেষ যে পাসপোর্ট সেটি হচ্ছে সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি, এই পাসপোর্টটি দুই
দিনের মধ্যেই কার্যক্রম করে হাতে পাওয়া সম্ভব হয়।
শেষকথা
ই পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। এবং আশা করছি আপনি এখন
নিজেই ঘরে বসে থেকে ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। কোন রকম দালাল চক্রের
হাতে না পড়ে নিজে থেকেই পাসপোর্ট এর আবেদন করা সবচেয়ে ভালো বলে আমি মনে করি। আর
তাই এখন আপনি নিজেই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আশা করি আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগেছে এবং আপনি উপকৃত হয়েছেন। এরকম প্রয়োজনীয়
আরো টিপস পেতে আমাদের এই অর্গানাইজ আইটির সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url