কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায় ও তার ১০ টি উপায়
কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায় তা জানতে আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ আপনার
জন্য। যারা পেটের চর্বি হাওয়ায় ভুগছেন আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার সেই সমস্যা
দূর করতে সহায়ক হয়ে থাকবে। এই আর্টিকেলে তা আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
পেজ সূচিপত্রঃ কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়
- কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়
- পেটের চর্বি হওয়ার কারণ গুলো কি কি
- তল পেটের চর্বি কমানোর উপায়
- পেটের চর্বি কমানোর ঘরোয়া উপায়
- পেটের চর্বি কমানোর জন্য ব্যায়াম
- মেয়েদের পেটের চর্বি কমানোর উপায়
- প্রাকৃতিক উপায়ে পেটের চর্বি কমানোর উপায়
- পেটের চর্বি কমানোর হোমিওপ্যাথি ওষুধ
- পেটের চর্বি কমানোর জন্য পুষ্টিকর খাবার
- শেষকথা
কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়
কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায় তা কি আমরা জানি? যদি না জেনে থাকি তাহলে অবশ্যই
আমরা এই আর্টিকেলে পেটের চর্বি হওয়ার এবং চর্বি কমানোর বিষয় জানবো। আমাদের
মধ্যে অনেকেই রয়েছে যাদের অনেক ওজন হয়ে যাচ্ছে এবং তারা নিজের ওজনকে নিয়ন্ত্রণ
করতে পারছে না। এর মধ্যে একটি কারণ হচ্ছে পেটের চর্বি হওয়া। অনেক কষ্ট করে ওজন
কমানো গেলেও পেটের চর্বি কমাতে পারছে না অনেকেই।
পেটের চর্বি কমানোর জন্য বেশ কিছু ব্যায়াম রয়েছে সেগুলো করলে পেটের চর্বি
আস্তে আস্তে কমতে শুরু করে। এবং অতিরিক্ত মাত্রার ফাইবার জাতীয় খাবার গুলোকে
মেন্টন করে খেলে, পেটের চর্বি আস্তে আস্তে কমে যেতে পারে। এছাড়াও পেটের চর্বি
কমানোর জন্য গরব পানির সাথে ভিনেগার মিশিয়ে খেতে পারেন। আবার গরম পানির মধ্যে
লেবুর রস মিশিয়ে খেলেও পেটের চর্বি কমার সম্ভাবনা থাকে।
আরো পড়ুনঃ ছোট বাচ্চাদের এলার্জি হলে করনীয়
এতে করে মেটাবলিজম ফার্স্ট হয়ে যায় এবং পেটে চর্বি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও
অনেক ধরনের ঔষধ সেবনের ফলেও পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। তবে ঔষধের চাইতে
প্রাকৃতিক উপায়ে পেটের চর্বি কমানো ভালো। তা নাহলে সমস্যা হয়ে যেতে পারে। আরো
অনেক উপায় রয়েছে যেগুলো জানলে আপনি আপনার পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করবে।
আর েএই পুরো বিষয় আস্তে আস্তে সমস্ত কিছু আলোচনা করেছি।
পেটের চর্বি হওয়ার কারণ গুলো কি কি
কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়, তার আগে আমাদের জানতে হবে পেটের চর্বি হওয়ার
কারণ গুলো কি কি। পেটের চর্বি আমাকে ফ্যাটি লিভার বলা হয়। মানুষের শরীরের যখন
ওজন বাড়ে তখন কিন্তু মাংসপেশি বা হাড়ের ওজন বাড়ে না। ওজন হিসেবে বাড়ি শুধু
চর্বি। এবং সেই অতিরিক্ত চর্বি গুলা পেটের পাশ দিয়ে লিভারে জমা হয়। রক্তে যদি
অতিরিক্ত মাত্রায় কোলেস্টেরল হয়ে যায় তাহলে চর্বি জমার আশঙ্কা থাকে।
এছাড়াও হাই ব্লাড প্রেসার হলেও এর সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও ডায়াবেটিস,
কোলেস্ট্রলের হাই লেভেল হলে পেটে চর্বি জমা আশঙ্কা থাকে। এগুলো ছাড়া পেটে
চর্বি হওয়ার আরো কিছু কারণ রয়েছে। যেমন, হেপাটাইটিস বি এবং হেপাটাইটিস সি,
দ্রুত ওজন কমে যাওয়া এগুলো হলেও কিন্তু পেটে চর্বি হতে পারে। এছাড়াও অপুষ্টির
কারণেও পেটে চর্বি হয়ে থাকে অনেকেরই। তাই আমাদের এগুলো থেকে নিয়ন্ত্রণ করা
উচিত।
আরো পড়ুনঃ হাত ও পায়ের তালু ঘামার কারণ কি
চর্বি জমার ফলে লিভারে অনেক ভাবে ক্ষতি করে ফেলে। একটা ভালো লিভারে যখন চর্বি
জমতে শুরু করে তখন আস্তে আস্তে লিভার কে ইনজুরি করে ফেলে। যার কারণে লিভারে
ইনফ্লামেশন হতে পারে। এভাবে আস্তে আস্তে লিভারের কোষগুলোকে ড্যামেজ করে দিতে
পারে। তাই আমাদের প্রতিনিয়তই এর সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া
জরুরী। তাই সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
তল পেটের চর্বি কমানোর উপায়
তল পেটের চর্বি কমানোর উপায় আমরা অনেকেই জানিনা, এর ফলে আমাদের অনেক সমস্যার
সম্মুখীন হতে হয়। তাই আমরা আজকে তলপেটে চর্বি হলে কিভাবে তা কমাতে পারি সেই
বিষয়ে জানতে পারব। আপনার অতিরিক্ত খাবার ফলেও তলপেটে চর্বি জমে যেতে পারে। তাই
আপনি ডায়েট করার অভ্যাস তৈরি করুন। এবং অতিরিক্ত খাওয়া বাদ দিয়ে তিন বেলায়
খাওয়ার অভ্যাস করুন।
এছাড়াও খাবার সময় অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া যাবে না। আবার যদি আপনি অতিরিক্ত
পরিমাণে ঘুমান সে ক্ষেত্রেও তলপেটে চর্বি হয়ে যেতে পারে। তাই আমাদের উচিত
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো। এর থেকে অতিরিক্ত ঘুমানো থেকে বিরত থাকতে
হবে। এছাড়াও প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি আপনি গরম কুসুম পানি পান করেন সে
ক্ষেত্রে আপনার তলপেটের চর্বি কমে যেতে পারে।
আবার আপনি যদি সারাদিন বসে বসে কাটান সে ক্ষেত্রে আপনার শরীরের ওজন বেড়ে
গিয়ে তলপেটে চর্বি জমা হতে পারে। তাই কাজকর্মের পাশাপাশি আপনি যদি ঘরের মধ্যে
ব্যায়াম করেন তাহলে এর সমাধান হতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন খেলাধুলাও করতে পারেন
শারীরিক জীবনে সুস্থ থাকার জন্য। খেলাধুলাও কিন্তু একটি শারীরিক ব্যায়ামের
মধ্যে পড়ে। এই নিয়মগুলো মেনে চলতে পারলে তলপেটের চর্বি দূর হয়ে যাবে।
পেটের চর্বি কমানোর ঘরোয়া উপায়
পেটের চর্বি কমানোর ঘরোয়া উপায় রয়েছে। সেগুলো কি আপনারা জানেন? যদি না জেনে
থাকুন তাহলে জেনে নিন কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে পেটের চর্বি কমানো যায়। পেটের চর্বি
হাওয়া বর্তমানে খুবই একটি কমন বিষয়। অনেকেরই দেখা যায় অল্প বয়সেই তার পেটে
চর্বি হয়ে গেছে। যার ফলে তাকে দেখতে খুব বাজে দেখায়। কিন্তু এর সমাধান অনেকেই
খুঁজে পায়না। আপনি চাইলে কিন্তু ঘরোয়া উপায়ে এর সমাধান করা সম্ভব।
অনেকেই অনেক চেষ্টা করার পরেও পেটের চর্বি বা পেটের মেদ কমাতে পারছে না। এবং সে
চিন্তায় রাতে ঠিকমতো ঘুমটাও হচ্ছেনা। মাত্র একটি ঘরোয়া উপায়েই আপনার পেটের
বাড়তি মেদ বা চর্বি কমে যেতে পারে। অনেকেই অনেক ধরনের উপায় খুঁজে বেড়াই
পেটের চর্বি কমানোর জন্য কিন্তু হিতে বিপরীত হয়েছে। যারা এই চর্বি নিয়ে
চিন্তিত বা শরীর চর্চার সময় পান না তাদের জন্য বিশেষ একটি ঘরোয়া উপায়
রয়েছে।
সেটি হল আদা ও লেবুর মিশ্রণ। এগুলোর রস যদি মিশিয়ে একসাথে খাওয়া যায় তাহলে
পেটের চর্বি প্রায় ১ ইঞ্চি কমে যেতে পারে। এর জন্য এক টুকরা আদা কুচি কুচি করে
কেটে পানতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। আবার সেই পানির মধ্যেই একটি লেবু টুকরো
করে ভিজিয়ে নিতে হবে। এক ঘন্টা সময় পার হয়ে গেলে সেই পানি আপনি পান
করতে পারেন। এভাবে দিনে তিনবার পান করলে আপনার পেটের চর্বি এক ইঞ্চি কমে যেতে
পারে
পেটের চর্বি কমানোর জন্য ব্যায়াম
পেটের চর্বি কমানোর জন্য ব্যায়াম রয়েছে বেশ কয়েক রকমের। এসব ব্যান্ডগুলো
করলে পেটের চর্বি কমাসহ শরীরকে ফিট রাখতে সাহায্য করবে।
- প্লাঙ্ক ব্যায়াম: এই ব্যায়ামটি শরীরের জন্য খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যকরী জিনিস। এটি শরীরের যেকোনো জায়গার মেদ বা চর্বি কমাতে সাহায্য করে। এই ব্যায়ামটি করার জন্য কিছু নিয়ম রয়েছে। প্রথমে আপনাকে মাটিতে সোজা হয়ে হাত পায়ের তালুর উপর ভর করে শুয়ে পড়তে হবে। এবং আপনি সোজা হয়ে পেটের পেশীগুলোকে নড়াচড়া করতে, পারেন এবং আস্তে আস্তে এই ব্যায়ামটি করার সময় বাড়ান।
- ক্রাঞ্চ ব্যায়াম: এই ব্যায়ামটি পেটের চর্বি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এটি করার জন্য চিৎ হয়ে শুয়ে পায়ের পাতা মাটিতে সোজাভাবে রাখুন। এরপরে দুই হাত মাথার নিচে রেখে আপনার মাথাকে উপরের দিকে তুলুন এবং নামান। এভাবে প্রতিদিন কিছু সময় এই ব্যাংক ঠিক করলে আপনার পেটের বাড়তি চর্বি কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করবে। এই ব্যায়ামটি পেটের চর্বি কমানোর জন্য উপযোগী।
- লেগ রেইজ ব্যায়াম: এই ব্যায়ামটি করার মাধ্যমেও পেটের অতিরিক্ত চর্বিকে কমিয়ে দিতে পারে। এই ব্যায়ামটি করার জন্য আপনাকে চিৎ হয়ে সোজাভাবে শুয়ে পড়তে হবে। এবং দুইটি পা একসাথে উপরের দিকে আস্তে আস্তে তুলুন। যতটা পারবেন ততটা তোলার চেষ্টা করবেন। এরপরে আস্তে আস্তে দুই পা একসাথে নামিয়ে নিন। এবং আপনার পা দুটি প্রতিনিয়তই যেন ভাসমান অবস্থায় থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
এই ব্যায়াম গুলি করলে পেটের চর্বির কমানোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা
যদি ব্যায়াম করে পেটের চর্বি কমাতে চাই, তাহলে এই ব্যায়াম গুলি আমরা প্রতিদিন
নিয়মিত করতে পারি।
মেয়েদের পেটের চর্বি কমানোর উপায়
মেয়েদের পেটের চর্বি কমানোর উপায় বেশ কিছু রয়েছে। শরীর ও স্বাস্থ্য সব সময়
ফিট রাখতে চাইলে আমাদের অবশ্যই ডায়েট ও ব্যায়াম করা খুবই প্রয়োজন। মেয়েদের
চর্বি এবং সাধারণ মানুষের শরীরে যে চর্বি হয় এগুলো কমানোর পদ্ধতি কমবেশি সবগুলোই
একই। পেটের চর্বি কমানোর জন্য আপনাকে সুষম খাবার গ্রহণ করার প্রয়োজন। এবং এর
পাশাপাশি চর্বি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকাই ভালো।
আরো পড়ুনঃ হাটু ব্যাথা সারানোর ঘরোয়া উপায়
মেয়েদের চর্বি কমানোর জন্য ঘরের মধ্যেই বিভিন্ন রকমের ব্যায়াম করতে পারেন। এতে
শরীর ফিট রাখতে ও আপনার ওজন কমতেও সাহায্য করবে। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি
পান করতে হবে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে দৈনিক প্রায় দুই থেকে আড়াই লিটার
পানি পান করা দরকার। এবং অতিরিক্ত ঘুম থেকে বিরত থাকুন এটি শরীরকে অলসতা করে তোলে
এবং কাজকের্মে অমনোযোগী করে তোলে।
এর ফলে আপনার অতিরিক্ত ওজন হয়ে যেতে পারে এবং পেটের চর্বি জমতে পারে। এবং
অ্যালকোহল জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। অ্যালকোহল জাতীয় খাবার শরীরে
চর্বি জমতে সাহায্য করে। তাই এই খাবারগুলি আমাদের এড়িয়ে যাওয়া প্রয়োজন। তাহলে
এভাবেই মেয়েদের ঘরোয়া উপায়ে পেটের চর্বি কমানো সম্ভব। এবং এই নিয়মগুলো মানলে
পেটে চর্বি না হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রাকৃতিক উপায়ে পেটের চর্বি কমানোর উপায়
কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায় এ নিয়ে অনেকের অনেক প্রশ্ন রয়েছে। কারো যদি
পেটের চর্বি হয়ে থাকে তাহলে তা প্রাকৃতিক উপায়েও কমানো সম্ভব। প্রতিদিন সকালে
ঘুম থেকে ওঠার পর যদি আপনি আধা ঘন্টা থেকে ৪৫ মিনিট হাঁটতে বা দৌড়াতে পারেন
তাহলে আপনার পেটের চর্বি কমে যাবে। এবং প্রতিদিনের খাবারের সাথে আপনি যদি গরম
কুসুম পানি পান করেন, তাহলে এটিও পেটের চর্বি কমানোর জন্য সহায়ক।
আবার আপনি যদি সারাদিন ঘরে বসে বসে না কাটিয়ে মাঝে মাঝে উঠে যদি কিছুক্ষণ
করে ব্যায়াম করেন, তাহলে এই ব্যায়াম আপনার পেটের চর্বি কমানোর জন্য বিশেষভাবে
কাজ করবে। আবার আপনি যদি খাবার সাথে সাথে শুয়ে না পড়ে কিছুক্ষণ থেমে
ঘুমাতে যান তাহলে পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করবে। এবং রাতের খাবারে অবশ্যই
আপনারা নরমাল রাখার চেষ্টা করবেন কোন প্রকার শাকসবজি বা প্রোটিনযুক্ত খাবার
খান।
চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলোকে এড়িয়ে চলতে হবে। এবং চর্বি জাতীয় ও তেল
জাতীয় খাবার গুলোকে খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। এভাবে আপনি যদি আপনার জীবন
পরিচালনা করতে পারেন তাহলে প্রাকৃতিক উপায়েই আপনার পেটের চর্বি দূর হয়ে যেতে
পারে। তাই অবশ্যই আপনাদের চেষ্টা করবেন উক্ত বিষয়গুলো মেনে চলার। এভাবেই
প্রাকৃতিক উপায়ে পেটের চর্বি কমানো যাবে।
পেটের চর্বি কমানোর হোমিওপ্যাথি ওষুধ
পেটের চর্বি কমানোর হোমিওপ্যাথি ওষুধ রয়েছে অনকে ধরনের। যারা দীর্ঘদিন যাবত পেটে চর্বি
হওয়া সমস্যায় ভুগছেন তারা অনেক চেষ্টা করেও কমাতে পারছে না। বর্তমান সময় এটি খুব
কমন একটি সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। এটা সবার জন্য কষ্টকর হয়ে য়ায়। তাই অনেকে অনেক
উপায়ে এর সমাধান করার চেষ্টা করে থাকে। কিন্তু হোমিওপ্যাথি ওষুধের মাধ্যমেও
এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। তাই আমরা চাইলে এই ঔষধ সেবন করতে পারি।
আবার আপনি যদি শুধু হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেয়ে যদি মনে করেন আপনার পেটের চর্বি
কমে যাবে তাহলে তা ভুল ধারনা। হোমিওপ্যাথি ওষুধ শুধু সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।
বাকি নিয়ম-কানুন গুলো আপনাকে মেনে চলতে হবে তাহলে আপনার পেটে চর্বি জমা সমস্যার
সমাধান পাবেন। আবার অনেক ধরনের হোমিওপ্যাথি ওষুধ রয়েছে তা খেতে পারেন।
হোমিওপ্যাথি ওষুধ একটি হচ্ছে ক্যালকারিয়া কার্ব। ওজন কমানোর জন্য বা শরিরের চর্বি
কমানোর জন্য যতো প্রকার ঔষধ রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে কার্যকরি ঔষধ হচ্ছে
এই ক্যালকারিয়া কার্ব। এছাড়াও ন্যাট্রা মিউর নামে একটি ঔষধ রয়েছে এটিও খুব
কার্যকরি। এটি শরিরের নিচ ভাগের অংশের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। তাই আপনি চর্বি
কমাতে এই হোমিওপ্যাথি ওষুধ গুলো সেবন করতে পারেন।
পেটের চর্বি কমানোর জন্য পুষ্টিকর খাবার
কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায় তার জন্য আমাদের প্রতিদিন অনকে বেশি
পরিমান পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার গুলো
আমাদের বেশি পরিমানে খাওয়া উচিত। এতে মেটাবলিজম বাড়ায় এবং এসব খাবার পেটে চর্বি
জমতে দেয় না। যেমন মাছ, ডিম, মুসুর ডাল ইত্যাদিতে অনেক পরিমানে প্রোটিন
থাকে। তাই এই খাবার গুলো পেটের চর্বি কমানোর জন্য কাজ করে থাকে।
এছাড়াও ফাইবার জাতীয় খাবার যেমন, সবুজ শাক সবজি, ভিটামিন সি যুক্ত ফল, বাদাম
ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকে। এসব খাবার পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য
করে। এছাড়াও ফল ও সবজি বেশি পরিমানে খাওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও আপনি যদি এক মোট করে
কাজু বাদাম খেতে পারেন, তাহলে আপনার পেট ভরা থাকবে কিন্তু আপনার শরিরের ওজন
নিয়ন্ত্রন রাখতে সাহায্য করবে।
আবার শসা খেলেও চর্বি কমে যায়। এবং শসার পানি শরিরের অপ্রয়োজনীয় পানি বের করতে
সাহায্য করে থাকে। এবং খাবার রান্না করার সময় আপনার সবুজ শাক সবজি গুলো এমন ভাবে
রান্না করতে যেনো তরকারি গুলো সবুজ হয়ে থাকে। তাহলে পুর্ণ ভিটামিন পাওয়া সম্ভব।
এই খাবার গুলো খাওয়ার ফলে পেটের চর্বি কমানোর জন্য বিশেষ ভাবে কাজ করে থাকে
খাবার গুলো।
শেষকথা
কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায় তা নিয়ে এই আর্টিকেলে আমরা সমস্ত বিষয়ে আলোচনা
করেছি। বর্তমান সময়ে এই সমস্যা অনেকেরই হয়ে থাকে, তাই আমাদের এই সমস্যার সমাধান
খুব প্রয়োজন।আমরা কিভাবে পেটের চর্বি কমাতে হয় সেটার বিস্তারিত আমরা এতক্ষণে
জানলাম। এটা থেকে হয়তো আপনারা সঠিক তথ্যগুলো পেয়ে উপকৃত হয়ে
থাকবেন। এবং আপনাদের ভালো লাগবে।
আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। এবং সমস্ত কিছু বুঝতে পেরেছেন আর্টিকেলটি
পড়ার মাধ্যমে। আপনাদের সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য আমরা এই অর্গানাইজ আইটি ওয়েবসাইট
থেকে পোস্ট করে থাকি। তাই নিত্য নতুন তথ্য পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়তই
চোখ রাখুন। আমরা আপনাদের নতুন নতুন তথ্য দিতে বিশেষভাবে প্রস্তুত রয়েছি। আজকের
মত বিদায় নিচ্ছি ভালো থাকবেন, ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url