ই কমার্স এর সুবিধা ও অসুবিধা গুলো বিস্তারিত জানুন
ই কমার্স এর সুবিধা ও অসুবিধা জানার জন্য আজকে আপনি সঠিক আর্টিকেলে প্রবেশ
করেছেন। বর্তমানে অনেক মানুষ ই-কমার্স থেকে পণ্য কেনাবেচা করে থাকে। কিন্তু এর
অসুবিধা ও সুবিধা রয়েছে যেগুলো সবার চোখে পড়ার মতো না। ই-কমার্সের ফলে মানুষের
জীবনযাপন সহজ হয়ে গেছে।
কিন্তু এর সুবিধা ও অসুবিধা গুলো কি কি তা আমরা এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা
করেছি। ই-কমার্সের সকল সুবিধা অসুবিধা গুলো কি কি তা আমরা এর ১০ টি বিষয় নিয়ে
উল্লেখ করেছি। তাহলে চলুন জেনে আসি কি কি সুবিধা ও কি কি অসুবিধা।
পেজ সূচিপত্রঃ ই কমার্স এর সুবিধা ও অসুবিধা
- ই কমার্স এর সুবিধা ও অসুবিধা
- ই কমার্স কাকে বলে
- ই-কমার্স এর সুবিধা গুলো কি কি
- ই-কমার্স সেবার তালিকা
- ই কমার্স কিভাবে কাজ করে
- ই-কমার্স ব্যবসার নিয়ম
- ই-কমার্সের অসুবিধা গুলো কি কি
- শেষকথা
ই কমার্স এর সুবিধা ও অসুবিধা
ই কমার্স এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে অনেকেরই তেমন কোন ধারণা নেই। ই-কমার্স
এর বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে আবার অসুবিধা রয়েছে। ই-কমার্সের মূলত সুবিধা গুলো
তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা
- ক্রেতার সুবিধা
- সামাজিক সুবিধা
- সংস্থার সুবিধা
ক্রেতার সুবিধা গুলো হলঃ
- কিন্তু দ্রুত পণ্য ডেলিভারি
- পণ্যের মান পর্যালোচনা করতে পারে
- তথ্য সরবরাহ ও ছাড় প্রধান
- ভার্চুয়াল নিলাম
সামাজিক সুবিধাগুলো হলঃ
- পণ্যের ব্যয় হ্রাস করতে সহায়তা করে
- ঘরে বসেই পণ্য কেনা যায়
- গ্রামীণ অঞ্চল গুলোতে পরিষেবা ও পণ্য এক্সেস করতে পারে
- সরকারকে জনসভা করতে সহায়তা করে
সংস্থার সুবিধা গুলো হলঃ
- ডিজিটাল প্রক্রিয়া তৈরি
- ভালো কাস্টমার সার্ভিস
- সহজ দ্রুত ও উপযোগী
- জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রসারিত
আবার ই কমার্সের অসুবিধা কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ কারিগরি ও
অকারিগরি।
কারিগরিঃ
- ইন্টারনেট সংযোগ
- অনিরাপত্তা নির্ভরশীলতা ও দুর্বল প্রয়োগ
- বিশেষ সফটওয়্যার বা ওয়েব সার্ভার দরকার
- আবার কখনো কখনো অ্যাপ্লিকেশন বা ডাটাবেজ সহ ই-কমার্স ওয়েবসাইট এক করা কঠিন হয়ে পড়ে
অকারিগরিঃ
- প্রাথমিক ব্যয়
- দ্রুত পরিবর্তনশীল
- ব্যবহারকারী প্রতিরোধ
- ইন্টারনেট এখনো সহজলভ্য নয়
ই কমার্স কাকে বলে
ই-কমার্স কাকে বলে এটা প্রায় অনেকেই জানিনা। কিন্তু আমরা ই কমার্স শব্দটির
সাথে কমবেশি প্রায় সকলেই পরিচিত। ই-কমার্স বলতে ইলেকট্রনিক্স কমার্স কে
বোঝায়। E-commerce এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Electronic Commerce। ইলেকট্রনিক
নেটওয়ার্ক এমন একটি সিস্টেম যেটি ইন্টারনেট ব্যবহার করার মাধ্যমে, বিভিন্ন
পণ্য ক্রয় বিক্রয় বা অর্থ আদান-প্রদান হচ্ছে ই-কমার্স বা ই-বিজনেস।
আরো পড়ুনঃ শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায়
ইলেকট্রনিক বা অনলাইনের মাধ্যমে যে ব্যবসা করা হয় সেটি ই-কমার্স এর আওতায়
পড়ে। এছাড়া ই-কমার্স এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট দিয়ে যেকোনো পণ্য কেনাবেচা করা
হয়। আর এই ই-কমার্স বিশাল পরিসরে বিস্তৃতি লাভ করে। এছাড়া ই-কমার্স এর
মাধ্যমে নানা লেভেলের পণ্য কেনাবেচা করা হয়। এবং ই কমার্সের বিজনেস করার
জন্য নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে। এভাবেই ই-কমার্স বিজনেস করা
হয়।
ই-কমার্স এর সুবিধা গুলো কি কি
ই কমার্স এর সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। কিন্তু এর অসুবিধার চাইতে সুবিধা অনেক
বেশি। তাই আপনিও যদি আজ থেকে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে পারেন আপনিও লাভবান
হতে পারেন। ই-কমার্সে বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে যা গ্রাহকদের জন্য খুবই উপকার
করে। আর তাই বর্তমান সময়ে ই-কমার্স ব্যবসার পরিসর ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে।
তাহলে চলুন এখন জেনে আসি ই কমার্সের সুবিধা গুলো কি কি।
- ই-কমার্স বিজনেস করাই খরচ কম হয়
- দেশ সহ দেশের বাইরেও বিস্তার লাভ করে
- ই-কমার্স ওয়েবসাইট সব সময় খোলা থাকে
- ই-কমার্সে সকল পণ্য পাওয়া যায়
- ই কমার্স থেকে পণ্য কিনে সহজে পেমেন্ট করা যায়
- দিন দিন আরও উন্নত হচ্ছে গ্রাহক সেবা
- ই কমার্স ব্যবসায়ীরা খুব সহজেই হিসাব নিকাশ করতে পারে
- এবং ই-কমার্সের পণ্যে অনেক ঝুঁকি কম থাকে
ই-কমার্স সেবার তালিকা
ই-কমার্স নানান ধরনের সুবিধা দিয়ে থাকে। যা গ্রাহক ও ব্যবসায়ীদের জন্য
বিশাল সুযোগ সৃষ্টি করেছে। ই-কমার্স মানুষের মধ্যে এত সুন্দর সুবিধা দিয়েছে
যা সবার জন্য উপকারী। আপনি চাইলে সকল সুবিধাগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি
ঘরে বসেই সব কাজ করে নিতে পারেন। এবং ই-কমার্স ব্যবসা করে আপনি চাইলে লাখ লাখ
টাকা ইনকাম করতে পারেন। ই-কমার্সের সুবিধা গুলো তাহলে আমরা এখন জেনে নেই।
- পেমেন্ট গেটওয়ে
- মার্কেটপ্লেস
- ডেলিভারি সার্ভিস
- অনলাইন শপিং
- ক্লাউড কমার্স
- অনলাইন পণ্য এক্সচেঞ্জ
- ডিজিটাল ডাউনলোড
- মোবাইল কমার্স
- ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট
ই কমার্স কিভাবে কাজ করে
ই-কমার্স কিভাবে কাজ করে এর সহজ ভাবে বলতে গেলে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে কোন পণ্য
বা সেবা, অথবা উভয়ের আদান-প্রদান কে বোঝায়। ই-কমার্স বিজনেস কোন আলাদা
বিজনেস না। এটা হচ্ছে ইলেকট্রনিক সিস্টেমকে ব্যবহার করে সব ধরনের ব্যবসা করা।
ই-কমার্স বিজনেস ছয়টি স্টেপে কাজ করে থাকে। সেগুলো হলঃ ওয়েবসাইট, শপিং
কার্ট, এস এস এল সার্টিফিকেট, পেমেন্ট গেটওয়ে, মার্চেন্ট একাউন্ট, ব্যাংক
একাউন্ট ইত্যাদি।
প্রথমে কে একজন ওয়েবসাইটে আসবে, এবং সে কোন পণ্য খুঁজবে কেনার জন্য। এরপরে
সে শপিং কার্ট পণ্যের পুরো মূল্য দেখতে পারবে। এবং ক্রেতার সমস্ত ইনফরমেশন
গুলো সিকিউরিটির মধ্যে থাকবে। এবং ক্রেতার পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে তার কাছ
থেকে টাকা কাটা হবে। এবং পেমেন্ট পরিশোধ হলে মার্চেন্ট একাউন্টে পৌঁছাবে।
এরপরে সেই ই কমার্স ব্যবসায়ীর ব্যাংক একাউন্টে টাকা পৌঁছাবে, এবং সে তুলতে
পারবে।
ই-কমার্স ব্যবসার নিয়ম
ই কমার্স এর সুবিধা ও অসুবিধা অনেকটাই আপনি এতক্ষণে জেনে গেছেন। ই-কমার্স
ব্যবসার কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। এ সকল নিয়ম কানুন গুলো অনুসরণ করে ই-কমার্স
ব্যবসা শুরু করলে আপনিও একজন সফল ই-কমার্স ব্যবসায়ী হতে পারেন। ই-কমার্স
ব্যবসা শুরু করার প্রথমেই আপনাকে ব্যবসার নিবন্ধন বা লাইসেন্স করে নিতে হবে।
এবং এই লাইসেন্স আপনার ব্যবসার ধরন অনুযায়ী করা হয়। পেমেন্ট সঠিক করার জন্য
পেমেন্ট গেটওয়ে বেছে নিতে হবে।
আরেকটি পোষ্টঃ রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার উপায়
যাতে গ্রাহকরা খুব সহজে পেমেন্ট করতে পারে। এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার
জন্য SSL যুক্ত করতে হবে। এবং গ্রাহকের দ্রুত সেবা প্রধান নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া পণ্য ফেরত বা এক্সচেঞ্জ করার সুযোগ করে দিতে হবে। এবং গ্রাহকের সমস্ত
ডাটা গোপন রাখতে হবে। এবং পণ্যের সাথে বিভিন্ন কুপন বা ডিসকাউন্ট অফার দিতে হবে
যাতে গ্রাহকদের আকর্ষণীয় বেড়ে যায়। এবং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মটি সুন্দর করে
সাজাতে হবে।
ই-কমার্সের অসুবিধা গুলো কি কি
ই কমার্স এর সুবিধা ও অসুবিধা অনেক রয়েছে। ই-কমার্সের যেমন সুবিধা রয়েছে
তেমনি কিছু অসুবিধাও রয়েছে। তবে ই-কমার্সের অসুবিধার চাইতে সুবিধাই বেশি।
ই-কমার্স বিজনেস বা ই-কমার্স থেকে পণ্য কেনার জন্য ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন
হয়। এছাড়া গ্রাহকের সকল ডাটা গুলো যেকোনো সময় অনিরাপদে চলে যেতে পারে। এবং
এর থেকে বিভিন্ন স্ক্যামের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ই-কমার্স ব্যবসা করতে
নির্দিষ্ট একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েব সার্ভারের দরকার হয়।
ই-কমার্স থেকে পণ্য কেনার জন্য টাকা অগ্রিম পেমেন্ট করতে হয়। এবং বিভিন্ন
জায়গায় পণ্য ডেলিভারিতে সমস্যা হতে পারে। এবং দূরবর্তী এলাকায় পৌঁছানোর জন্য
বিভিন্ন সমস্যা ও খরচ বেশি হয়। ফোনে সেবা পাওয়া খুব অস্বস্তিকর হতে পারে
ক্রেতাদের কাছে। এবং ই কমার্স থেকে পণ্য কেনার জন্য অনেকেরই আস্থা কম থাকে।
কারণ টাকা অগ্রিম পেমেন্ট করতে হয় এবং পণ্য ভালো বা খারাপ ক্রেতারা বুঝতে পারে
না। সাধারণত ই-কমার্সের এই সমস্যা গুলো হয়ে থাকে।
শেষকথা
ই কমার্স এর সুবিধা ও অসুবিধা গুলো আশা করি আপনি পুরোপুরি বুঝতে পেরেছেন। এবং
এর থেকে আপনি উপকৃত হয়েছেন। বর্তমানে ই-কমার্স বিজনেস করে অনেক বেকার মানুষ
স্বাবলম্বী হচ্ছে। এবং ই-কমার্সের সুবিধা সারা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। তাই
আপনিও চাইলে ই-কমার্সের সুবিধা নিতে পারেন এবং এই কমার্স বিজনেস শুরু করতে
পারেন। আশা করি আপনাকে আমরা সঠিক তথ্য উপস্থাপন করে দিতে পেরেছি।
আমাদের এই অর্গানাইজ আইটি ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত সেবামূলক পোস্ট পাবলিশ করা
হয়। আপনার যদি কোন অজানা তথ্য জানার ইচ্ছে হয় তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইটে ফলো
রাখতে পারেন। আমরা নতুন নতুন আপডেট তথ্য প্রদান করে থাকি। তাই আজকের মত এখানেই
বিদায় নিচ্ছি ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url