কলার খোসার ব্যবহার ও ব্যবহারের নিয়ম
কলার খোসার ব্যবহার সম্পর্কে জানতে আপনি আজকের সঠিক আর্টিকেল প্রবেশ করেছেন।
মানুষ কলা খেয়েই ই তার খোসাকে ফেলে দেয়। কিন্তু তারা কলার খোসার সঠিক ব্যবহার
জানে না। কলার খোসারো ও কিছু ব্যবহার রয়েছে তা আজকে এই আর্টিকেলে জানতে পারবো।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কলার খোসার গুরুত্বপূর্ণ ১০ টি ব্যবহারের কথা জানবো।
যা আপনার জন্য খুবই উপকারী হয়ে দাঁড়াবে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে আসি কি
সেই কলার খোসার দশটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার।
পেজ সূচিপত্রঃ কলার খোসার ব্যবহার
- কলার খোসার ব্যবহার
- কলার খোসার ১০টি স্বাস্থ্যকর উপকারিতা
- চুলের যত্নে কলার খোসার ব্যবহার
- কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা
- কলার খোসা মুখে মাখলে কি হয়
- কলার খোসা দিয়ে দাঁত পরিস্কার
- কলার খোসার প্রাকৃতিক উপাদান গুলো
- কলার খোসার অপকারিতা
- শেষকথা
কলার খোসার ব্যবহার
কলার খোসার ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। তা হয়তো আমাদের সকলের এখন অজানাই
রয়ে গেছে। কলার খোসার মধ্যে নানা ধরনের প্রাকৃতিক উপকারী উপাদান রয়েছে। যেমন
পটাশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি। তাই এই কলার খসা দিয়ে সার তৈরি
করা যায়। এতে গাছকে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। আবার ত্বকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে এই খোদার খোসা। ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল ও কালো দাগ দূর করতে
সাহায্য করে।
প্রয়োজনীয় আরো একটি পোষ্ট: অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা
আবার কলার খোসায় কীটপতঙ্গ পোকামাকড় দূরে রাখতে সাহায্য করে। আপনি যদি কলার খোসা
আপনার বাড়ির চারপাশে ছড়িয়ে রাখতে পারেন, তাহলে পোকামাকড় বাড়ির দূরে থেকে
যাবে। এছাড়াও চুলের যত্ন করতে কলার খোসা ব্যবহার করা হয়। আবার জীবাণু নাশক
হিসেবেও কলার খসা কাজ করে। আপনি চাইলে কলার ঘষা দিয়ে দাঁত পরিষ্কারও করতে পারেন।
এছাড়া আরও অনেক কাজে কলকাতার ব্যবহার করা হয়।
কলার খোসার ১০টি স্বাস্থ্যকর উপকারিতা
কলার খোসার ১০টি স্বাস্থ্যকর উপকারিতা আপনারা কি জানেন। কলার কসাই অনেক
স্বাস্থ্যকরী উপাদান রয়েছে যা স্বাস্থ্য কে ভালো রাখতে সাহায্য করে। কলা
কিন্তু অনেক পুষ্টিকর একটি ফল যেটি আমরা সবাই জানি। কিন্তু কলার খোসা দিয়ে কি
হয় তা আমরা অনেকেই জানিনা। যেমন কালা খুব উপকারী একটি ফল পাশাপাশি কলার খোসাও
কিন্তু খুব উপকারী একটি জিনিস। কলার খোসায় রয়েছে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় আশ যা
শরীরের কোলেস্টেরল, হজম শক্তি, ডায়াবেটিসেও গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে।
আবার কলার খসায় ওজন নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে। কলার খসাতে রয়েছে ভিটামিন
সি, যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এবং পটাশিয়াম উপাদান রয়েছে
যা শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও আরো অনেক কাজে
অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতায় কলার খোসা ব্যবহার করা হয়। যা আমরা নিচে উল্লেখ
করেছি।
- দাঁতের যত্নে
- চুলের যত্নে
- খোশপাঁচড়ার ঔষধ
- আঁচিল দূর করে
- ব্রণ ভালো করে
- বলিরেখা দূর করে
- ত্বককে মসৃণ করে
- পোকামাকড়ের কামড়ের যন্ত্রনা দূর করে
- চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে
- ঠোঁট ফাটা দূর করে
চুলের যত্নে কলার খোসার ব্যবহার
চুলের যত্নে কলার খোসার ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লম্বা,
ঘন, কালো, সিল্কি চুল পেতে চান, তাহলে আজকে থেকেই আপনি চুলের যত্নে কলার
খোসা ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য আপনি একটি কলার খোসা পরিষ্কার করে ধুয়ে কুচি
কুচি করে কেটে নিন। এবার খোসা গুলোকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির মধ্যে নিয়ে তা
জাল করুন। এবং পানি গরম হয়ে গেলে এক চামচ চা পাতা তার মধ্যে ছেড়ে দিন। এবং
জাল করা হয়ে গেলে সেদ্ধ করা কলার খোসা গুলোকে নিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে
নিন।
আরো পড়ুনঃ নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
এরপরে আপনি চাইলে তার মধ্যে এক চামচ এলোভেরা জেল মিশিয়ে নিতে পারেন যা চুলের
জন্য খুবই উপকারী। এবং নারিকেল তেল এক চামচ মিশিয়ে নিতে পারেন। এবং গোসল করার
আগে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত আপনি তা লাগিয়ে দিতে পারেন। এবং আধাঘন্টা
অপেক্ষা করার পর শ্যাম্পু দিয়ে তা ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দুইবার এই কলার
খোসা ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে আপনি এর ফলাফল নিজেই পেয়ে যাবেন।
কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা
কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা খুবই কার্যকরী। যাদের স্কিন পাতলা বা ড্যামেজ হয়ে
যাচ্ছে এবং যাদের স্কিন রোদের তাপমাত্রায় জ্বালাপোড়া করে তাদের জন্য খুবই
কার্যকরী একটি উপাদান কলার খোসা। একটি কলার খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে কয়েকটি ভাগে
কেটে ফেলুন। এরপরে আপনি কলার খোসা দিয়ে আপনার মুখের স্কিনে মাসাজ করতে পারেন।
আপনি চাইলে এটি প্রতিদিনও করতে পারেন। এটি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
আপনার ত্বকে যদি কোন কালো দাগ থাকে সেটি দূর করতে সাহায্য করে। এবং স্কিনকে
ঠান্ডা করে তোলে যার মাধ্যমে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও কলার
খোসার পাশাপাশি আপনি কলা দিয়ে ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। এর জন্য একটি কলা ও
কিছু পরিমাণ কাঁচা দুধ একসাথে ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এবং সেই
পেস্ট মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পরে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে ত্বকের যত্নে কলা ও
কলার খোসা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কলার খোসা মুখে মাখলে কি হয়
কলার খোসা মুখে মাখলে কি হয় তা কি আপনারা জানেন? প্রায় অধিকাংশ মানুষের
কাছেই এই তথ্যটি অজানা। কালার খাসা মুখে ব্যবহার করা ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা
অধিক পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। আপনার চোখের নিচে যদি ফুলে যায় এবং
আপনি যদি আপনার মুখে ব্রণ দূর করতে চান তাহলে আপনি কলার খোসা ব্যবহার
করতে পারেন। কলার খোসা ত্বকের উপকারে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে কাজ করে।
আরো একটি পোষ্টঃ রসুন খাওয়ার উপকারিতা
কলার খোসায় রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম যেটি ত্বকের ময়েশ্চারাইজ
বাড়াতে সাহায্য করে। এবং ত্বকের হাইড্রেট ধরে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও
মুখের সকল কালো দাগ ও ব্রণ দূর করতে সহায়তা করে কলার খোসা। তবে কলার খোসা
মুখের লাগানোর আগে আপনি অবশ্যই পরীক্ষা করে নিবেন কলার খোসায় আপনার এলার্জি
আছে কিনা। তা না হলে, আপনার ত্বকে চুলকানি ভাব দেখা দিতে পারে।
কলার খোসা দিয়ে দাঁত পরিস্কার
কলার খোসা দিয়ে দাঁত পরিস্কার খুব সুন্দর করে। আপনি হয়তো ভাবছেন কলার খোঁচা
দিয়ে আবার কিভাবে দাঁত পরিষ্কার করা যায়। কলার খোসায় প্রচুর পরিমাণে খনিজ
পদার্থ এবং রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাগাজিন এবং পটাশিয়াম। এই উপাদানগুলো
আপনার দাঁতকে সুন্দর ঝকঝকে ও শক্ত করতে সহায়তা করবে। এর জন্য আপনাকে একটি কলার
খোসা নিয়ে কয়েকটি ভাগে কেটে নিতে হবে। এবং সেই খসা দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা
যাবে।
কলার খসাকে কেটে নেয়ার পরে আপনার রাতে কলার খোসা ঘষে নিতে পারেন। এতে কলার
খোসার আর উপাদান গুলো আপনার দাঁত সাদা করতে সাহায্য করবে। আপনি সকালে ব্রাশ
করার পূর্বে দুই থেকে তিন মিনিট কলার খোসা দিয়ে আপনার দাঁত ঘষে নিতে
পারে। যাদের দাঁত একটু বেশি হলদেটে তারা চাইলে চার পাঁচ মিনিটও করতে পারেন।
এভাবেই আপনার দাঁত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে কলার খোসা।
কলার খোসার প্রাকৃতিক উপাদান গুলো
কলার খোসার প্রাকৃতিক উপাদান গুলো কি কি আপনারা কি তা জানেন। শরীরের
উপকারী অনেক প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে এই কলার খোসায়। যেগুলো উপাদান ডাইবেটিস
সহ বড় বড় রোগের বিরুদ্ধে লড়তে পারে। আর তাই আমাদের জানা উচিত কি কি
প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে এই কলার খোসায়। তাহলে আমরা সহজেই বুঝতে পারব কোন কোন
রোগগুলোতে কাজ করতে পারে এই কলার খোসা।
- পটাসিয়াম
- ম্যাগনেসিয়াম
- ভিটামিন সি
- ভিটামিন বি ৬
- ফাইবার
- লুটেইন
- টাইনিল
- সিরামাইড
আরো বিভিন্ন রকমের প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে এই কলার খোসায়। যা স্বাস্থ্যের
জন্য খুবই উপকারী একটি পদার্থ কলার খোসা। তাই আপনি চাইলে আজ থেকেই আপনার
স্বাস্থ্য উপকারের জন্য কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন।
কলার খোসার অপকারিতা
কলার খোসায় যেমন উপকারিতা রয়েছে, তেমন কিছু অপকারিতা ও রয়েছে। আর এই
অপকারিতা গুলো কি কি সেটা জানার পরেই আমাদের কলার খোসা ব্যবহার করা উচিত।
কারো কারো কলার খোসায় এলার্জি থাকতে পারে। আর তাই কলার খোসা খাওয়ার আগে বা
ব্যবহার করার পূর্বে আমাদের এই বিষয়ে সতর্কতা থাকা উচিত। তা না হলে আপনার
শরীরে চুলকানি ভাব দেখা দিতে পারে।
আবার কলার খোসা অনেকেই মুখে মাখতে অস্বস্তি বোধ করে। এবং কলার খোসা খাওয়ার
আগে অবশ্যই আপনাকে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। তা না হলে কলার খোসায়
লেগে থাকা মাটি পেটে গিয়ে ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। এবং কলার খোসায়
গন্ধ থাকতে পারে যেটি মুখে মাখলে অস্বস্তি হতে পারে। তাই আমাদের অবশ্যই কলার
খোসা ব্যবহার করার জন্য খুব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে নিতে হবে।
শেষকথা
কলার খোসার ব্যবহার গুলো সম্পর্কে নিশ্চয়ই আপনি জানতে পেরেছেন এবং বুঝতে
পেরেছেন। শরীরের জন্য কলার খোসা খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। তাই আমরা চাইলে
কলার খোসা ফেলে না দিয়ে এসকল কাজে ব্যবহার করতে পারি। এবং আশা করছি আর্টিকেলটি
পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। এরকম আরো অজানা তথ্য পেতে আমাদের এই অর্গানাইজ আইটি
ওয়েবসাইটটিকে থেকে ফলো দিয়ে রাখুন, এছাড়াও আমাদের যোগাযোগ পেজে গিয়ে যোগাযোগ
করতে পারেন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url