দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম সেরা ১০ টি দেখে নিন

দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম কোনগুলা আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে আপনি আজকে সঠিক আর্টিকেলে প্রবেশ করেছেন। এই আর্টিকেলে আমরা দাউদের সেরা ১০ টি মলমের নাম উল্লেখ করেছি। সেগুলো কি কি তা জানতে পারবেন।
দাউদের-সবচেয়ে-ভালো-মলম
এছাড়াও ঘরোয়া উপায়ে দাউদ ভালো করার জন্য বেশ কিছু টিপস তুলে ধরেছি আজকের এই আর্টিকেলটিতে। আপনার যদি দাউদ হয়ে থাকে তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে। তাই আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ আপনার জন্য।

পেজ সূচিপত্রঃ দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম

দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম

দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম কোনটি আপনি কি তা জানেন? আপনার হয়তো দীর্ঘদিন ধরে দাউদ ভালো করতে পারছেন না। কিন্তু আপনি যদি বিশেষ ভালো মলম গুলো ব্যবহার করতে পারেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনার দাউদ ভালো করা সম্ভব। আর তার জন্য আপনাকে জানতে হবে দাউদের সবচাইতে কোন মলমটি ভালো। আর তার জন্য আপনাদের সামনে সেরা ১০ টি দাউদের মলমের নাম উল্লেখ করেছি।
  1. ডারোবিন
  2. টারবিফিন
  3. ফানজিডাল
  4. পেভিটিন
  5. এরিস্টোকর্ট
  6. ক্লোট্রিম
  7. ডার্মাকম
  8. ফানজিকর্ট
  9. নুলিজা
  10. কমবিসিড
এই মলম গুলো দাউদের জন্য ব্যবহার করলে অনেক পুরনো দাউদও ভালো হয়ে যাবে।

দাউদ এর ঘরোয়া চিকিৎসা

দাউদ এর ঘরোয়া চিকিৎসা  কিভাবে করতে হয় তা আপনাদের সামনে আলোচনা করেছি। বর্তমানে দাউদ হচ্ছে অনেকেরই। কিন্তু এই দাউদ একেবারে ভালো হয়ে যাচ্ছে না। হচ্ছে আবার ভালো হয়ে যাচ্ছে আবারও হচ্ছে এরকম চলতেই আছে। কিংবা পুরোপুরি ভালো হচ্ছেই না। দাউদ এক ধরনের ছত্রাক জাতীয় জীবাণু দ্বারা আক্রমণ করে। আর এই দাউদ চামড়ার ভাজে ভাঁজে হয়ে থাকে। ডায়াবেটিস রোগী ও যারা বেশি ঘামে তাদের এই দাউদ বেশি হয়ে থাকে।

ঘরোয়া উপায়ে দাউদ ভালো করার জন্য বেশ কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করা প্রয়োজন। যেমন ঘরোয়া উপায় আপনি চাইলে কিছু মলম বানিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আলমন্ড অয়েল, ভিনেগার, গোলমরিচ, হলুদ, তুলসী পাতা, রসুন এগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এবং দাউদের জায়গায় লাগানোর পর কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলতে হবে। এবং দাউদের স্থানটিতে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

দাউদ হলে করণীয় কি

দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম গুলোর নাম আমরা উল্লেখ করেছি। এবার আমরা জানবো দাউদ হলে আমাদের করণীয় কি। এই দাওয়াত সাধারণত শরীরের ভাতযুক্ত জায়গাতে হয়ে থাকে। এটা শুরুতে গোল আকৃতির ঘায়ের মত দেখতে হয়। এবং আস্তে আস্তে এটি বড় হতে থাকে। এরকম ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে আমরা ধরে নেব যে দাউদ হতে পারে। আর এই দাউদ হলে আমাদের আমাদের কিছু করণীয় রয়েছে।

অনেকেই দাউদ হলে একা একাই ফার্মেসিতে গিয়ে দাউদের ঔষধ খেয়ে থাকি। এবং অনেক ধরনের ক্রিম ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এটা মোটেও ঠিক না। এতে আপনার বড় ধরনের ক্ষতিও হয়ে যেতে পারে। এবং আপনার দাউদ হলে আপনি সবসময় খোলামেলা বাতাসে থাকার চেষ্টা করবেন। কারণ  শরীর ঘামলে দাউদ ভালো হতে দেরি হয়। এবং সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থাকা দরকার।

দাউদ হলে কি কি খাওয়া নিষেধ

দাউদ হলে কি কি খাওয়া নিষেধ তা হয়তো অনেকেই না জানে সব কিছুই খেয়ে থাকে। দাউদ বা চুলকানি একটি অস্বস্তিকর সমস্যা। যেকোনো সময় চুলকানির সৃষ্টি করতে পারে দাউদ। যদি আপনার শরীরে অনেক দিন ধরে দাওয়াত বা ইনফেকশন হয়ে থাকে, কিন্তু চিকিৎসা করছেন তবুও ভালো হচ্ছে না। আর তাহলে আপনাকে জানার দরকার আপনি যেসব খাবার খাচ্ছেন সেই খাবারগুলো খাওয়া যাবে কিনা।
দাউদ-হলে-কি-কি-খাওয়া-নিষেধ
যদি আপনার অনেক দিনের দাউদ ভালো না হয়ে থাকে তাহলে এইসব খাবার খাবেন না। খাবারগুলো হচ্ছে, বেগুন, মাংস, শুকনো মাছ, কচু, ফুলকপি ইত্যাদি খাবার গুলো দাউদ হলে খাওয়া যাবে না। আপনার দাওয়াত যতদিন না ভালো হচ্ছে ততদিন এই খাবারগুলো খাওয়া যাবে না। কারণ এই খাবারগুলো এন্টিফাঙ্গাল উপাদান সমৃদ্ধ নয়। বরং এগুলো খেলে আরো চুলকানি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

দাউদ এর জন্য কোন ওষুধ ভালো

দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম সম্পর্কে আমরা জেনেছি, এবার জেনে নিব ভালো করার সেরা কিছু ঔষধের নাম। যেগুলো সেবন করার মাধ্যমেও আপনার দাউদ অতি তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যেতে পারে। দাউদ এক ধরনের ছত্রাক জনিত রোগ। একটি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চুলকানিভাব সৃষ্টি করার পর লাল লাল গোল হয়ে খোসা পরার মত দেখা যায়। আর এই দাওয়াত ভালো করার জন্য বিশেষ কিছু ঔষধ সেবন করা যেতে পারে। ওষুধ গুলোর নাম নিচে উল্লেখ করা হলো।
  • রূপাডে
  • লুলিজল
  • স্কিনাবিন
  • টারবিনা ফোর্স
  • টেবিনা
  • টার্বিটোটাল
  • টারবেস্ট
  • ডারমা
  • এলাট্রল

দাউদের প্রাথমিক চিকিৎসা

দাউদের প্রাথমিক চিকিৎসা করেও আপনি চাইলে দাউদ ভালো করতে পারেন। আপনার শরীরে যদি দাউদ হয়ে থাকে তাহলে বিশেষ কিছু পদ্ধতিতে আপনি নিজ থেকেই দাউদ ভালো করতে পারেন প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে। এর জন্য আপনি যে কোন এন্টিফাঙ্গাল ক্রিম ব্যবহার পারেন। আর ক্রিম লাগানোর সময় অবশ্যই দিনে দুই থেকে তিনবার লাগাবেন দাউদ হওয়া জায়গাটিতে।

এছাড়া আক্রান্ত দাউদের জায়গাটিতে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এবং গোসলের সময় এন্টিফাঙ্গাল উপাদান সমৃদ্ধ সাবান ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত তাপমাত্রা বা আদ্রতা থেকে দূরে থাকুন। এবং আক্রান্ত জায়গাটিতে অতিরিক্ত চুলকাচুলকি করবেন না। এবং আপনার ব্যক্তিগত জিনিস আপনি নিজেই ব্যবহার করুন। এরপরেও যদি আপনার দাউদ উন্নতি থেকে না যায় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

রসুন খেলে কি দাদ ভালো হয়

দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম দিয়ে দাও ভালো করা যায়। কিন্তু আপনি কি জানেন রসুন খেলেও ডাউট ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। রসুন এ প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক ভাবে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। এবং এর পাশাপাশি রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ। আর এই সকল উপাদান গুলো ছত্রাক জাতীয় রোগের সাথে দারুণভাবে লড়াই করতে পারে। আর এই রসুন খাওয়ার মাধ্যমে দাউদ ভালো করবে প্রায় ৫০%। 
রসুন-খেলে-কি-দাদ-ভালো-হয়
এবং রসুন খেলে পুরোপুরি দাউদ ভালো নাও হতে পারে। আর তাই এর সাথে ব্যবহার করতে হবে এন্টিফাঙ্গাল উপাদান যুক্ত ক্রিম এবং ট্যাবলেট। আর এই রসুন খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে অধিক পরিমাণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এবং ত্বকের স্বাস্থ্য আরো উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে। তাই দাউদ ভালো করার পাশাপাশি আপনি চাইলে এমনিতেও প্রতিদিন এক কয়া করে রসুন খেতে পারেন।

মুলকথা

দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম কোনটি আপনি তা নিশ্চয়ই এতক্ষণে জেনে গেছেন। আর যদি না জেনে থাকেন তাহলে আপনার উচিত এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন করে তা জেনে নেওয়া। কারণ বর্তমানে অনেকেই দাউদের মতো সমস্যাতে ভুগছেন। আশা করছি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন এবং সম্পূর্ণ দাউদ সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। আরও যদি অজানা তথ্য থাকে তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইটে ফলো দিয়ে রাখতে পারেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url