নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা কি তা জেনে নিন

নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা এই আর্টিকেলে বিস্তারিত জানবো। আপনি যদি নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনি সঠিক আর্টিকেলে এসেছেন। সবাই নিমপাতা কে চিনি কিন্তু এর সঠিক ব্যবহার আমরা জানি না।
নিম-পাতার-উপকারিতা
এই আর্টিকেল থেকে আমরা আজকে জানবো নিম পাতা থেকে পাশ থেকে দশটি উপকারিতার কথা। এবং নিমপাতা তে কি কি অপকারিতা আছে সেটাও তুলে ধরেছি এই আর্টিকেলে।

পোস্ট সুচিপত্রঃ নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। যুগ যুগ ধরে নিম পাতা বিভিন্ন চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। নিম গাছের গোড়া থেকে শুরু করে পাতা পর্যন্ত প্রতিটি জিনিসই পুষ্টিগুণে ভরপুর। আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত নিম পাতা খেতে পারেন তাহলে এর পুষ্টি গুনাগুন আপনিও টের পাবেন। 

বড় বড় ব্যাধি সারিয়ে তোলে এই নিম গাছ। পেট ব্যথা থেকে শুরু করে ডায়াবেটিক্স, আলসার, লিভারের সমস্যা এরকম নানা রোগ সারিয়ে তুলে নিমপাতা।নিমপাতাতে রয়েছে অত্যন্ত পরিমাণ এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে।নিম পাতায় প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন সি সহ নানা উপাদান রয়েছে। আর এইসব উপাদানে প্রায় ৪০ টির মত রোগ সারাতে পারে।

নিম পাতার ব্যবহার কি কি

নিম পাতার উপকারিতার জন্য মানুষ নানা কাঁদে নিম পাতা ব্যবহার করে থাকে। নিম পাতা ছোট থেকে বড় ধরনের সব রোগ সারাতে সক্ষম। তাই আমাদের নিমপাতার সঠিক ব্যবহার জানার প্রয়োজন। শরীরের যেকোন আঘাত বা ক্ষত স্থানে নিম পাতা ব্যবহারে তা সারিয়ে দিতে পারে। এছাড়াও ত্বকের যত্নে নিমপাতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ত্বকের ব্রণ চিরস্থায়ীর দূর করতে নিম পাতার পেস্ট ব্যবহার করা হয়ে থাকে। নিম গাছের প্রতিটি অংশ শরীরের উপকারে ব্যবহার করা হয়। নিম গাছের ডাল দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে দাঁত ও দাঁতের মাড়ি ভালো থাকে। এছাড়াও নিম পাতা খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। তাই আমাদের সকলকেই সঠিক পদ্ধতিতে নিমপাতা ব্যবহার করে এর উপকার নেওয়া প্রয়োজন।

খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়

নিম পাতার উপকারিতা অনেক এবং নিমপাতা খালি ফেটে খাবার উপকারিতা আরো কয়েক গুণ বেশি। আপনি যদি প্রতিদিন খালি পেটে নিয়মিত নিমপাতা খেয়ে থাকেন তাহলে বেশ উপকারিতা পাবেন। নিম পাতায় রয়েছে অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এটি খাওয়ার ফলে শরীরে ইমিউনিটি সিস্টেমকে বাড়িয়ে তোলে। এর ফলে শরীরের সমস্ত রোগ দূরে রাখতে সাহায্য করে। 

শরীরের মধ্যে অনেক রকম টক্সিন রয়েছে যা সকালে খালি পেটে নিমপাতা খাওয়ার ফলে তা দূর করতে পারে। এছাড়াও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে খালি পেটে নিমপাতা খাওয়া খুবই উপযোগী। এবং পাকস্থলীর ব্যাকটেরিয়ার মত জীবানু দূর করতে আপনি খালি পেটে নিম পাতা খেতে পারেন। এতে পাকস্থলীর সমস্ত জীবানু দূর করতে সাহায্য করে। আবার ত্বকের জন্য নিম পাতার রস খালি পেটে খেতে পারেন। 

এতে আপনার ত্বককে অধিক পরিমাণে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলবে। এছাড়াও রক্তে কোনরকম জীবাণু থাকলে, খালি পেটে নিমপাতা খাওয়ার ফলে তা দূর করতে সাহায্য করে। নিম পাতার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। এক থেকে দুইটি নিম পাতা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলে, আপনি এসব সকল সমস্যার সমাধান পাবেন।

প্রতিদিন নিম পাতা খেলে যা হয়

প্রতিদিন নিম পাতা খাওয়ার বেশ উপকারিতা রয়েছে। নিম পাতার উপকারিতা অনেক রয়েছে এবং এসব উপকার পেতে হলে প্রতিদিন নিয়মিত আমাদের নিম পাতা খাওয়া উচিত। প্রতিদিন নিমপাতা খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রতিদিন নিম পাতা খেলে রক্তের শর্করার পরিমাণ কমে আসে যাতে করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়াও প্রতিদিন নিমপাতা খাওয়ার ফলে ত্বকের সমস্ত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। 

আবার শরীরের অপ্রয়োজনীয় টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে, প্রতিদিন নিম পাতা খাওয়ার ফলে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিমপাতা খাওয়ার ফলে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। তাই আমাদের নিয়মিত নিম পাতা খাওয়া খুবই প্রয়োজন। এতে আমাদের শরীর ও মন দুটোই ভালো রাখতে সাহায্য করবে।

চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার

নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতার মধ্যে কার্যকারিতা চুলকানিতেও রয়েছে। দীর্ঘদিনের চুলকানি, দাউদ ও চর্মরোগ ভালো করে তোলে নিমপাতা। নিয়মিত নিমপাতা ব্যবহারের ফলে এসব সকল রোগ চিরতরে দুর হয়ে যেতে পারে। নিমপাতাতে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান, তাই নিম পাতা পানিতে দিয়ে গরম করে সেই পানি দিয়ে গোসল করলে শরিরের জীবানু দূর করতে সাহায্য করে। আবার এই গরম পানি দিয়ে গোসল করলে 
আপনার পছন্দ হবে এমন পোষ্টঃ সজনে পাতার উপকারিতা

শরিরের সমস্ত ব্যাথাকে দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও নিমপাতার পেষ্ট তৈরি করে চুলকানির স্থানে লাগালে তা চুলকানি কমায়। আবার নিম পাতার রস চুলকানি স্থানে লাগাতে পারেন। আবার নিমপাতার চা তৈরি করে খেলে ভেতর থেকে চুলকানি দুর করতে পারে। চুলকানির পাশাপাশি নিমপাতা চর্মরোগের প্রতিকার হিসেবেও কাজ করে। চর্মরোগের জন্য নিমপাতা বেশ কাজ করে। এর জন্য কয়েকটা

নিমপাতা থ্যাতলা করে ্ওই স্থানে লাগালে তা ধিরে ধিরে সারিয়ে তোলে। আমরা যদি নিমপাতার পুরোপুরি পুস্টিগুন সম্পর্কে জানি তাহলে নিমগাছকে সবাই যত্ন নেওয়া শুরু করে দিবো। কারন ৪০ টিরও বেশি রোগ সারাতে কাজ করে নিমপাতা। নিমগাছের ফল ফুল থেকে শুরু করে প্রতিটি অংশ পুষ্টিগুনে ভরপুর। তাই আমাদের নিমপাতার সঠিক ব্যবহার করা সবারি প্রয়োজন।

ত্বকের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার

ত্বকের যত্নে নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিমপাতার কিছু উপাদান ত্বকের যত্নে খুবি উপকারি। নিমপাতা বেটে পেস্ট বানিয়ে তা মুখে লাগিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেললে মুখের ব্রন ভালো ও মুখের উজ্জলতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এরপর আবার নিমপাতা সেদ্ধ করা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে দিলে ত্বককে আরো সতেজ রাখতে সাহায্য করে নিমপাতা। আবার ত্বকের জন্য শুকনো নিমপাতার গুড়া 
ত্বকের-যত্নে-নিম-পাতার-ব্যবহার
ক্ষত স্থানে লাগালে এতে ত্বকের ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। আর নিম পাতা ত্বকে প্রতিদিন ব্যবহার করলে ত্বকের জন্য এটি খুবই উপকারী হয়ে ওঠে। এবং ত্বকের কালো কালো ছোপ ছোপ দাগ দূর করে নিমিষেই।তবে তোকে নিম পাতা ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার অ্যালার্জিটা পরীক্ষা করতে হবে। অনেকেরই নিম পাতায় এলার্জি থাকতে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিমপাতা ত্বকের জন্য ব্যবহার করা যায়।

নিম ফল খাওয়ার কার্যকারিতা কি

নিম ফল খাওয়ার কার্যকারিতা আপনি জানলে, আপনি আজ থেকে নিম ফল খাওয়া শুরু করে দিবেন। নিম ফলে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যেটি প্রাকৃতিকভাবে যেকোনো লোককে দূর করতে পারে। আমাদের বাড়ির আশেপাশে হয়তো সবারই নিম গাছ থেকে থাকবে। কিন্তু সবাই জানিনা নিম গাছের উপকারিতা কতখানি। নিম গাছের প্রতিটি অংশ মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী। এর সাথে নিম

গাছের ফলে রয়েছে বেশ কার্যকরী উপাদান। নিম ফল খাওয়ার ফলে অর্শ রোগ মত রোগ ভালো করে দেয়। এ রোগের জন্য মানুষ অনেক ডাক্তার দেখিয়ে থাকে কিন্তু কোন কাজ না হলে, একটি নিম ফল এই রোগকে ভালো করতে পারে। এর জন্য প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ টি নিম ফল চুষে খেতে পারেন। এটি পাকা হলে সবচেয়ে ভালো হয়, কাঁচা অনেক তিতা যার জন্য খেতে কষ্ট হয়ে যাবে।

এবং পুরো সিজন এইভাবে নিম ফল খেলে আপনার এরকম ধরনের রোগ চিরতরে সেরে যাবে। তাই আমাদের নিম ফল সম্পর্কে জানা উচিত এবং প্রতিদিন ফল খাওয়া উচিত। এতে করে আপনার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পাবে। ফলে অন্যান্য রোগও আক্রমণ করতে পারবে না। তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারলেন নিমফলের কার্যকারিতা কতখানি।

নিম ফুলের উপকার হয় কিসে

নিমফুল স্বাস্থ্য উপকারে অনেক উপকারী। নিম ফুলে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক গুনাগুন যা দেহের বিভিন্ন সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া নতুন ফুল খেলে রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।, আমাদের দৈহিক খাবার খাওয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন জীবাণু খাবারের মধ্যে রক্তে মিশে যেতে পারে। রক্তের সেই জীবাণু পরিষ্কার করতে নিম ফুল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আবার নিম ফুল রক্তের

শর্করা অতিরিক্ত মাত্রা কমিয়ে রাখে। এতে করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকে। আবার পেটের সমস্যা যেমন, গ্যাস্ট্রিক অথবা পেট ব্যথা দূর করতে নিম ফুল কাজ করে থাকে। এবং যাদের ব্লাড প্রেসার অতিরিক্ত মাত্রায় থাকে তাদের ক্ষেত্রে নিয়ম ফুল খুবই উপকারী একটি জিনিস। নিম ফুল খাওয়ার ফলে অতিরিক্ত রক্তচাপ কমিয়ে ফেলে। আবার নিম ফল খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
নিম-ফুলের-উপকার-হয়-কিসে
করতে সহায়তা করে। তবে নিম গাছের কোন অংশ ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো। কারণ বিভিন্ন ঔষধের মধ্যে নিম গাছের কোন কিছু সংমিশ্রণ করা হয়তো ঠিক হবে না। তার জন্য ঠিক মতো কাজ নাও করতে পারে। তাই আমাদের নিম ফুলের ব্যাপারে জেনে সঠিক পদ্ধতিতে নিম ফুল খেতে পারি।

নিম পাতার অপকারিতা

নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা বেশ রয়েছে। প্রাকৃতিক উপায় বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা পেতে আমরা বিভিন্নভাবে নিমপাতা ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আমরা কি জানি নিম পাতার কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিরাও রয়েছে। এসব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো না জানলে হয়তো আপনিও একসময় বিপদে পড়ে যেতে পারেন। নিম পাতা খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ ভেষজক ঔষধ। কিন্তু সঠিক পদ্ধতিতে সেবন না করলে বিপদের মুখে পড়তে পারেন।

তাই আমাদের সঠিক পদ্ধতিতে নিম পাতা খাওয়া উচিত। শিশুদের অর্থাৎ ৬ বছরের নিচে কোন বাচ্চাকে নিম পাতা খাওয়ানো ঠিক না। এতে শিশুটি দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও বমি ভাব সহ শারীরিক দুর্বলতা এবং মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়াও মেয়েদের পিরিয়ড চলাকালীন সময় নিমপাতা খাওয়া একেবারেই ঠিক না। এতে করে পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত ব্লিডিং ঘটাতে পারে। আবার সন্তান নিতে ইচ্ছুক 

এমন নারী-পুরুষদের নিমপাতা না খাওয়াই ভালো। কারণ নিম পাতায় রয়েছে জন্ম নিরোধক উপাদান রয়েছে। আবার গর্ভবতী থাকাকালীন সময়ও নিম পাতা খাওয়া উচিত নয়। এর ফলে যে কোন সময় পেট ব্যাথা হতে পারে এবং গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে। তাই নিম পাতা খাওয়ার আগে অবশ্যই আমাদের উক্ত বিষয়গুলো জানা উচিত।

শেষকথা

নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে নিশ্চয়ই এতক্ষনে আপনারা সবকিছুই বুঝতে পেরেছেন। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আমরা এই ধরনের পোস্ট প্রতিনিয়তই করে থাকি। আপনার যেকোনো তথ্য আপনি খুঁজে পাবেন আমাদের এই অর্গানাইজ আইটি ওয়েবসাইটে। আর তাই সব আপডেট তথ্য পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url