ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে এবং তার প্রতিকার জেনে নিন
ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে তা হয়তো আপনার অজানা। আপনারা হয়তো লক্ষ্য করলে
বুঝতে পারবেন শুধু শীত নয় সারা বছরই ঠোঁট ফাটে, তার কারণ হচ্ছে কোন একটি
ভিটামিনের অভাবে ঠোঁট ফাটা শুরু হয়। কিন্তু কোন ভিটামিনের অভাবে ঠোট ফাটা হয়
এটা কেউ জানিনা।
আজকের এই আর্টিকেল আমরা আলোচনা করেছি কোন ভিটামিনের অভাবে ঠোঁট ফাটা শুরু হয়।
এবং কি কি উপায়ে আমরা এই ঠোঁট ফাটা প্রতিরোধ করতে পারি তার ১০ টি উপায় উল্লেখ
করেছি আজকের এই আর্টিকেলে। তাহলে চলুন জেনে আসি সেই উপায় গুলো।
পেজ সূচিপত্রঃ ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে
ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে
ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে তা হয়তো অনেকেই জানিনা। কিন্তু সারা বছরই
আমাদের মধ্যে প্রায় অনেকেরই ঠোঁট ফাটে। কিন্তু এই ঠোঁট ফাটার কারণ হচ্ছে
শরীরের কোন না কোন একটি ভিটামিনের অভাব হওয়া। শরীরের একটি নির্দিষ্ট
ভিটামিনের অভাবের কারণে ঠোঁট ফেটে যায়। এর জন্য শুষ্ক আবহাওয়ায় একমাত্র
কারণ নয়। এর আরো একটি কারণ হচ্ছে ভিটামিনের অভাবে ঠোঁট ফেটে যায়।
আরেকটি পোষ্টঃ হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয় কি
আর এই ঠোঁট ফাটা সমস্যাই দেখা যায় অনেক মানুষ ভুগছেন। সাধারণত সারা বছরই এই
ঠোঁট ফাটা সমস্যা দেখা যায়। কিন্তু শীতে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে এটি
আরো বেড়ে যায়। আর সেজন্য সবার চোখে পড়ে এই শীতকাল টাই। কিন্তু সবাই জানে
না যে শীতকাল ছাড়াও ফেটে থাকে। আর তার কারণ হচ্ছে ভিটামিনের অভাব। ঠোট ফাটে
মূলত ভিটামিন বি এর অভাবে। আর তাই ভিটামিন বি এর ঘাটতি পূরণ করা জরুরি।
সারা বছর ঠোঁট ফাটে কেন
সারা বছর ফাটে কেন এই বিষয়টি হয়তো সবারই অজানা। শুধু শীত নয় সারা বছরই
মূলত ঠোঁট ফেটে থাকে। সে চলে যাওয়ার পরও কি আপনার ঠোঁট ফাটা সমস্যা হচ্ছে।
গরমে ঠোঁট ফেটে থাকে, কারণ গরমে অধিক তাপমাত্রায় ঠোঁট শুকিয়ে যায়। তাই
আমাদের এই বিষয়ে ধারণা রাখতে হবে। গরমে ঠোঁট ফাটার একমাত্র কারণ হচ্ছে পানি
শূন্যতা। রোদের তাপে শরীর থেকে অনেক ঘাম বেরিয়ে যায় ফলে, দেহের পানি
শূন্যতা দেখা দেয়।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় কি
আর তখন ঠোঁট শুষ্ক হতে থাকে। আর এর ফলে সারা বছরই মূলত ঠোঁট ফেটে থাকে।
ভিটামিন বি টু এর অভাবেও ঠোঁট ফেটে থাকে। এছাড়াও ত্বকে এলার্জি বা অন্য কোন
সমস্যা দেখা দিলেও ঠোঁট ফেটে যেতে পারে। তুমি ছাড়া খাবারের সমস্যার হলেও
ঠোঁট ফাটা সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর এই কারন গুলো লক্ষ করে চললে আমাদের
সারা বছরের ঠোঁট ফাটার প্রতিকার করা সম্ভব হবে।
ঠোঁট ফাটে কিসের অভাবে
ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে এতক্ষণ সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।
ঠোঁট ফেটে যায় মূলত ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, এবং ভিটামিন বি টু এর অভাবে।
এছাড়াও শরীরে যদি পানির ঘাটতি দেখা দেয় তখন ঠোঁট আস্তে আস্তে শুকিয়ে গিয়ে
ফেটে যায়। এবং বাতাসেও ঠোঁট শুকিয়ে গিয়ে ফেটে যেতে পারে। এছাড়াও অতিরিক্ত
লিপস্টিক ব্যবহার করলেও ঠোঁট ফেটে যায় কারণ ক্ষতিকারক কেমিক্যাল ঠোঁট
শুকিয়ে দেয়।
এবং ঠোঁটের পর্যাপ্ত পরিমাণে যত্ন না নেওয়ার কারণেও ঠোঁট ফেটে যেতে পারে।
এবং সবশেষে বলতে গেলে শরীরের পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না থাকায়, পুষ্টিকর খাবার
গ্রহণ না করায়, ঠোঁটের জন্য বাম বা মেরিল ব্যবহার না করায়, এবং কোনো
প্রকারের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের অভাবে ঠোঁট ফাটা দেখা দিতে পারে। তাই
উত্তর কারণ হলো লক্ষ্য করে মেনে চললে ঠোঁট ফাটা সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার কারণ
ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার কারণ কি এই প্রশ্ন প্রায় অনেকেরই রয়েছে। আমরা অনেকেই
আছি যাদের ঠোঁট কিছু কিছু সময় শুকিয়ে যায় বা ফেটে যায়। আবার অনেকের
প্রায় সব সময় ঠোঁট ফেটে যায় বা শুকিয়ে যায়। আর এই ঠোঁট ফাটা বা শুকিয়ে
যাওয়ার কিছু কারণ রয়েছে। যেটা না জানার কারণে আমরা এই সকল প্রশ্নগুলো করে
থাকি। তাই আজকে কি কি কারণে ঠোঁট ফাটতে পারে তার কিছু কারণ উল্লেখ করা হলো।
- অনেক বেশি যারা চা কফি পান করা
- খাবারে লবণের মাত্রা বেশি পরিমাণ থাকা
- পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান না করা
- দেহে পানি শূন্যতায় ঠোঁট শুকিয়ে যেতে পারে
- অতিরিক্ত লিপস্টিক ব্যবহারে
- নরমাল টুথপেস্ট ব্যবহার করা
- গরম পানিতে গোসল করা
অতিরিক্ত পাওয়ারফুল ওষুধ সেবন করা
এই সকল কারণগুলোই ঠোঁট ফাটার কারণ হতে পারে। তাই এগুলো থেকে চেষ্টা করবেন যত
দূরে থাকা যায়। তাহলে আপনি ঠোঁট ফাটা দূর করতে পারেন।
ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার প্রতিকার
ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে তা আমরা জানলাম কিন্তু এখন আমাদের জানতে হবে এই
ঠোঁট ফাটা কিভাবে প্রতিকার করা যায়। ঠোঁট কাটার বেশ কিছু কারণ রয়েছে যা আমরা
এর আগেই জেনেছি। আর এই ঠোঁট ফাটা খুব বিরক্তকর হয়, আর তাই এই ঠোঁট ফাটার
প্রতিকার করার প্রয়োজন আমাদের। ঠোট ফাটার প্রতিকার হিসেবে ঠোঁটে মধু ব্যবহার
করতে পারেন। কারণ মধু ঠোঁটে লাগালে ঠোঁটে প্রাকৃতিকভাবে আদ্রতা পায় এবং নতুন
চামড়া গঠন করতে সাহায্য করে।
এবং ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করার জন্য আপনি চাইলে তেল ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও
গোলাপজল ব্যবহার করার ফলে ঠোঁট নরম হয় এবং ঠোঁট গোলাপি হয়ে ওঠে। এবং পর্যাপ্ত
পরিমাণে প্রতিদিন পানি পান করতে হবে। যাতে আপনার ঠোঁট পূর্ণ দেহ থেকে রস পায়।
এগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের লিভ জেল এবং আপনি চাইলে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার
করতে পারেন। এগুলো ব্যবহার করার ফলে ঠোঁটফাটা প্রতিকার করা সম্ভব হবে বলে আমি
মনে করি।
ঠোঁটের চামড়া ওঠার কারণ
আপনি খেয়াল করে দেখবেন অনেকেরই ঠোঁটে চামড়া উঠে যায়। এর কারণগুলো আমরা
অনেকেই জানিনা। অনেক মেয়েরাই ঠোঁটে লিপস্টিক ব্যবহার করে। আর এই লিপস্টিকের
থাকা ক্ষতিকর কেমিক্যাল ঠোঁটের চামড়াকে অকেজো করে দেয়। আর সেই চামড়া গুলো
পরবর্তীতে উঠে যায়। এছাড়া অনেকের আবার দেখা যায় অতিরিক্ত ত্বক শুষ্ক
হওয়ার কারণে হাতের পায়ের চামড়ার পাশাপাশি ঠোঁটের চামড়া ও উঠে যায়।
গুরুত্বপূর্ণ পোষ্টঃ অতিরিক্ত চুল পড়ার সমাধান কি
এছাড়াও ঠোঁটের চামড়া ওঠার আরো অনেক কারণ রয়েছে যেমন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি
না খাওয়া, প্রচুর পরিমাণে চা কফি পান করা, ধূমপান করা, নিয়মিত খাদ্য
তালিকায় পুষ্টিকর খাবার না খাওয়া, ভিটামিনের অভাব, শুকনো আবহাওয়া এসব
কারণেও ঠোঁটের চামড়া উঠে যেতে পারে। তাই এসব কারণগুলো থেকে আমাদের বাঁচতে
আমাদের নিজেদের ঠোঁট এবং স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়া আবশ্যক।
ঠোঁট ফাটলে করণীয় কি
ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে তা আপনি পুরোপুরি এতক্ষণে জেনে গেছেন। ঠোঁট
ফাটলে কিছু ঘরোয়া উপায়ও এর করনীয় গুলো আপনি করতে পারবেন। যেমন ঠোট ফাটলে
আপনি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। এতে ঠোটের শুকানো ভাত কমাবে এবং ঠোঁট
ফাটা কমাতেও সাহায্য করবে। এবং ঠোঁট ফাটা কমানোর অন্যতম কারণ হচ্ছে প্রতিদিন
নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা। এবং আপনার ঠোঁট সব সময় পরিষ্কার রাখতে
হবে।
এবং যেসব খাবারে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন বি টু এই উপাদান গুলো বেশি
পরিমাণে রয়েছে, সেই খাবারগুলো বেশি বেশি করে খাবেন। এবং এর পাশাপাশি ঠোঁটের
বিভিন্ন জেল ও ক্রিম ব্যবহার করে ঠোঁটকে আদ্রতা পূর্ণ করে রাখার মাধ্যমেও আপনি
ঠোঁটফাটা বন্ধ করতে পারেন। আর এভাবেই মূলত আপনি আপনার ঠোঁটকে সুন্দর নরম ও
আদ্রতা পূর্ণ করে রাখতে পারেন।
মূলকথা
ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে সেটা নিশ্চয়ই এতক্ষণে আপনি বুঝতে পেরেছেন।
ঠোঁট ফাটে মূলত শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না থাকার কারণে। এবং এটি শুধু শীতে
নয় সারা বছরেই এই সমস্যা দেখা যায়। আশা করছি এখন হয়তো এই আর্টিকেলটি করার
মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছেন এবং ঠোট ফাটার প্রতিকার করতে পারবেন। আপনার যদি আরো
কোন অজানা তথ্য থেকে থাকে তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করতে পারেন। অথবা
ফলো দিয়ে আমাদের এই ওয়েবসাইটের সাথেই থাকতে পারেন, ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url