ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় জানার জন্য আজকে আপনি সঠিক আর্টিকেলে প্রবেশ করেছেন। অনেকেরই সপ্ন থাকে ফর্সা হয়ে সুন্দরি হতে। কিন্তু সঠিক রুপচর্চা না করায় তারা সেরকম ফর্সা হতে পারেনা। 
ঘরোয়া-পদ্ধতিতে-ফর্সা-হওয়ার-উপায়
তাই আজকের এই আর্টিকেলে উল্লেখ করেছি ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায় তার ১০ টি পদ্ধতি। তাই যারা নিজের চেহারাকে ফর্সা করতে পারছেন না আজকের সম্পূর্ন আর্টিকেলটি তাদের জন্য। তাহলে চলুন উপায় গুলো জেনে আসি। 

পেজ সূচিপত্রঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়ের জন্য কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। তাহলে আপনি চাইলে পারবেন ঘরোয়া উপায় ফর্সা হতে। তবে ত্বকের প্রাকৃতিক যে রং সেটি পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তবে আপনার ত্বক হয়ে উঠতে পারে অনেক বেশি উজ্জ্বল। আমরা সবাই চাই ফর্সা হতে, কিন্তু সঠিক পদ্ধতিতে রূপচর্চা না করার কারণে অনেকেই তা পারে না। তাই আপনি চাইলে ঘরোয়া উপায়ে ফর্সা হতে পারেন।। তার জন্য বেশ কিছু কার্যক্রম আপনাকে নিয়মিত করতে হবে।

তার জন্য আপনি চাইলে আপনার ত্বকে দুধ এবং মধু মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। দুই চামচ দুধ এবং এক চামচ মধু মিশিয়ে আপনি যদি ত্বকে মাসাজ করতে পারেন, তাহলে অধিক পরিমাণে ত্বকের উজ্জ্বলতা বেড়ে যাবে। এছাড়াও লেবুর রস এবং শসা, বেসন এবং টমেটো, আলুর রস, অলিভ অয়েল এবং গ্লিসারিন ঘরোয়া পদ্ধতিতে এইসব ব্যবহার করলে অল্প দিনের মধ্যেই আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা দ্বিগুণ পরিমাণে বেড়ে যেতে পারে।

৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায়

৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় অনেকেই জানেন না। কিন্তু এমন একটি টিপস রয়েছে, যেটা আপনি জানলে আপনার কুচকুচে কালো চেহারা তিনদিনেই ফর্সা হয়ে উঠতে পারে বা উজ্জ্বলতা চলে আসতে পারে আপনার চেহারায় বা ত্বকে। এর জন্য প্রথমে আপনার দরকার হবে চালের গুড়া। এতে রয়েছে ভিটামিন এবং মিনারেল। আর এই উপাদানগুলো ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। আর তাই আপনি এক চামচ পরিমাণ চালের গুড়া নিয়ে নিবেন।

এবার প্রয়োজন হবে এক চামচ মধু। মধু ত্বককে করে তলে মসৃণ, এবং ভেতর থেকে ফর্সা করে। এরপর এক চামচ পরিমাণে দুধ নিয়ে নিবেন। এবং এক চামচ গোলাপ জল, এটির ত্বককে প্রয়োজনীয় আদ্রতায় রাখে। এবং এই চারটি উপাদানকে খুব ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। এরপরে ভালোভাবে আপনার ত্বকে লাগিয়ে নিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিতে হবে। আর তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে তা ধুয়ে ফেলুন। এভাবেই সপ্তাহে তিন দিন যদি ব্যবহার করেন, তাহলে এক মাসের মধ্যেই কুচকুচে কালো চেহারা ফর্সা হয়ে যাবে।

স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় আরো অনেক ভাবে করা যায়। সুন্দর না হতে কেই বা না চায়। কিন্তু কারো কারো ত্বক কালো হাওয়ায় সে খুব দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। কিন্তু এমন কিছু টিপস রয়েছে বা পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো অনুসরণ করলে আপনি স্থায়ীভাবে ফর্সা হতে পারবেন। অনেকেই ফর্সা হওয়ার জন্য নানা মেকআপ ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু এটি শুধু সাময়িক সময়ের জন্যই হয়ে থাকে। আর তাই আপনি যদি স্থায়ীভাবে ফর্সা হতে চান তাহলে গ্লোটা থিয়ন চিকিৎসা করতে হবে।

এটি এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্রিল্যাডিক্যাল কে ড্যামেজ করে। এছাড়াও ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে যেমন ভিটামিন সি এবং ই উপাদানযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করা। ব্যায়াম করে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেওয়া। পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত গ্রহণ করা, তাকে লেবুর রস ব্যবহার করা, এবং সূর্যের ক্ষতিকর রশ্নি থেকে সুরক্ষিত থাকতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা, এবং বিভিন্ন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে হবে। এভাবে স্থায়ী ভাবে ফর্সা হওয়া সম্ভব।

প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়

প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় অনেক সহজ ও নিরাপদ হিসেবেই রয়েছে। তবে আপনি অবশ্যই মনে রাখবেন প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের যে প্রাকৃতিক রং সেটি বদলানো পুরোপুরি সম্ভব নয়। তবে বিশেষ কিছু প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ত্বকের উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়। এর জন্য আপনি চাইলে এলোভেরা জেল প্রাকৃতিকভাবে সংগ্রহ করে আপনার ত্বকে লাগাতে পারেন। এতে ত্বক উজ্জ্বল হবে ও কালো দাগ দূর করবে।
প্রাকৃতিকভাবে-ফর্সা-হওয়ার-উপায়
এছাড়াও দই ও মধু, আলু ও মধু, বেসন ও হলুদ, লেবুর রস, কলা ও মধু, গোলাপজল ও টমেটো এবং প্রতিদিন নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করলেও প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়া সম্ভব হয়। তবে এইসব উপাদান গুলো ত্বকে ব্যবহার করার আগে আপনাকে চিন্তা করতে হবে আপনার কোন জিনিসটাতে অ্যালার্জি আছে। তা না হলে এলার্জির সমস্যা হতে পারে। আর এ সকল উপাদান গুলো ব্যবহার করার ফলে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার সম্ভব।

কালো থেকে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায়

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় এ কাল থেকে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় রয়েছে। উজ্জ্বল ত্বক পেতে চাইলে ঘরোয়া কিছু উপায়ও রয়েছে। আর এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো পরিষ্কার ত্বক। অর্থাৎ আপনাকে অবশ্যই আপনার মুখ ভালোভাবে ধুতে হবে। এরপরে অবশ্যই একটি ভালো মানের কৃত্রিম দ্রব্য ব্যবহার করা ছাড়া, ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। এবং সূর্যের ক্ষতিকর আলোকরশ্মি আটকানোর জন্য অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।

এবং রাতে আপনাকে আলাদা ভাবে কিছু নাইট ক্রিম ব্যবহার করা প্রয়োজন। এছাড়াও অতিরিক্ত ভাবে সম্পন্ন প্রাকৃতিক উপায় আছে যেমন হলুদের গুঁড়া ও বেসন এবং এর সাথে কি একটু পরিমাণে দুধ নিয়ে যদি ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা আরো বাড়বে। এটা মাসে এক থেকে দুই বার ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া মধু, অ্যালোভেরা, কলা দিয়ে বানানো পেস্ট ব্যবহার করা যেতে পারে কালো থেকে ফর্সা হওয়ার জন্য।

ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়

ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় করতে হলে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ এবং স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন উদযাপন করা। ত্বকের প্রাকৃতিকভাবে যে রং থাকে সেটি কোন ধরনের ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে বদলানো একেবারেই সম্ভব নয়। আর তার জন্য ভেতর থেকে ফর্সা হতে হলে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের কোন বিকল্প নেই। আর এই পুষ্টিকর খাবারগুলো ভেতর থেকে ফর্সা হতে সাহায্য করে।
গুরুত্বপূর্ণ পোষ্টঃ অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা

যেমন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারগুলো সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি ত্বকের উজ্জ্বল বাড়ায় এবং তককে স্বাস্থ্যবান রাখে। এবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবারগুলো ত্বকের ময়েশ্চারাইজ রক্ষা করে। এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারগুলো ত্বকের মরে যাওয়া কোষগুলোকে সরিয়ে নতুন ভাবে গঠন করতে সাহায্য করে। এবং প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া প্রয়োজন। কারণ পানি শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখে। আর এই খাবারের মাধ্যমে একমাত্র ভেতর থেকে ফর্সা হওয়া সম্ভব।

সকালে খালি পেটে কি খেলে ত্বক ফর্সা হয়

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়ে আপনি চাইলে সকালে খালি পেটে কিছু খাবার খেতে পারেন। এ সকল খাবারগুলোও আপনার ফর্সা হওয়ার কারণ হতে পারে। সকালে খালি পেটে কিছু খাবার খেলে অনেক সহজেই ফর্সা হওয়া সম্ভব। এবং তাক হয়ে উঠবে আরো উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যবান। তার মধ্যে একটি খাবার হচ্ছে লেবুর রস। এক গ্লাস পানিতে আপনি যদি একটি লেবু সকালে খালি পেটে খান তাহলে ভিটামিন সি সহ ত্বকের জন্য বেশ উপকারী।
সকালে-খালি-পেটে-কি-খেলে-ত্বক-ফর্সা-হয়
এছাড়াও ভিটামিন ই যুক্ত আলমন্ড বাদাম ৫-৬ টা রাতে ভিজিয়ে রেখে সেগুলো সকালে খালি পেটে খান। এটি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্নি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। আবার এক টুকরো আদার রস গরম পানিতে ফুটিয়ে বের করে নিয়ে সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। তবে আপনি সুন্দর হওয়ার জন্য যেটাই খান না কেন অবশ্যই ধৈর্য ধরে নিয়মিত খাবেন। তাহলে আপনার ত্বক হয়ে উঠতে পারে অনেক সুন্দর এবং উজ্জ্বল ও ফর্সা।

শেষকথা

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে নিশ্চয়ই এতক্ষণে ভালোভাবে বুঝতে ও জানতে পেরেছেন। ফর্সা হওয়ার স্বপ্ন সবারই থাকে, কিন্তু সঠিক রূপচর্চা না জানার কারণে অনেকেই ফর্সা হতে পারে না। আর তাই এই আর্টিকেলটি আমাদের পুরো পড়ে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানা উচিত। আশা করছি আর্টিকেলটি আপনি বুঝতে পেরেছেন এবং আপনি উপকৃত হয়েছেন। আরো কোন আপনার অজানা তথ্য থাকলে আমাদের এই ওয়েবসাইটে ফলো রাখতে পারেন, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url