কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন সকল নিয়ম গুলো জেনে নিন

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন কিভাবে করতে হয় তা জানতে আজকে আপনি সঠিক আর্টিকেলে প্রবেশ করেছেন। অনেকেই কানাডা যাওয়ার জন্য অনেক দালাল চক্রের শিকার হচ্ছে। এবার আপনি নিজেই কানাডা যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
কানাডা-ওয়ার্ক-পারমিট-ভিসা-আবেদন
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা উল্লেখ করেছি নিজে থেকেই কিভাবে কানাডার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কিভাবে আবেদন করতে হয় তার বিস্তারিত তথ্য। তাই আপনি যদি কোনো দালান চক্র ছাড়াই নিজেই কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পুর্ন আপনার জন্য।

পেজ সূচিপত্রঃ কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন কিভাবে করবেন তার বিস্তারিত আলোচনা করেছি আজকের এই আর্টিকেলে। কানাডা যাওয়ার জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। তাহলে আপনি নিজে থেকেই বা কোন দালাল ছাড়াই ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কানাডায় যেতে চান তাহলে, তাদের কোন একটি কোম্পানির থেকে আপনাকে একটি অফার লেটার নিতে হবে।


এবং আপনাকে ন্যূনতম এসএসসি পাস হতে হবে। এবং কানাডা যাওয়ার জন্য আপনাকে একটি ইংরেজি কথা বলার কোর্স করতে হবে। এবং আপনার ব্যাংক একাউন্টে দুই লক্ষ টাকা থাকতে হবে। এই সকল বিষয়ের ডকুমেন্টগুলো কালেকশন করে আপনি নিজে থেকেই কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে JOB BANK ওয়েবসাইটে গিয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত এই বিষয়ে অনেকেরই অজানা রয়েছে। অনেকেই কানাডা বিভিন্ন কাজের জন্য কানাডায় যেতে চাই। কিন্তু এর জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রয়োজন হয়। কিন্তু অনেকেই জানে না যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কেমন। আর সেজন্যই অনেকেই যেতে পারে না স্বপ্নের কানাডায়। কানাডা সরকার প্রতি বছরেই বাইরের দেশের শ্রমিকদের জব অফার দিয়ে থাকে। আপনাকে তাদের কোম্পানি থেকে একটা জব অফার আবেদন করে নিতে হবে।

এরপরে আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনি যদি সরকারিভাবে ভিসা পেয়ে যান তাহলে অনেক কম খরচেই কানাডায় যেতে পারবেন। সরকারিভাবে কানাডার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে খরচ হতে পারে ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। এবং কোন এজেন্সির মাধ্যমে যদি আপনি ভিসা করতে চান তাহলে খরচ হতে পারে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চেক

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার পরে আপনি চাইলে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চেক করতে পারেন। কানাডা যাওয়ার জন্য যদি আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করে থাকেন তাহলে নিজেই ঘরে বসে সেই ভিসার পরিস্থিতি জানতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে প্রথমেই কানাডার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট goverment of canada এখানে যেতে হবে। তারপর আপনাকে ভিসা করার সময় একটা ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়। সেগুলো দিয়ে আপনি চাইলে চেক করে নিতে পারেন। 
 

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে কি কি লাগে

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে কি কি লাগে আপনি কি তা জানেন? যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলে আপনি তা জানতে পারবেন। যারা কানাডায় জবের জন্য যেতে চাই তাদের একটি ওয়ার্ক পারমিট পেতে হয়। প্রথমে আপনি একটি LMI কপি পাবেন এবং তাদের কোম্পানি থেকে একটি অফার লেটার পাবেন। আর এই সকল ডকুমেন্ট দিয়েই কানাডার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করা যায়।
কানাডা-ওয়ার্ক-পারমিট-ভিসা-করতে-কি-কি-লাগে

কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট কতবার বাড়ানো যায়

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার পর আপনার যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর প্রয়োজন হয়, তবে সেটি নির্ভর করে ভিসার ধরনের ওপর। কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা একাধিকবার বাড়ানো যায়। তবে তার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। এর জন্য আপনি চাইলে তিন বছরের মধ্যে এক বা একাধিকবার ভিসা বাড়ানো যায় । আবার যদি আপনার চাকরি পরিবর্তন হয় তবে আপনার ওই ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই,

নতুন করে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।  আবার বিশেষ কোন প্রয়োজনে আপনি একাধিকবার ভিসা বাড়াতে পারেন। আবার কানাডা থাকা অবস্থায় আপনার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যেতে পারে, তখনও আপনি চাইলে ভিসার মেয়াদ বাড়াতে পারেন। আর আপনার যদি কোন বিশেষ প্রয়োজনে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বাড়ানোর প্রয়োজন হয় তবে আপনি কানাডা ভিসা অফিসে কথাবার্তা বলে বাড়াতে পারেন।

কানাডায় ওয়ার্ক পারমিটে কত বছর থাকা যায়

কানাডায় ওয়ার্ক পারমিটে কত বছর থাকা যায় সেটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার ইমিগ্রেশন বিধিমালা ও ব্যক্তিগত পরিস্থিতির মাধ্যমে। আপনি চাইলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় অনেক বছর থাকতে পারেন। তবে ওয়ার্ড পারমিট ভিসার মেয়াদ হয় এক থেকে তিন বছরের মধ্যে। এর মধ্যে আপনাকে আবার নতুন ভিসা তৈরি করে নিতে হবে। এটি এক বা একাধিকবার সুযোগ পাবেন ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য।

আপনি যদি পড়াশোনার জন্য স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডায় যান তবে আপনি আলাদা পারমিট পাবেন যেটা আপনার শিক্ষার সাথে সম্পর্ক থাকবে। এবং আপনার কাজের ধরনের উপর নির্ভর করে আপনি চাইলে পারমিট ভিসা বাড়িয়ে কানাডায় থাকতে পারবেন। এবং ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর পাশাপাশি আপনি চাইলে স্থায়ীভাবে কানাডায় বসবাস করার জন্য আবেদন করতে পারেন।

কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট কাদের লাগে

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে হয় কিভাবে এতক্ষনে আপনারা জানলেন। এখন জানবো কাদের জন্য ওয়ার্ড পারমিট ভিসা প্রযোজ্য। মূলত যারা কানাডায় চাকরি বা কোন কাজের জন্য প্রবাসী হিসেবে যাই, তাদের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রয়োজন হয়। কানাডা থেকে কোন কোম্পানি যখন আপনাকে চাকরির বা কাজের জন্য অফার লেটার দিবে তখন আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কানাডায় যেতে পারবেন। 
কানাডায়-ওয়ার্ক-পারমিট-কাদের-লাগে
এবং যারা সেখানে কাজ করার পাশাপাশি স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চাই, তারাও চাইলে ওয়ারফর্মেন্ট ভিসা করে কানাডায় যেতে পারে। তবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সাধারণত প্রবাসীদের জন্য দেওয়া হয়। এবং সেখানে বিভিন্ন কাজে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয় অফার লেটার দেওয়া কোম্পানিগুলোতে। তাই আপনি যদি তাদের কোম্পানিতে জব করতে চান, তাহলে আপনার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রয়োজন।

শেষকথা

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার বিষয় নিয়ে এতক্ষণে হয়তো আপনি পুরোপুরি বুঝতে পেরেছেন। এবং এখন হয়তো আপনি নিজেই কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এবং আশা করছি আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন। আমাদের পোস্ট যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইটে ফলো দিয়ে রাখতে পারেন। আমরা প্রতিনিয়তই নতুন নতুন আপডেট তথ্য দিয়ে থাকি। আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url